হাসিনা সরকার কর্তৃক অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে সরাসরি তেল আবিব থেকে পর পর দুই দিন দুটি বিমানের ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর-এর সমাবেশ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
হাসিনা সরকার কর্তৃক অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার অংশ হিসেবে সরাসরি তেল আবিব থেকে পর পর দুই দিন দুটি বিমানের ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর-এর সমাবেশ
হিযবুত তাহ্রীর/উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ, আজ (১৯/৪/২০২৪) শুক্রবার বাদ জুমু‘আ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল, “সরাসরি অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল থেকে পরপর দুইদিন দুটি বিমানের ঢাকায় আগমন, অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি মাইলফলক – এর মাধ্যমে হাসিনা সরকার ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে তার বিশ্বাসঘাতকতার শেষ লজ্জাবরণটি উন্মোচন করল”।
সমাবেশে বক্তাগণ হাসিনা সরকার যে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ করতে মরিয়া এই বিষয়ে বলেন: আমেরিকাকে খুশি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে মরিয়া হাসিনা সরকারও বিশ্বাসঘাতক আরব মুসলিম শাসকদের কাতারে শামিল হচ্ছে, যারা ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আমেরিকার মধ্যস্থতায় ওয়াশিংটন ডিসিতে আব্রাহাম চুক্তি সই করেছিল ও অন্যরা সই করার প্রক্রিয়ায় আছে। যখন ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর অভিশপ্ত ইহুদীগোষ্ঠীর বর্বরতা বিশ্ববাসীর বিবেককে তাড়িত করছে, যখন মুসলিমগণ ফিলিস্তিনের পবিত্র ভুমি ও আল-আকসা মসজিদ দখলমুক্ত করতে মুসলিম সামরিক বাহিনীকে প্রেরণ করার দাবীতে বিশ্বব্যাপী সোচ্চার, যখন এই রমযান মাসে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’র নিকট মুসলিমদের ফরিয়াদ ছিল ফিলিস্তিনের মুক্তি, তখন হাসিনা সরকার তার শেষ লজ্জাবরণ ত্যাগ করে মার্কিন “দুই রাষ্ট্র নীতি” অনুযায়ী অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উঠে পড়ে লেগেছে। হাসিনা সরকার জনগণের আবেগ অনুভূতি তোয়াক্কা না করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইসরায়েলী বিমানকে গোপনে দেশের মাটিতে অবতরণ করিয়ে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মাইলফলক স্থাপন করেছে এবং ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্’র সাথে বিশ্বাসঘাতকতার পথ বেছে নিয়েছে।
সমাবেশে বক্তাগণ ফিলিস্তিনের মুসলিমদের সাথে হাসিনা সরকারের প্রতারণার মুখোশ উন্মোচন করে বলেন: হাসিনা হচ্ছে সেই ভন্ড শাসক যে ফিলিস্তিন মুসলিমদের জন্য মায়াকান্না করে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে, অথচ তার সরকার দখলদার ইহুদীগোষ্ঠীর সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। তার সরকার মুজাহিদদের আক্রমণ থেকে ইহুদীগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে লেবাননে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ৭৫ সদস্যকে প্রেরণ করেছে। অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ হিসেবে ইতিপূর্বে তার সরকার বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “ইসরাইল ব্যাতিত” শব্দ দুটি বাতিল করেছে। যখন ইসরায়েলী গণহত্যায় অদ্যাবধি ৩৩,০০০ ফিলিস্তিনি মুসলিম প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে ২৫,০০০ শিশু ও নারী, এমন বাস্তবতায় ইসরায়েলের বিমানসমূহ দেশের মাটিতে অবতরণ করতে দিয়ে হাসিনা সরকার তার বিশ্বাসঘাতকতার তীর দিয়ে মুসলিমদের হৃদয়ে আরও রক্তক্ষরণ করলো এবং ইসলাম ও মুসলিমদের সাথে তার বিশ্বাসঘাতকতার শেষ লজ্জাবরণ উন্মোচন করল। “আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুন; তারা কিভাবে বিভ্রান্ত হয়?” [সূরা মুনাফিকুনঃ ৪]।
ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করতে মুসলিমদের দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে বক্তাগণ বলেন: মুসলিম উম্মাহ্ প্রত্যক্ষ করেছে কীভাবে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে খিলাফত ধ্বংসের পর পশ্চিমা কাফির উপনিবেশবাদীদের মদদে ইহুদীগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি দখল করেছে, মুসলিম উম্মাহ্’র উপর চাপিয়ে দেয়া দালাল ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদের নীরবতায় এই পবিত্র ভূমিকে আঁকড়ে থাকা ফিলিস্তিন মুসলিমদের উপর বর্বরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং মুসলিমদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদকে প্রতিনিয়ত অপবিত্র করছে। তাই ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার একমাত্র উপায় খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার রাজনৈতিক সংগ্রামে হিযবুত তাহ্রীর-এর সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং আমাদের সন্তানদের মধ্যে যারা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদেরকে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ প্রদানে অনুপ্রাণিত করা, যে খিলাফত রাষ্ট্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করবে, ইনশা‘আল্লাহ্।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস