সরকার খিলাফতের আহ্বানকে ক্ষতি করতে সময় টিভিকে ব্যবহার করছে হিযবুত তাহ্রীর-এর উপর মিথ্যা-অপবাদ লেপনে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করতে
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
সরকার খিলাফতের আহ্বানকে ক্ষতি করতে সময় টিভিকে ব্যবহার করছে হিযবুত তাহ্রীর-এর উপর মিথ্যা-অপবাদ লেপনে বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করতে
সরকারের অঘোষিত মুখপত্র হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশের সময় নিউজ টিভি ১৭/০১/২০২৩ তারিখে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রতিবেদনে দাবী করে যে, হিযবুত তাহ্রীর-এর সাথে তথাকথিত সম্পর্ক আছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে কর্মরত একজন সাথে, যিনি আবার অন্যান্য পশ্চিমা দেশের দূতাবাসগুলোর সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখেন। প্রতিবেদনটিতে দলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর জন্য যেধরনের ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ আশ্রয় নেয়া হয়েছে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ-এর মিডিয়া অফিস তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে, কেননা বাংলাদেশে কিংবা বিশ্বের কোন প্রান্তে যেখানেই দলটির কর্মকাণ্ড রয়েছে সেখানকার কোন দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশন, কিংবা তাদের কর্মকর্তাদের সাথে দলটির কোন ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখার কোন রেকর্ড নেই, তাদের কাছ থেকে কোনধরণের সহায়তা গ্রহণতো দূরের বিষয়। এটি ইতিমধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, ১৯৫৩ সালে হিযবুত তাহ্রীর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে দলটি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভূ-খন্ডসমূহকে কাফির-উপনিবেশবাদীদের কবল থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে এবং খিলাফতে রাশিদাহ্ পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী জীবনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিক সংগ্রাম পরিচালনা করে আসছে। যার অংশ হিসেবে দলটি নিরলসভাবে দেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিসহ সকলক্ষেত্রে ঔপনিবেশিক শক্তিসমূহ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করে আসছে। নব্য ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল থেকে প্রকৃত স্বাধীনতা ও মুক্তি অর্জনের উপায় সম্পর্কে জনগণকে ধারাবাহিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে আসছে। হিযবুত তাহ্রীর তার ৭০ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের ইতিহাসে কাফির-উপনিবেশবাদী ও তাদের দালাল শাসকদের পক্ষ থেকে অকথ্য নির্যাতন, গ্রেফতার, সাজা, অপপ্রচার ইত্যাদির সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও কখনো কোনো বিদেশী শক্তি বা তাদের দালাল শাসকদের সাথে পৃথিবীর কোথাও কোনো ধরনের আপস করেনি। দলটি পশ্চিমা বিশ্বব্যবস্থার অধীনে কাজ করে না এবং বিদেশী দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষমতা পরিবর্তনে বিশ্বাস করে না। বরং, খিলাফতের শাসনব্যবস্থার পক্ষে জনমত তৈরির পাশাপাশি দলটি সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদের প্রতি নুসরাহ (সামরিক সহায়তা)-এর আহ্বান জানায় যেন তারা ক্ষমতাসীন শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে, যাতে মুসলিম ভূ-খন্ডসমূহকে ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য থেকে মুক্ত করা যায়। একটি নিয়মতান্ত্রিক, নিষ্ঠাবান ও সত্যবাদী বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক দল হিসেবে হিযবুত তাহ্রীর ইতিমধ্যেই দেশের জনগণ এবং নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের নিকট তার ঔপনিবেশিক-বিরোধী অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে। কিন্তু তারপরও আমরা হিযবুত তাহ্রীরের দাওয়াহকে বাধাগ্রস্থ করতে হাসিনা সরকারের মরিয়া দেখতে পাচ্ছি। কয়েকদিন আগে দলটিকে চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করার পর এবার আমরা রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপবাদ দিয়ে হিযবুত তাহ্রীরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য মিডিয়াকে ব্যবহার করে আরেকটি প্রচেষ্টা দেখেছি। এই অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী সংবাদ মাধ্যমকে জাতির সামনে সত্য তুলে ধরতে দেয় না, বরং তাদের মুখপত্র হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে যাতে তারা খিলাফতের দাওয়াতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং শরীয়াহ বাস্তবায়নে বিলম্ব করাতে পারে।
হে সাংবাদিকগণ, হিযবুত তাহ্রীর যখন নিজেই পশ্চিমা-উপনিবেশবাদীদের হীন এজেন্ডাসমূহ জাতির সামনে উন্মোচন করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তখন পশ্চিমা দেশসমূহের দূতাবাসগুলোর সাথে তার তথাকথিত সম্পৃক্ততার গল্প তৈরি করা কি সত্যিই হাস্যকর বিষয় নয়! আপনারা যদি সত্যিই নিজেদেরকে সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ হিসেবে দাবী করেন, তবে আপনাদের উচিত আরও ভালোভাবে হিযবুত তাহ্রীর-এর কর্মপদ্ধতি এবং রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে জানা। হিযবুত তাহ্রীর হচ্ছে এমন একটি দল যেটি জনগণের মধ্যে এবং জনগণের জন্য কাজ করে। সুতরাং, উম্মাহ্’র কণ্ঠস্বর এই সত্যনিষ্ঠ আন্দোলনকে অপবাদ দেয়ার যেকোন প্রচেষ্টাই একটি অপরিপক্ক কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা জনগণের মধ্যে আপনাদের গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতাকে নষ্ট করবে। মনে রাখবেন, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মিথ্যাবাদীদের উপর লা‘নত বর্ষণ করেন: *…أَنَّ لَعْنَةَ اللَّهِ عَلَيْهِ إِنْ كَانَ مِنْ الْكَاذِبِينَ* “…তার উপর আল্লাহ্’র লা‘নত, যদি সে মিথ্যাবাদীদের একজন হয়” [সূরা আন-নূর: ৭]। আপনারা যেহেতু দাবী করেন মিডিয়া সমাজের প্রতিচ্ছবি, সেহেতু আপনাদের পরিবেশিত সংবাদসমূহে সমাজের দাবীসমূহ প্রতিফলিত হওয়া উচিত- যা হচ্ছে এই দেশের জনগণ পশ্চিমা ঔপনিবেশিকদের মদদপুষ্ট হাসিনা সরকারের অত্যাচারী শাসন থেকে মুক্তি চায়। বাংলাদেশে পশ্চিমা শক্তিসমূহের ভূ-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও হস্তক্ষেপ, এবং এসব অপরাধে এদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিবিদদের সহযোগিতার কথা আপনাদের নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা উচিত। হে সাংবাদিকগণ! আপনারা আমাদের শত্রু নন। আপনারা আমাদের ভাই। আপনারা যে সমাজে বসবাস করেন হিযবুত তাহ্রীর -এর কর্মীরাও সেই একই সমাজ থেকে এসেছে, অতএব আমাদের সকলের রাজনৈতিক সংগ্রাম কেবলমাত্র আমাদের সকলের শত্রু এই কাফির-উপনিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হওয়া উচিত। তাই আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা থেকে এবং ক্ষমতাসীন দালাল সরকারের মুখপত্র হিসাবে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনারা খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে নাও পারেন তবে অন্ততপক্ষে এই জালিম সরকারের নির্দেশে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকুন।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ-এর মিডিয়া কার্যালয়