working to establish khilafah

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এল.ডি.সি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত

রাজনৈতিক দাবি আদায়ের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হরতাল–অবরোধ এখন আতংক ও দুর্ভোগের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরতাল-অবোরধের নামে একের পর এক সহিংস ঘটনা ঘটছে। দিন দিন এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বেড়েই চলছে । অবরোধ কর্মসুচি পালনের নামে গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, নির্বিচারে বাস-ট্রাকে ভাঙচুর-আগুন, রেললাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সংবাদপত্রের ভাষ্য অনুযায়ী –“অবোরধের বিভীষিকায় মধ্যরাতে পুড়ল ৫ প্রাণ”, “সহিংস রাজনীতির শিকার ফেনীর এস.এস.সি পরীক্ষার্থী অনিক ও শাহরিয়ার”, “বাসে–ট্রাকে বোমা দুই যুবক নিহত, অবরোধে অর্ধশতক গাড়িতে আগুন”,‍ “পুলিশের বাসে পেট্রলবোমা, দগ্ধ ৫ পুলিশ” এই হল অবরোধের আংশিক চিত্র । বিরোধী দলের কথা অনুযায়ী, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। অপরদিকে সরকার যে কোন মুল্যে নাশকতা, সন্ত্রাস দূর করে জনগণের মাঝে শান্তি বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, প্রয়োজনে নাশকতাকারীদের পায়ে নয়, বুকে গুলি করা হবে।

বর্তমান পরিস্থিতির মত যে কোন অস্থির সময়ে এক শ্রেনীর উচ্ছিষ্টভোগী সুশীল ও আওয়ামী বিএনপির রাজনীতি থেকে বিতাড়িত কিছু ব্যক্তি দেশ ও জাতিকে উদ্ধারে “সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে সংলাপ তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়”। তাদের মতে সমোঝতা-সংলাপ এর মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান করা যায়। অনেকের মতে, আমদের দেশে Proper গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র বিদ্যমান। আমাদের রাজনীতিবিদের মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে, তাই আমরা উন্নতি করতে পারছি না। তথাকথিত প্রগতিশীলদের মতে, ধর্মীয় রাজনীতিই আমাদের পিছিয়ে পড়ার মুল কারণ।

আমদের সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে যেই গণতন্ত্রকে উপস্তাপন করা হয়, মুলত সেই গণতন্ত্রই আমাদের সকল দুর্ভোগ এর জন্য দায়ী। গণতন্ত্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে আমন্য করে মানুষের সার্বভৌমত্বকে মান্য করা হয়, এখানে কতিপয় মানুষ সকল জনগণের জন্য আইন তৈরি করে, এখানে শাসকের জবাবদিহিতা শুধু মাত্র জনগণের কাছে, আল্লাহর কাছে নয়। গণতন্ত্রে মালিকানার স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে দেশের সম্পদসমূহ বিদেশী কোম্পাণির হাতে তুলে দেয়া হয়, ব্যক্তি ও বিশ্বাসের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে সমাজে যিনা-ব্যভিচার, অশ্লীলতা, স্বেচ্ছাচারিতা ও ইসলামি আকিদাকে নিয়ে কটাক্ষ ও কটূক্তি করা হয়। গনতন্ত্র আমদেরকে আওয়ামী-বিনপিতে বিভক্ত করে বিদেশী প্রভুদের লুটপাটের সুযোগ করে দেয় ও দেশে তৈরি করে কিছু দালাল, যালিম ও মুনাফিক শাসকগোষ্টী, যারা জনগণকে পুড়িয়ে, হরতাল-অবরোধ দিয়ে, জনগণকে জিম্মি করে, জনগণের মৌলিক অধিকারকে কুক্ষিগত করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের মাধ্যমে রাজনীতি করে।

আমাদের ১৫ কোটি মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ করে, শক্তিশালী জাতি হিসেবে দাড়ানোর জন্য গণতন্ত্রকে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে সামগ্রিকভাবে ইসলাম বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসলামের বিধানসমুহ ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামজিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আর্ন্তজাতিক বিষয় পর্যন্ত পরিব্যপ্ত। কিভাবে শাসক নির্বাচন করতে হবে, কিভাবে শাসককে অপসারন করা হবে, কিভাবে শাসককে জবাবদিহি করা হবে, শাসক জনগণের কোন অধিকারসমূহ পূরন করতে বাধ্য, সবই ইসলামে বিস্তারিত বলা আছে। ইসলামের আইন সমুহ মানুষের ফিতরাতের সাথে মিলে এবং যুগের কারণে আইন সমূহ কখনোই পুরাতন/অচল হয় না কারণ আইন সমূহের উৎস অসীম আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা।

তাই একমাত্র ইসলামই পারে আমাদের দেশের রাজনৈতিক দীনতা দূর করে ও আওয়ামী–বিএনপির ভেদাভেদ ভুলে মুসলিম হিসেবে ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে মাথা উচু করে দাড় করাতে ।

রাসূল (সা) ১৪০০ বছর পূর্বে মদিনায় ইসলাম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আউস, খাযরায, ইহুদি ও বেদুইনদের নিয়ে এমন এক শক্তিশালী মুসলিম জাতি তৈরি করেছেন যার সূর্যোদয় শুধু মাত্র আরব ভুন্ডে ছিল না, বরং ওই রাষ্ট্রের ব্যাপ্তি ছড়িয়ে পরেছিল সমগ্র পৃথিবীতে, যখন যানবাহন ছিল উট ও যোগাযোগের মাধ্যম ছিল কেবল মুখের ভাষা ও কলমের লেখনী। তেমনি আমরা ও যদি ইসলাম দিয়ে সকল সম্যসার সমাধান করি, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলাম বাস্তবায়ন করি তবে পূর্বের মত আবার আমরা ইনশাল্লাহ শক্তিশালী জাতি হিসেবে আর্বিভূত হব।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন – তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাদের তিনি খিলাফত দান করবেন, যেমনটি তিনি দান করেছেন তোমাদের পূর্ববর্তীদের……………। (সুরা নুর ৫৫)