working to establish khilafah

হিযবুত তাহ্‌রীর-এর সদস্যদের উপর সরকারের দমন-পীড়ন প্রমাণ করে, খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদানে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আহ্বান দ্বারা হাসিনা সরকারের ক্ষমতার মসনদ কেঁপে উঠেছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

হিযবুত তাহ্রীর-এর সদস্যদের উপর সরকারের দমন-পীড়ন প্রমাণ করে, খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদানে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আহ্বান দ্বারা হাসিনা সরকারের ক্ষমতার মসনদ কেঁপে উঠেছে

 

 ১২/১২/২০২৩ তারিখ গত মঙ্গলবারে, তৌহিদুর রহমানকে গ্রেফতারের এক সপ্তাহ পরই, সিটিটিসি নামক যালিম হাসিনা সরকারের উর্দিধারী গুণ্ডারা হিযবুত তাহ্রীর-এর আরেকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তারা দু‘জনই “যালিম হাসিনা এবং উপনিবেশবাদী মার্কিনীদের কবল থেকে মুক্তির উপায় শিরোনামের অনলাইন রাজনৈতিক সম্মেলনের বক্তা ছিলেন, যা ৩০শে সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে আল-ওয়াকিয়া টিভি থেকে সম্প্রচারিত হয়েছিল। সবাই অবগত যে, তারা তাদের বক্তব্যে হাসিনা সরকার কিভাবে বাংলাদেশে আমেরিকার আধিপত্যকে মেনে নিয়েছে এবং জনগণকে প্রতারিত করে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিচ্ছে তা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছিলেন, এবং তারা এটাও স্পষ্ট করেছিলেন যে, মার্কিন দালাল বিএনপিজোট যালিম হাসিনার কবল থেকে জনগণের মুক্তিদাতা হিসেবে ক্রুসেডার আমেরিকাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের প্রভুর স্বার্থরক্ষার মাধ্যমে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। সেই সম্মেলনে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কিভাবে হাসিনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা যায় এবং দেশকে মার্কিন-বৃটেন-ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত করা যায় সেবিষয়ে হিযবুত তাহ্রীর-এর পক্ষ থেকে একটি রোড-ম্যাপ তুলে ধরা হয়, এবং জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যেন তারা সামরিক অফিসারদের নিকট খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হাসিনাকে অপসারণ করে হিযবুত তাহ্রীর-এর নিষ্ঠাবান নেতৃত্বের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দায়িত্ব পালনের তাগিদ প্রদান করে। এই আহ্বানে দেশের জনগণ ব্যাপকভাবে সাড়া দেয় এবং তাদের পরিচিত নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের নিকট দাবীটি উত্থাপন করে, যা হাসিনা সরকার ও তার ঔপনিবেশিক প্রভুদের কম্পিত করেছে। ফলে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে হাসিনা সরকার দাওয়াহ্‌ বহনকারীদের দমন-পীড়নের পুরোনো ব্যর্থ কৌশল অবলম্বন করছে।

আমরা হাসিনা ও তার দুর্বৃত্ত দোসরদের সতর্ক করে দিচ্ছি যে, নিষ্ঠাবান দাওয়াহ্ বহনকারী ও প্রকৃত রাষ্ট্রনায়কদের গ্রেফতার করে তারা কেবল আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা-এর ক্রোধকে তীব্রতর করছে এবং তাদের পতন ত্বরান্বিত করছে। “নিশ্চয়ই, মহান আল্লাহ্ অত্যাচারীকে ছাড় দেন, যাতে তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন সে (অত্যাচারী) নিস্তার না পায় (বুখারি)। এতদিনে সরকারের উপলব্ধি করা উচিত যে হিযবুত তাহ্রীর এই পৃথিবীতে সত্তর বছরেরও বেশি সময় ধরে দৃঢ়তার সাথে কাজ করছে, আর এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অনেক অত্যাচারী শাসক কিংবা সরকার হিযবুত তাহ্রীর-এর সদস্যদের উপর অত্যাচার করেছে, যারা আল্লাহ্’র ইচ্ছায় কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে কিন্তু হিযবুত তাহ্রীর এখনো দৃঢ়তার সাথে টিকে আছে। সুতরাং, আমরা নিশ্চিত করছি যে হিযবুত তাহ্রীর-এর সদস্যগণ গ্রেফতার বা কারাগারবরণ দ্বারা নিবৃত্ত হবে না। বরং, প্রতিটি দিন অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আমরা পশ্চিমা আধিপত্য, এর শাসন ব্যবস্থা, এবং এর নিকৃষ্ট দালালদের উৎখাত করার জন্য আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হবো, যতদিন না ন্যায়নিষ্ঠ খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “আমার উম্মতের মধ্যে সর্বদা এমন একটি দল (তাইফা) থাকবে যারা হক্বের উপর থাকবে, বিজয়ী হবে, এবং তাদের সাথে মতভেদকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে না, যতক্ষন পর্যন্ত না আল্লাহ্র আদেশ আসে (আবু দাউদ, আহমদ)।

হে দেশবাসী, আমরা আপনাদের প্রতি আমাদের আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করে বলতে চাই, সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আপনাদের সন্তানদের হাতে রয়েছে সেই সামরিক সক্ষমতা যা দ্বারা তারা যালিম হাসিনাকে শাসনক্ষমতা থেকে অপসারণে সক্ষম। হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়নের ঘটনা থেকে নিষ্ঠাবান সেনা-অফিসারদের নিকট আপনাদের দাবীর প্রভাব আপনারা উপলব্ধি করতে পারছেন, যা ইতিমধ্যেই হাসিনা সরকারের ক্ষমতার মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছে। অতএব, তাদের প্রতি আহ্বান জানানোর কাজে আপনারা আপনাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করুন, যাতে তারা হাসিনা সরকারকে অপসারণ করে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে হিযবুত তাহ্রীরকে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদানে দ্রুত অগ্রগামী হয়।

হে সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! দেশের জনগণ আজ যালিম হাসিনার কবল থেকে মুক্তির জন্য আর্তনাদ করছে, অতএব দেশবাসীকে মুক্ত করে আপনাদের শপথ রক্ষা করুন এবং খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাদ বিন মুয়াজ-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করুন। নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীর-এর সংগ্রাম ও ত্যাগ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে খিলাফতের দাওয়াহ্ বহনকারীদের উপর সরকারের জুলুম-নিপীড়ন দূর করতে এগিয়ে আসুন। আজকের যমানার সা’দ বিন মুয়াজ (রা.)-এর ভূমিকা পালন করুন, এবং অত্যাচারী শাসনের অবসান ঘটাতে ও খিলাফতে রাশিদাহ্ পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করুন, যা আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী ﷺ-এর ওয়াদা। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: “…অতঃপর আসবে খিলাফত, নবুয়্যতের আদলে (আহমাদ কর্তৃক বর্ণিত)।

 

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস