working to establish khilafah

অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের কাপুরুষ সৈন্যগণ কর্তৃক আল-মাসজিদ আল-আকসা এবং ইবাদতকারীদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ ক্রীতদাসতুল্য মুসলিম শাসকগণ তাদের সাথে যুদ্ধের পরিবর্তে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করছে!

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের কাপুরুষ সৈন্যগণ কর্তৃক আলমাসজিদ আলআকসা এবং ইবাদতকারীদের পবিত্রতা লঙ্ঘনের ঘটনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ ক্রীতদাসতুল্য মুসলিম শাসকগণ তাদের সাথে যুদ্ধের পরিবর্তে সম্পর্ককে স্বাভাবিক করছে!

এই ধর্মনিরপেক্ষ শাসকদেরকে অপসারণ করে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা উম্মাহ্র জন্য বাধ্যতামূলক, যে খিলাফত এই সীমাহীন অত্যাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্থ ইহুদি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবে

সমস্ত পবিত্রতা লঙ্ঘন করে ইহুদি সত্তার সৈন্যরা গত ১৫ এপ্রিল, রোজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আল-মাসজিদ আল-আকসায় ন্যক্কারজনকভাবে হামলা চালিয়েছে। পবিত্র রমযান মাস এবং ইসলাম ও মুসলিমদের প্রথম কেবলা ও রাসূলুল্লাহ্ -এর ইসরা-মিরাজের স্থান আল-আকসা’র স্থানের পবিত্রতা লঙ্ঘন করে কাপুরুষ সৈন্যরা নামাযরত ও ‘ইতিকাফ-এ বসা মুসলিম এবং বিশ্বস্ত প্রহরীদের উপর নিষ্ঠুরভাবে হামলা চালায় ও তাদেরকে অবমাননা করে। তারা শতাধিক মানুষকে আহত করে, কয়েকশত মুসলিমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়, মসজিদের জানালা চুরমার করে, নামায আদায়কারীদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙ্গে দেয়, এমনকি পবিত্র নারীদের লাঞ্ছিত করার এবং বুট দিয়ে জায়নামাজকে পদদলিত করার স্পর্ধা দেখায়। এসবই ঘটল এমন এক সময়ে যখন বসতি স্থাপনকারীদের দল ঘোষণা দিয়েছিল, তারা আল-মসজিদ আল-আকসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করবে, তাদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে এবং পশু জবাই করবে।

অবৈধভাবে আল-মাসজিদ আল-আকসা দখলের পর থেকেই এই ইহুদি রাষ্ট্র বৈরী ও শত্রুতামূলক আচরণ করে আসছে, আজকের এই ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। এই অভিশপ্ত ইহুদিরা বিরামহীনভাবে হামলা চালাচ্ছে, তাদের অপরাধের তীব্রতা যেমন বেড়েছে তেমনি তাদের দুর্নীতির মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছে, তারা এখন প্রতিদিনই নিরপরাধ মুসলিমদের রক্ত ঝরাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, ইহুদিদের সহযোগী মুসলিম বিশ্বের বিশ্বাসঘাতক দালাল শাসকদের অবহেলা এবং ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মাধ্যমে আল-আকসা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ইহুদিদের শত্রুতাকে তীব্রতর করার সুযোগ দেয়া হয়েছে, যাতে তারা এই পবিত্র মসজিদকে বিভক্ত করে নিজেদের অপবিত্র অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে। আর এটা শুধু অবধারিতভাবে পবিত্র মসজিদকে তাদের পুরোপুরি দখলে নিয়ে আসার প্রাথমিক পদক্ষেপ মাত্র ।

হে মুসলিমগণ, সামগ্রিকভাবে এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই বরকতময় মাসে পবিত্র আল-আকসার পবিত্রতা লঙ্ঘন এবং পবিত্র নারীদেরকে প্রহারের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধ নিশ্চয়ই এই ইহুদি সত্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং মুসলিমদের শত্রুদের বিরুদ্ধে সমস্ত ফ্রন্ট উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। ইসলামী উম্মাহ্’র গৌরবময় ইতিহাসে এর চেয়ে অনেক কম মাত্রার অপরাধও চুক্তি ভাঙ্গার এবং সামরিক বাহিনী প্রেরণ করার জন্য যথেষ্ট ছিল। মক্কা বিজয়ের অভিযান কি সেই ব্যক্তির কাতর আহবানে সাড়া দেয়া ব্যতীত অন্য কিছু ছিল, যে আল্লাহ্’র রাসূলকে ডেকে বলেছিল, তারা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে, আমাদেরকে হত্যা করেছে, যখন আমরা রুকু ও সিজদায় রত ছিলাম? বর্তমান তুরস্কের আমোরিয়াম অঞ্চলে বিজয় অভিযান কি একজন মুসলিম নারীর কান্নার প্রতিক্রিয়া ছাড়া অন্যকিছু ছিল, যে চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন করে বলেছিল, কোথায় হে মুতাসিম …?” অথচ, এখন আপনারা নীরবভাবে দেখছেন যে আল-মাসজিদ আল-আকসার আঙিনায় ফজরের সময়ে আপনাদের বোনদেরকে নিষ্ঠুরভাবে পেটানো হচ্ছে! উপরন্তু, খিলাফতের অবর্তমানে আপনারা অপমানজনক ঘটনারও সাক্ষী হয়েছেন, যখন হাসিনা সরকার এই অবৈধ সত্তার কাপুরুষ সৈন্যদের সাথে সামরিক মহড়ায় যোগ দেয়ার জন্য আমাদের সামরিক বাহিনীর মুসলিম অফিসার ও সৈন্যদেরকে প্রেরণ করেছে।

হে মুসলিমগণ, আপনারা কি ইসলামী রাষ্ট্র খিলাফতে রাশিদাহ্ প্রতিষ্ঠা করবেন না, যার সামরিক বাহিনী আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’র ইচ্ছায় এই অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র এবং এর মদদদাতা থাকা সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন-ব্রিটিশসহ পশ্চিমা কুফর রাষ্ট্রসমূহকে পরাভূত করবে, এবং স্মরণীয় সেই দিবস মুসলিম বাহিনীর তাক্ববীর ধ্বনি দ্বারা প্রকম্পিত হবে? এটি একটি সত্য ওয়াদা, যা সত্যবাদী এবং বিশ্বস্ত রাসূলুল্লাহ কর্তৃক উচ্চারিত হয়েছে: «لَتُقَاتِلُنَّ الْيَهُودَ فَلَتَقْتُلُنَّهُمْ، حَتَّى يَقُولَ الْحَجَرُ يَا مُسْلِمُ هَذَا يَهُودِيٌّ فَتَعَالَ فَاقْتُلْهُ» তোমরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং তাদেরকে হত্যা করবে, যতক্ষণ না একটি পাথরও বলবে: এখানে এসো হে মুসলিম, এখানে একজন ইহুদি (আমার পিছনে লুকিয়ে আছে), তাকে হত্যা কর।”

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশএর মিডিয়া কার্যালয়