working to establish khilafah

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাফির উপনিবেশবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে আজ্ঞাবহ নীতি গ্রহণ করেছে তার বিরুদ্ধে দেশের নিষ্ঠাবান শক্তিসমূহকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাফির উপনিবেশবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি যে আজ্ঞাবহ নীতি গ্রহণ করেছে তার বিরুদ্ধে দেশের নিষ্ঠাবান শক্তিসমূহকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ‘আরাকান আর্মির’ আগ্রাসন থেকে আমাদের সীমান্ত রক্ষায় অনীহা প্রদর্শন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, অথচ তারা ইউক্রেনে আমেরিকার মিশন সফল করতে আমাদের সৈন্য ব্যবহারে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে! ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ১০ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিয়ানমার-ভিত্তিক এই বিদ্রোহী-গোষ্ঠী নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৩২৫ জন জেলেকে অপহরণ করেছে (bdnews24.com, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫)। অথচ পরিহাসের বিষয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় এবং দেশের জনগণ ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ এই আরাকান আর্মির (মার্কিন প্রক্সি) উপস্থিতিকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করেছে। একই সাথে, এই সরকার আমেরিকাকে খুশি করতে  ইউক্রেনের প্রতি অতি দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যদি শান্তি চুক্তি চূড়ান্ত হয় তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া-ইউক্রেন বাফার জোনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। এন.বি.সি নিউজ (NBC News) রিপোর্ট করেছে যে, বাংলাদেশের মতো ন্যাটো-বহির্ভূত দেশগুলো থেকেও সৈন্য মোতায়েন করা হতে পারে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন প্রেসকে বলেছেন, বাংলাদেশ এই ধরনের যেকোন অপারেশনে অংশ নিতে আগ্রহী। অন্যদিকে, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF) সীমান্ত অঞ্চলে আমাদের লোকদের প্রতিনিয়তই হত্যা করে চলেছে, এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নিহত হয়েছে, অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের রক্ষায় খুব সামান্য পদক্ষেপই নিয়েছে, কিংবা কার্যকর  পদক্ষেপই নেয়নি। সুতরাং, এটা সরকারের চরম দ্বিমুখীতা যে, দেশের প্রয়োজনে সৈন্যদেরকে কাজে না লাগিয়ে, সেই একই সৈন্যদেরকে পশ্চিমাদের ভাড়াটে ভৃত্য হিসেবে নিয়োজিত করতে চাচ্ছে।

হে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারগণ, আমরা দৃঢ়ভাবে বলছি এবং আপনাদেরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, এই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলো কেবল মার্কিন নেতৃত্বাধীন নব্য-উপনিবেশবাদের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে এবং মার্কিন-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য কৌশলগত সম্পদ ও স্বার্থসমূহ সুরক্ষিত করার কাজে এগুলোকে ব্যবহার করা হয়। এই প্রকল্পগুলোতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আপনারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত এসব কাফির দেশগুলোর উপনিবেশবাদী প্রকল্পগুলোতে সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রাখছেন। হে অফিসারগণ, দেশের প্রতারক শাসকেরা আপনাদেরকে পশ্চিমা পুঁজিবাদী বিশ্ব ব্যবস্থার এক নগণ্য খেলনায় পরিণত করেছে। সামান্য কিছু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লোভে এবং পশ্চিমাদের প্রতি আনুগত্য প্রমাণের আশায় তারা আপনাদের গৌরবময় অতীত ভুলিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ্’র নবী মুহাম্মদ -এর সময় থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত, এই দুনিয়ায় একমাত্র মুসলিম সেনাবাহিনীই মানবতাকে কাফিরদের অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছে। খিলাফতে রাশিদাহ্’র সেনাবাহিনী কখনও নিজেদের সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকেনি, বরং আল্লাহ্ ﷻ-এর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদের মাধ্যমে দুনিয়ার অর্ধেক অংশকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে এসেছিল। অথচ, এই শাসকেরা আজ আপনাদেরকে এমন এক নিম্নস্তরে পতিত করেছে যে, আপনারা নিজেদের সীমানা সুরক্ষিত রাখতেই ব্যর্থ হচ্ছেন, সমগ্র বিশ্ব জয় করা তো বহু দূরের বিষয়। খিলাফতের সেনাবাহিনী কখনও স্বর্ণ ও রৌপ্যের বিনিময়ে রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্যের ভাড়াটে সৈনিক হিসেবে বিলাসবহুল জীবনযাপনের চেষ্টা করেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রতারক শাসকেরা জাতিসংঘ মিশনে ডলার উপার্জনকে আপনাদের গর্বের কারণ বানিয়েছে। দেখুন, জাতিরাষ্ট্রের শাসকেরা আজ আপনাদেরকে কতটা নিচে নামিয়ে এনেছে! আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নবুয়্যতের আদলে প্রতিশ্রুত খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্‌রীর-কে সমর্থন করুন। আপনাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত খিলাফতের পুনর্জাগরণে মূল ভূমিকা পালন করা এবং পশ্চিমা কুফর শক্তিসমূহের ক্ষমতা ও তাদের বিশ্ব ব্যবস্থাকে নির্মূল করা। মনে রাখবেন, রাসূলুল্লাহ্ -এর সময় থেকে শুরু করে বিগত ১৪০০ বছরে ইসলামকে পূর্ণাঙ্গভাবে পুনরুজ্জীবিত করার এই মহান সুযোগ আর কোনো প্রজন্ম পায়নি। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন:

﴿هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ

“তিনিই তাঁর রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তা বিজয়ী করে দেন, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে” [সূরা আস-সফ: ০৯]

 

হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস