working to establish khilafah

২৫ ফেব্রুয়ারী “বিডিআর বিদ্রোহ” দেশের সেনাবাহিনী এবং সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার একটি স্মৃতিস্তম্ভ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

২৫ ফেব্রুয়ারী “বিডিআর বিদ্রোহ”

দেশের সেনাবাহিনী এবং সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের বিশ্বাসঘাতকতার একটি স্মৃতিস্তম্ভ

 

রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদপ্তরে ঘটে যাওয়া দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার হাসিনা সরকারের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের ১৫ বছর আজ। সে ঘটনায় বিডিআর সৈনিকদের বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সাহসী মেধাবী সেনাঅফিসারসহ মোট ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার লক্ষ্যে হাসিনা সরকারের সহযোগীতায় ভারত এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে। সম্প্রতি একজন ভারতীয় সাংবাদিক (অবিনাশ পালিওয়াল, লন্ডনের SOAS বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন সহযোগী অধ্যাপক, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ফোকাস সহ বৈদেশিক ও নিরাপত্তা নীতি বিশ্লেষণে বিশেষজ্ঞ) দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া আউটলেট ‘Hindustan Times’-এর লেখায় ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়। তার বক্তব্যে ফুটে উঠেছে, পিলখানায় যাতে সেনা অভিযান চালানো না হয় সেজন্য ভারত বিডিআর বিদ্রোহের সময় বাংলাদেশে সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়েছিল। এছাড়া ঘটনার ধারাবাহিকতায় হাসিনা সরকার নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের বিভিন্ন অজুহাতে চাকুরীচ্যুত করে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাকুরী ত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং অনেক অফিসারদের গুম-খুন করে পুরো সামরিক বাহিনীর মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয় তারপর থেকে সেনাবাহিনীকে ব্যাপক সংস্কার করে তাদেরকে ভারতের আজ্ঞাবহ বাহিনী হিসেবে পুনর্গঠন করার প্রকল্প চলমান রাখে। শত্রুরাষ্ট্র ভারত কর্তৃক দেশের সেনাঅফিসারদের প্রশিক্ষণ প্রদান, ভারতের সাথে সামরিক চুক্তি, সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর ক্রমবর্ধমান আগ্রাসনের মাধ্যমে দেশের সামরিক বাহিনীর উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার। অন্যদিকে মার্কিন-ভারতের নয়া সম্পর্কের কারণে মার্কিন দালাল বিএনপিগোষ্ঠীও এই ষড়যন্ত্রের বিষয়ে না-দেখার ভুমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং তাদের দলের মধ্যেও ব্যাপক সংস্কার সাধন করে। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ঠেকাতে এবং মুসলিম উম্মাহ্‌’র রাজনৈতিক আকাঙ্খা খিলাফত ব্যবস্থার উত্থানকে মোকাবিলা করতে অত্র অঞ্চলে ভারতকে চৌকিদারের ভূমিকায় প্রতিষ্ঠা করছে।  আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, “যদি তারা তোমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, তাহলে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত  হবে, এবং তাদের হস্ত ও রসনাসমূহ প্রসারিত করে তোমাদের ক্ষতি সাধন করবে, এবং তাদের আকাংখা তোমরা যেন কাফিরদের কাতারে শামিল হও [সূরা আল-মুমতাহিনা: ০২]।

হে দেশবাসী, ব্রিটিশ আমল থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী কাফির-উপনিবেশবাদীদের দালাল এবং তারা প্রকৃতপক্ষে, দেশ ও মুসলিমদের শত্রু। তাই আপনাদের উচিত এসব ধর্মনিরপেক্ষ দালালগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করা, কারণ তারা দেশের স্বার্থ রক্ষা করে না এবং মুসলিমদেরকেও প্রতিনিধিত্ব করে না। কাফির-মুশরিক শক্তির কবল থেকে আমাদেরকে মুক্তি পেতে হলে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “ইমাম (খলিফা) হচ্ছে ঢালস্বরূপ যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ কর এবং নিজেদেরকে রক্ষা কর (সহীহ্ মুসলিম)।

হে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারবৃন্দ, আপনারা অবগত আছেন, হাসিনা সরকার কীভাবে ভারতের মোকাবিলায় আপনাদেরকে পুরুষ হওয়ার পরিবর্তে কাপুরুষ হওয়ার দীক্ষা দিচ্ছে। যার একটি নিদর্শন হলো আপনাদের একজন সহকর্মীকে ভারতের বিএসএফ তুলে নিয়ে হত্যা করছে, যার প্রতিউত্তরে আপনাদেরকে নিষ্ক্রিয় থাকতে বাধ্য করেছে। তাই আপনাদের উচিত এই দালাল শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতৃত্বে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী হওয়া, এবং এই লক্ষ্যে হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করা। কারণ একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্র আপানদেরকে শত্রুর মোকাবেলায় শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলবে। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,

﴿وَأَعِدُّوا لَهُمْ مَا اسْتَطَعْتُمْ مِنْ قُوَّةٍ وَمِنْ رِبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ وَآخَرِينَ مِنْ دُونِهِمْ لاَ تَعْلَمُونَهُمُ اللَّهُ يَعْلَمُهُمْ وَمَا تُنفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ يُوَفَّ إِلَيْكُمْ وَأَنْتُمْ لاَ تُظْلَمُونَ﴾

 “আর প্রস্তুত করো তাদেরকে মোকাবিলার জন্য তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী শক্তি ও অশ্ববাহিনী, যেন ভয়ের সঞ্চার হয় আল্লাহ্’র শত্রু ও তোমাদের শত্রুদের মধ্যে, আর এরা ছাড়া অন্যদের মধ্যেও যাদেরকে তোমরা জানো না কিন্তু আল্লাহ্ তাদেরকে চেনেন”। [আনফালঃ ৬০]

হিযবুত তাহ্‌রীর / উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশ-এর মিডিয়া অফিস