হে মুসলিমগণ! সত্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসন—খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বানকারীদের উপর সরকারের যুলুম—নির্যাতন প্রতিহত করুন
হে মুসলিমগণ! সত্য ও ন্যায়পরায়ণ শাসন—খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বানকারীদের উপর
সরকারের যুলুম—নির্যাতন প্রতিহত করুন
হিযবুত তাহ্রীর, বাংলাদেশসহ মুসলিম দেশসমূহকে কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী জীবনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে; আর কাফির সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের দালাল ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম শাসকদের মাধ্যমে খিলাফতের প্রত্যাবর্তন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। হাসিনা সরকার হচ্ছে দালাল শাসকদের মধ্যে অন্যতম যে এদেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বদানকারী হিযবুত তাহ্রীর—এর নেতাকর্মীদেরকে পদ্ধতিগতভাবে দমন করার অপচেষ্টা করছে। নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও হিযবুত তাহ্রীর—এর নেতাকর্মীদেরকে কুখ্যাত সন্ত্রাসদমন আইনের আওতায় গ্রেফতার ও বিচার করা, আদালতে যথাসময়ে উপস্থাপন না করে গোপন সেলে আটক রাখা, বার বার জামিন প্রত্যাখ্যান করে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী রাখা, পরিবারের সদস্যদের ভয়–ভীতি প্রদর্শন, প্রতারণা ও শারীরিক–মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী নিয়ে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা — এই সরকারের নিত্যনৈমিত্তিক দমন–নিপীড়নের কিছু উদাহরণ মাত্র। রিমান্ডে নিয়ে বৈদ্যুতিক শক এবং আমেরিকার CIA–এর অনুকরণে ওয়াটার বোর্ডিং–এর মত ন্যাক্কারজনক নির্যাতনের দৃষ্টান্তও এই যালিম সরকার স্থাপন করেছে। হে মুসলিমগণ, হাসিনা সরকার ইসলামের দাওআহ্ দমনে আবু লাহাবের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে, যে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)-এর ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে কোন অপকৌশলই বাদ রাখে নাই, যার কারণে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তার ধ্বংস অনিবার্য করেছেন, “আবু লাহাবের হস্তসমূহ ধ্বংস হউক এবং ধ্বংস হউক সে নিজে” [সূরা আল—মাসাদ : ১]।
হে মুসলিমগণ, আপনারা জানেন, হিযবুত তাহ্রীর হচ্ছে এমন একটি রাজনৈতিক দল যার আদর্শ ইসলাম এবং যার কর্মপদ্ধতি কুর‘আন—সুন্নাহ্’র আলোকে গৃহীত; “নিঃসন্দেহে, যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং সর্বদা আল্লাহ্’কে স্মরণ করে তার জন্য আল্লাহ্’র রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম পদ্ধতি” [সূরা আল—আহযাব : ২১]। হিযবুত তাহ্রীর তার বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ড যেমন লিফলেট-পোস্টার, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ, সেমিনার-কনফারেন্স, গণসংযোগ, ইত্যাদির মাধ্যমে খিলাফতের পক্ষে গণসচেতনতা ও জনমত তৈরি করছে। হিযবুত তাহ্রীর সংঘাতের রাজনীতি কিংবা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না, বরং সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদেরকে ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীরকে ক্ষমতা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছে।
আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, হিযবুত তাহ্রীর জনগণের সামনে ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শের ত্রুটিসমূহ এবং পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যুলুমসমূহ উপস্থাপন করে আসছে; দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির উপর কাফির সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন-ব্রিটিশ ও তাদের আঞ্চলিক দোসরদের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও সামরিক বাহিনীকে নিয়ে তাদের অশুভ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র উন্মোচন করে আসছে; এবং ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীর দালালী, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে ভারতের ষড়যন্ত্রে পিলখানা হত্যাকান্ডের নীলনকশা উন্মোচন, ভারতকে ট্রানজিট প্রদানসহ বিভিন্ন সামরিক চুক্তির বিরুদ্ধে হিযবুত তাহ্রীর প্রতিবাদ করেছিল। একইভাবে আমাদের কৌশলগত সম্পদ ও সামরিক বাহিনীর উপর আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে টাইগার শার্কসহ বিভিন্ন যৌথ সামরিক মহড়া এবং টিকফা, আকসার মত চুক্তিসমূহের বিরোধিতা করে আসছে। কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের চাপিয়ে দেয়া পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যুলুমের বিপরীতে খিলাফত ব্যবস্থা কিভাবে স্বনির্ভর ও নেতৃত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হবে হিযবুত তাহ্রীর তার রূপরেখা প্রদান করেছে, ইসলাম কিভাবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের মৌলিক চাহিদাসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা দেয় এবং সম্পদ যাতে কিছু লোকের কুক্ষিগত না হয়ে জনগণের মধ্যে সুষমভাবে বন্টন নিশ্চিত করে তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে। অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে খিলাফত রাষ্ট্রের খসড়া সংবিধান জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছে, খিলাফত রাষ্ট্রের প্রশাসনিক কাঠামো, অর্থনীতি, নারী-পুরুষের সম্পর্ক (সমাজ ব্যবস্থা) এবং পররাষ্ট্র নীতি প্রকাশ করেছে। এর ফলে খিলাফতের পক্ষে সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপক সমর্থন তৈরি হয়েছে।
হে মুসলিমগণ, মুসলিম ভূমিতে ইসলামের শাসন অর্থাৎ খিলাফত ব্যবস্থার দাবী করাকে কেন অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে? অথচ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন, “শাসন বিধান প্রদানের ক্ষমতা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারও নয়” [সূরা ইউসুফ : ৪০]। খিলাফত প্রতিষ্ঠার নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যক্রমকে কেন উগ্রবাদ ও জঙ্গিবাদের সাথে তুলনা করা হচ্ছে? প্রকৃতপক্ষে, সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের দোহাই দিয়ে ইসলামের পুনঃজাগরণকে ঠেকানো কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের অন্যতম নীতি যা বাস্তবায়নে দালাল শাসকগোষ্ঠী সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। হাসিনা সরকার দাবী করে “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” যা মূলতঃ “ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” — এ সফলতার কারণে কাফির—মুশরিক রাষ্ট্রসমূহ তার সরকারকে ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছে। হে মুসলিমগণ, আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের দ্বীনের উপর চলমান এই যুদ্ধ সম্পর্কে সোচ্চার হোন, খিলাফত প্রতিষ্ঠার কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বানকারীদের উপর সরকারের যুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন।
হে নিষ্ঠাবান সাংবাদিকবৃন্দ! আমরা বিস্ময়ের সাথে প্রত্যক্ষ করেছি, কোন কোন গণমাধ্যমে হিযবুত তাহ্রীরকে জঙ্গি বা উগ্রবাদী হিসেবে অপবাদ দেয়া হয় এবং হিযবুত তাহ্রীর কর্তৃক প্রকাশিত লিফলেট ও খিলাফত রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রণীত সংবিধান, প্রশাসনিক কাঠামো, অর্থনীতি ও পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত প্রকাশনাসমূহকে “উগ্রবাদ” হিসেবে অপপ্রচার করা হয়। এইসব অপবাদ ও অপপ্রচার কি বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না? যেহেতু হিযবুত তাহ্রীর রাজনৈতিক দল হিসেবে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত ও সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে সুপরিচিত, সেহেতু এসব অপবাদ ও অপপ্রচার কি আপনাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সুনামকে নষ্ট করছে না? মনে রাখবেন, মিথ্যাবাদীরা আল্লাহ্’র লা‘নতপ্রাপ্ত, “…তার উপর আল্লাহ্’র লা‘নত পতিত হবে যদি সে মিথ্যাবাদীদের একজন হয়” [সূরা আন—নূর : ৭]। এছাড়াও বর্তমান যালিম সরকার হিযবুত তাহ্রীর সম্পর্কে আপনাদেরকে যেসব তথ্য প্রদান করে তার সত্যতা যাচাই করা আপনাদের কর্তব্য, “হে মু‘মিনগণ! কোন পাপাচারী যদি তোমাদের কাছে কোন খবর নিয়ে আসে, তাহলে তার সত্যতা যাচাই করে নাও, তা না হলে তোমরা অজ্ঞতাবশতঃ কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে বসবে, অতঃপর তোমরা যা করেছ সেজন্য তোমদেরকে লজ্জিত হতে হবে” [সূরা আল—হুজরাত : ০৬]। আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বান, হিযবুত তাহ্রীর সম্পর্কে মিথ্যা রটনাকে প্রতিহত করুন এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসুন।
হে বিচারকবৃন্দ! মনে রাখবেন আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা হচ্ছেন সকল বিচারকদের বিচারক, একদিন তাঁর বিচারের কাঠগড়ায় আপনাদেরকেও দাঁড়াতে হবে। তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আপনাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন আপনারা তাঁর নাযিলকৃত বিধান ছাড়া অন্য কোন বিধান দ্বারা বিচার না করেন, এবং বিচারের সময় অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেন: “…এবং যখন তোমরা মানুষের কোন বিচার—মীমাংসা কর, তখন মীমাংসা কর ন্যায়ভিত্তিক” [সূরা আন—নিসা : ৫৮]। আপনাদের কাছে দিবালোকের মত সত্য যে, তথাকথিত সন্ত্রাসবিরোধী আইন ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দালাল সরকার কর্তৃক প্রণীত, যা নিষ্ঠাবান মুসলিমদের দমন করার জন্য মার্কিন এবং তার মিত্রদের নির্দেশনায় জারি করা হয়েছে। এই আইনের সাথে ন্যায়বিচারের ন্যূনতম কোন সম্পর্ক নাই। এই কুখ্যাত আইনের আওতায় হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতাকর্মীদের বিচার করা অন্যায় ও ন্যায়বিচার পরিপন্থী। এছাড়া বার বার রিমান্ড মঞ্জুর করে তাদেরকে নির্যাতনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ছেড়ে দেয়া, কিংবা বার বার জামিন না-মঞ্জুর করে মাসের পর মাস কারাবন্দী রাখা চরম অন্যায়। “তিন প্রকারের বিচারক রয়েছে, যাদের একপ্রকার যাবে জান্নাতে এবং বাকি দুইটি জাহান্নামে। জান্নাতে প্রবেশকারী বিচারক হবে সেই ব্যক্তি যে সত্য জানে এবং তদানুযায়ী রায় প্রদান করে; কিন্তু যে বিচারক সত্য জেনেও রায় প্রদানের ক্ষেত্রে জুলুম করে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে; এবং সেই বিচারক যে কিনা অজ্ঞতার সাথে জনগণের বিচার—ফয়সালা করে সেও জাহান্নামে প্রবেশ করবে” [আবু দাউদ]। আপনাদের প্রতি আমাদের দাবী এবং প্রত্যাশা আপনারা সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহণ করবেন, হে বিচারকবৃন্দ — রায় প্রদানের সময় আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা’র প্রতি আনুগত্যশীল থাকবেন, ইসলামের দাওআহ্ বহনকারী খিলাফতের রাজনৈতিক কর্মীদের উপর ন্যায়বিচার করবেন, এবং তাদেরকে আটক রাখার সরকারী অন্যায় নির্দেশকে উপেক্ষা করে তাদেরকে মুক্তি প্রদান করবেন।
হে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ!
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি (শাসক) আল্লাহ্’র অবাধ্য, তার প্রতি কোন আনুগত্য নাই” [আহমাদ]। সুতরাং, আপনাদের নিকট ইসলামের দাবী হচ্ছে ইসলাম ও খিলাফতের রাজনৈতিক কর্মীদেরকে হয়রানী, গ্রেফতার, গুম, আটক রাখা ও নির্যাতন করার সরকারী নির্দেশকে অমান্য করা। আপনাদের অনেকেই দাবী করেন যে, চাকুরীর কারণে সরকারের নির্দেশ মানতে আপনারা বাধ্য কিন্তু আল্লাহ্’র কাছে এই অজুহাতের কোন মূল্য নাই, কারণ সরকারের অন্যায় আদেশ মান্য করা নিষিদ্ধ। আমরা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আপনাদের কর্মকান্ডের জন্য আপনাদের জবাবদিহি করবেন; তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) বলেন, “নিশ্চয়ই যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের নির্যাতন করেছে, এবং অতঃপর তওবা করেনি, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি আর জলন্ত আগুনের দহন যন্ত্রণা” [সূরা আল-বুরুজ : ১০] এবং রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “যে কেউ কোন মু’মিনকে আতঙ্কিত করে, কিয়ামতের দিন তারও আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া কোন নিস্তার নাই” [কানজ আল-উম্মাল]। আমরা আপনাদেরকে আরও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যদি আপনারা বিরত না হন তবে আপনারা শুধু আখিরাতেই ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না, বরং খিলাফতের প্রত্যাবর্তনের পর দুনিয়াতেও ভয়াবহ ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, যা খুবই সন্নিকটে ইনশা’আল্লাহ্। ইসলাম ও উম্মাহ্’র নিষ্ঠাবান সন্তানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সকল অপরাধের জন্য অন্যায়কারীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হবে।
হে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারবৃন্দ!
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় সংঘটিত হতে দেখলে সে যেন তা নিজ হাতে প্রতিরোধ করে। (নিজ হাতে প্রতিরোধ করতে) সম্ভব না হলে যেন মুখে প্রতিবাদ করে। যদি তাও সম্ভব না হয় তবে যেন অন্তত মন থেকে ঘৃণা করে — এটা দুর্বলতম ঈমানের আলামত” (মুসলিম)। এই হাদীস অনুসারে আপনারা হলেন প্রথম কাতারের অন্তভূর্ক্ত, কারণ আপনাদের হাতে রয়েছে সামরিক ক্ষমতা যার মাধ্যমে আপনারা যেকোন যুলুমকে অপসারণ করতে সক্ষম। তাই খিলাফতের আহ্বানকারীদের উপর সরকারের যুলুম-নির্যাতন অপসারণে উদ্যোগী হওয়া আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব। আপনাদের যেসব সহকর্মী মাঠ-প্রশাসনে কর্মরত আছেন তাদেরকেও খিলাফতের আহ্বানকারীদের উপর যুলুম বন্ধ ও প্রতিহত করার নির্দেশ দিন। সর্বোপরি, ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থে এই যালিম সরকারকে ক্ষমতা হতে অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর—এর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্’কে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক” [সূরা আত—তওবাহ্ : ১১৯]।
রবিবার, ১৩ জিলকদ্ব, ১৪৪৩ হিজরী
১২ জুন, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ