working to establish khilafah

হিযবুত তাহ্‌রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত মিছিলসমূহ থেকে সামরিক অফিসারদের প্রতি মুসলিমদের দাবি: খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করুন, কারণ একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত মিছিলসমূহ থেকে সামরিক অফিসারদের প্রতি মুসলিমদের দাবি:

খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করুন, কারণ একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত হবে

 

পশ্চিমা কাফিরগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদ এবং তাদের দালাল মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর নীরবতায় অভিশপ্ত ইহুদীগোষ্ঠী কর্তৃক আল-আক্বসা মসজিদকে প্রতিনিয়ত অপবিত্র করা এবং ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ, আজ শুক্রবার (২০/১০/২০২৩) বাদ জুম্মা ঢাকা শহরের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণ হতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিলটিতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠা মুসলিমরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে এবং পশ্চিমা কাফিরদের দালাল মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শ্লোগাণ দেয়, কারণ তারা পশ্চিমাদের স্বার্থরক্ষায় আমাদের সামরিক বাহিনীকে জাতিসংঘের “শান্তি মিশন”-এ প্রেরণ করে কুফর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর পবিত্র রক্ত ঝরায়, অথচ মুসলিমদের স্বার্থরক্ষায় শুধু ফাঁকা বুলি ছুঁড়ে আর মায়াকান্না করে মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করে। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি দখলমুক্ত করতে সামরিক অভিযানতো দুরের কথা, মোহাম্মাদ বিন সালমান ও এরদোগানসহ বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকেরা “Two-State Solution”-এর নামে এই পবিত্র ভূমিতে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে বৈধতা দেয়ার মার্কিন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। হাসিনা সরকারও যার বাইরে নয় কারণ সে “Two-State Solution”-কে সমর্থন করে এবং অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে “ইসরাইল ব্যতীত” শব্দ দু’টি বাতিল করেছে। ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান হাসিনার মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই নয়। পশ্চিমা কাফিরদের দালাল এই শাসকগোষ্ঠী মুসলিম উম্মাহ্’র প্রকৃত অভিভাবক নয়; বরং তারাই এই পবিত্র ভূমি মুক্তির পথে প্রধান বাধা।

বিক্ষোভ মিছিল হতে মুসলিমরা সামরিক অফিসারদের স্মরণ করিয়ে দেন, তাদের প্রতি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা প্রদত্ত দায়িত্ব হচ্ছে, পবিত্র ভূমি ও আল-আক্বসা মসজিদ দখলমুক্ত করতে অগ্রসর হওয়া এবং এই পথে সকল বাধা অপসারণ করা:

*وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ لِلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبُوا وَلِلنِّسَاءِ نَصِيبٌ مِمَّا اكْتَسَبْنَ وَاسْأَلُوا اللَّهَ مِنْ فَضْلِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا*

আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করছো না আল্লাহ্র পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্যে, যারা বলছে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন উদ্ধারকারী নিযুক্ত করুন, আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী” (সূরা আন-নিসা: ৭৫)।

 

বিক্ষোভ মিছিল হতে মুসলিমরা সামরিক অফিসারদের নিকট দাবী জানায়, তারা যেন দালাল হাসিনা সরকারকে অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করে, কারণ একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত হবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, “নিশ্চয়ই খলিফা হচ্ছেন ঢাল, যার পেছনে থেকে মুসলিমরা যুদ্ধ করে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করে” (সহীহ্ মুসলিম)।

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশএর মিডিয়া কার্যালয়