working to establish khilafah

হে মুসলিমগণ! অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদদের গোপন সম্পর্ক প্রমাণ করে যে, তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের চরম শত্রু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

 হে মুসলিমগণ! অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী ও রাজনীতিবিদদের গোপন সম্পর্ক প্রমাণ করে যে, তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের চরম শত্রু

The New Age এবং বাংলাদেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমসমূহ ১১/০১/২০২৩ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ সরকার গতবছর অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র ‘ইসরায়েল’-এর গোয়েন্দা প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক কমান্ডার দ্বারা পরিচালিত একটি কোম্পানির কাছ থেকে গোপনে স্পাইওয়্যার এবং আধুনিক নজরদারি সরঞ্জামাদি ক্রয় করেছে। মুনাফিক হাসিনা সরকার এমন এক গোষ্ঠীর অংশীদার হওয়ার পথ বেছে নিয়েছে, যাদেরকে বিশ্বজগতের প্রভু আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন। মুসলিমদের মধ্যে এমন কে আছে যারা কিনা মুসলিমদেরই উপর গুপ্তচরবৃত্তি ও অত্যাচারের উদ্দেশ্যে উম্মাহ্’র কট্টর শত্রুদের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারে, যদি না তারা নিজেরাও হয় মুসলিমদের প্রতি তীব্র ঘৃণা পোষণকারী! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,

*لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا*

“আপনি অবশ্যই মু’মিনদের প্রতি শত্রুতায় মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কট্টর পাবেন ইয়াহুদীদেরকে এবং সেই সমস্ত লোকদেরকে যারা শিরক করে” [সূরা আল মায়িদাহ্: ৮২]। গত বছরের জানুয়ারিতে বিশ্বাসঘাতক এই সরকার আমাদের নৌবাহিনীকে একটি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম এক্সারসাইজ (IMX)-এ অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করে, যেখানে ‘ইসরায়েল’ও প্রথমবারের মতো যোগদান করে। ক্রুসেডারদের মোড়ল আমেরিকা মুসলিমদেশসমূহ এবং অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের মধ্যে যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করছে তারই অংশ হিসেবে এই মহড়াটির আয়োজন করা হয়। এটা স্পষ্ট যে বিশ্বাসঘাতক হাসিনা সরকার দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চায় যাতে আমেরিকার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষা হয় এবং এর প্রতিদান হিসেবে তারও গদি সুরক্ষিত হয়। নিশ্চয়ই এই সরকার ‘জালিমদের’ (অত্যাচারীদের) অন্তর্ভুক্ত, যারা আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের সাথে মিত্রতার মাধ্যমে তাঁর (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) ক্রোধ অর্জন করছে:

 

*يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَتَّخِذُوا الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى أَوْلِيَاءَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ مِنْكُمْ فَإِنَّهُ مِنْهُمْ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ*

“হে মুমিণগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জালিমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না” [সূরা আল মায়িদাহ্: ৫১]।

এছাড়া, এধরনের বিশ্বাসঘাতকতায় যে কেবল বর্তমান শাসকগোষ্ঠীই জড়িত, তা নয়, বরং ধর্মনিরপেক্ষ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে দখলদার ‘ইসরায়েল’-এর নেতাদের যোগাযোগ থাকার খবর পাওয়া যায়। ইতিপূর্বে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী এবং সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর-এর সাথে অবৈধ ইহুদি সত্তার সিনিয়র রাজনীতিবিদ মেন্দি এন সাফাদির বিতর্কিত বৈঠক জনগণের মনে আলোড়ন তুলেছে। অতএব, এই বিশ্বাসঘাতক ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী ও বিরোধী দলীয় নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি মিথ্যা সংহতি দেখিয়ে মুসলিমদেরকে ধোঁকা দিচ্ছে, কারণ তারা পবিত্র আল-আকসা মসজিদের হানাদারের সাথে গোপনে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে।

 

হে মুসলিমগণ! ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি ও শাসনব্যবস্থার মূলকথাই হলো ফায়দা লুট করা এবং সুবিধা আদায়ে ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা না করা। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের পরিমন্ডলে আল-ওয়ালা ওয়াল বারা‘আ (আল্লাহ্’র সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালবাসা এবং ঘৃণা করা)-এর মত আদর্শিক ইসলামী বিশ্বাসের কোন স্থান নেই। পশ্চিমা আধিপত্যবাদী এই বিশ্বব্যবস্থার অধীনে আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ﷺ ও মু‘মিনদের প্রতি আনুগত্য আর কাফির শত্রুদের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতার বিষয়টি আজ কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের প্রতি পরম আনুগত্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে! এই বিশ্বব্যবস্থার গর্ভে জন্ম নেয়া আমাদের ভূখণ্ডগুলোর ধর্মনিরপেক্ষ শাসক ও রাজনীতিবিদদের রাজনীতির গন্তব্যই হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিসমূহের স্বার্থ রক্ষা করা। তাদের রাজনীতির ভিত্তি নয় উম্মাহ্’র যত্নশীল অভিভাবকত্ব করা এবং উম্মাহ্’র সম্পদ ও শক্তিকে একীভূত করে কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের শৃঙ্খল থেকে উম্মাহ্’কে মুক্ত করা। তাই বিশ্বাসঘাতকতা, দমন-নিপীড়ন ও জুলুম তাদের রাজনীতির মূল বৈশিষ্ট্য। অতএব, আপনাদেরকে অবশ্যই এই বিশ্বাসঘাতক ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী ও তাদের জুলুমের শাসনব্যবস্থাকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে, এবং নবুয়্যতের আদলে প্রতিশ্রুত খিলাফতে রাশিদাহ্ ফিরিয়ে আনার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। আসন্ন খিলাফত বিশ্বাসঘাতক দালাল শাসকদের এই পৃথিবীতে জবাবদিহিতার মুখোমুখি করবে, আর আল্লাহ্ আল-কাওয়ী আল-আজীম কর্তৃক শেষবিচার দিবসের কঠোর জবাবদিহিতাতো রয়েছেই। রাসূলুল্লাহ ﷺ এধরনের বিশ্বাসঘাতকদের পরিণতি সম্পর্কে আমাদের বলেছেন: শেষ বিচার দিবসে প্রত্যেক বিশ্বাসঘাতকের হাতে একটি করে পতাকা থাকবে, যাতে তাদের বিশ্বাসঘাতকতার পরিমাণ অনুসারে তাদেরকে চিহ্নিত করা যায়; জনগণের নেতার বিশ্বাসঘাতকতার চেয়ে বড় বিশ্বাসঘাতকতা নেই (মুসলিম/বুখারী)।

হিযবুত তাহ্‌রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ-এর মিডিয়া কার্যালয়