working to establish khilafah

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিভক্তির স্মৃতি একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি। মুসলিমদের অবশ্যই পুনরায় একটি একক রাষ্ট্রে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বিভক্তির স্মৃতি একটি বেদনাদায়ক স্মৃতি। মুসলিমদের অবশ্যই পুনরায় একটি একক রাষ্ট্রে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

(অনুবাদকৃত)

বহু শতাব্দী ধরে একক সত্তায় ঐক্যবদ্ধ থাকার পর, ১৯৭১ সালের এই দিনগুলোতে পাকিস্তান দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যার প্রথমটিকে পাকিস্তান আর অপরটিকে বাংলাদেশ নামে ডাকা হয়। এই বিভাজনটি বাস্তবায়িত হয় ব্রিটিশদের সেই বিষধর পরিকল্পনা অনুসারে, যার মূলমন্ত্র ছিল ভারতীয় উপমহাদেশকে অনেকগুলো রাষ্ট্রে বিভক্ত করা যাতে ব্রিটেন খুব সহজে, কম খরচে ও দূর থেকে এসব রাষ্ট্রকে লন্ডনের নিয়োগকৃত দালাল শাসকদের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এবং এই পরিকল্পনা রচিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে ব্রিটেন এই অঞ্চল থেকে তার সামরিক দখলদারিত্ব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর। যার ফলশ্রুতিতে, বিদ্বেষপরায়ণ ও চতুর ব্রিটেন জাতিসমূহ ও বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সমস্যা তৈরি করে, যদিওবা এখানকার জনগণ দ্বন্দ্ব বা বিরোধ ছাড়াই শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে একে-অপরের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছিল। এটি তারা করেছিল যাতে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের এসব লোকদের উপর বিভক্তির ব্রিটিশ প্রকল্প চাপিয়ে দিতে পারে। এই বিভাজন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল আঞ্চলিক শাসক ও নেতাদের মাধ্যমে, যাদেরকে বীর নেতৃবৃন্দ হিসেবে উপমহাদেশের জনগণের কাছে তুলে ধরা হয়। তবে, প্রকৃতপক্ষে মন এবং প্রাণ উভয়ক্ষেত্রেই তারা ছিল ব্রিটেনের উপনিবেশবাদের সৃষ্টি। তাদের অধিকাংশই ব্রিটেনের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছে ও বেড়ে উঠেছে। রাষ্ট্র বিভাজন এই প্রক্রিয়ার পৃষ্ঠপোষক ছিল ব্রিটেন, আমেরিকা ও চীন – এই ত্রয়ী, যারা ইসলামী উম্মাহ্ ও তার ঐক্যের ব্যাপারে সর্বদাই সতর্ক।

হে ভারতীয় উপমহাদেশের তথা ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলিমগণ! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: * إِنَّ هَذِهِأُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ* “নিশ্চয়ই তোমাদের এই উম্মাহ্ এক উম্মাহ্, আর আমি তোমাদের রব, অতএব তোমরা আমার ইবাদত কর” [সূরা আল-আম্বিয়া: ৯২]। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আরও বলেন: * إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ فَأَصْلِحُوا بَيْنَ أَخَوَيْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ* “মু’মিনরা তো পরস্পর ভাই, সুতরাং তোমরা তোমাদের ভাইদের মধ্যে শান্তি স্থাপন কর। আর আল্লাহ্‘কে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি আল্লাহ্’র রহমত বর্ষিত হয়” [সূরা আল-হুজুরাত: ১০]। আপনারা এক মহান উম্মাহ্’র অংশ, যাকে এর স্রষ্টা আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা খায়রে উম্মাহ্ হিসেবে বর্ণনা করেন: *كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ* “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে” [সূরা আলি ইমরান: ১১০]। আপনাদের মধ্যকার জাতিগত ও ভৌগলিক বাধাসমূহ বিলীন করে দিয়ে, এক ইসলামী উম্মাহ্’র ছাঁচে পুণঃগঠন করে, মহান ইসলাম আপনাদেরকে একত্রিত করেছে। তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীতি) ব্যতীত আপনাদের একের উপর অন্যের কোন শ্রেষ্ঠত্ব নাই, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর এই বাণী যার সত্যতা প্রমাণ করে:  يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَلَا إِنَّ رَبَّكُمْ وَاحِدٌ وَإِنَّ أَبَاكُمْ وَاحِدٌ أَلَا لَا فَضْلَ لِعَرَبِيٍّ عَلَى أَعْجَمِيٍّ وَلَا لِعَجَمِيٍّ عَلَى عَرَبِيٍّ وَلَا لِأَحْمَرَ عَلَى أَسْوَدَ وَلَا أَسْوَدَ عَلَى أَحْمَرَ إِلَّا بِالتَّقْوَى, হে মানবজাতি তোমাদের কেবল একজন প্রভু আছে, আর তোমাদের পিতাও একজন কোন অগ্রাধিকার নাই একজন অনারবের উপর আরবের, কিংবা আরবের উপর অনারবের, কিংবা কালোর উপর সাদার, কিংবা সাদার উপর কালোর, কেবলমাত্র তাক্বওয়া ব্যতীত [আহমেদ]।

হে ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমগণ! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আপনাদেরকে ইসলাম দ্বারা সম্মানিত করেছেন, তাই আপনারা এর পরিচয় অর্জন করেছেন এবং শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এর শাসনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ থেকেছেন। আপনারা পশ্চিমাগোষ্ঠী ও তাদের বর্তমান দালালদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না, যারা আপনাদের মধ্যে বিভক্তির কুমন্ত্রণা দিচ্ছে, আপনাদের মধ্যে জাহিলিয়্যাতের কলহ জাগিয়ে তুলছে। আবু দাউদ বর্ণনা করেছেন যে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: لَيْسَ مِنَّا مَنْ دَعَا إِلَى عَصَبِيَّةٍ، وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ قَاتَلَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ، وَلَيْسَ مِنَّا مَنْ مَاتَ عَلَى عَصَبِيَّةٍ সে ব্যক্তি আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে আসাবিয়্যাতের (জাতীয়তাবাদ, বর্ণবাদ, গোত্রবাদ) দিকে আহ্বান করে সে ব্যক্তি আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে আসাবিয়্যাতের জন্য লড়াই করে সে ব্যক্তি আমাদের অন্তর্ভূক্ত নয় যে আসাবিয়্যাতের জন্য মৃত্যুবরণ করে এবং তিনি ﷺ আমাদেরকে আসাবিয়্যাত সম্পর্কে সতর্ক করেছেন: دَعُوهَا فَإِنَّهَا مُنْتِنَةٌ “এটি পরিত্যাগ কর, কারণ এটি দুষিত” [বুখারী ও মুসলিম]। এবং তিনি ﷺ বলেছেন: مَنْ تَعَزَّى بِعَزَاءِ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَعِضُّوهُ وَلَا تَكْنُوا যে ব্যক্তি নিজেকে জাহিলিয়্যাতের গৌরবে গৌরবান্বিত করে, তাকে তার পিতৃপুরুষদের লজ্জাস্থানকে কর্তন করে চিবাতে বলো আর এ কথাগুলো তাকে ইঙ্গিতে নয়, বরং পরিষ্কার ভাষায় বলে দাও

হে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুসলিমগণ! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সত্যই বলেন যখন তিনি (সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা) বলেন: *وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ* “তোমরা সৎকর্ম ও তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীতি) অবলম্বনে একে অপরকে সহযোগিতা করো, এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহ্‘কে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কঠোর শাস্তিদাতা।” [সূরা আল-মায়িদাহ্: ২] আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কর্তৃক নাযিলকৃত বিধানের শাসনের অধীনে একজন মুসলিম তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেয়ে উত্তম কি কোন তাক্বওয়া হতে পারে? নিশ্চয়ই এমন কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা আমাদের সকলের চেয়ে উত্তম, তারা এই বিষয়ে আমাদের সকলের চেয়ে অগ্রগামী ছিলেন। আওস এবং খাযরাজ গোত্র একত্রিত হওয়ার পর, মুহাজিরগণ আনসারদের সাথে একত্রিত হয়েছিলেন। এটি ঘটেছিল এমন পরিস্থিতিতে যখন তাদের মধ্যে শত্রুতা ও যুদ্ধ প্রবল ছিল, একারণে বহু মানুষ হত্যাসহ এটি সবকিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিচ্ছিল ও কোনকিছুকেই রেহাই দেয়নি। আল্লাহ্-ভীতির অন্যতম একটি আবশ্যিক শর্ত হচ্ছে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি নিশ্চিত করা। তাই, আমরা হিযবুত তাহ্‌রীর আপনাদেরকে তাওহিদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানাচ্ছি, لا إله إلا الله محمد رسول الله “আল্লাহ্ ছাড়া কোন ইলাহ্ নেই, এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ্’র রাসূল”। নবুয়্যতের আদলে দ্বিতীয় খিলাফতে রাশিদাহ্ যার প্রত্যাবর্তনের সুসংবাদ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দিয়েছেন, সেটির আলোকে আমরা আপনাদের প্রতি আমন্ত্রণ জানাচ্ছি, আপনারা আমাদের হাতে হাত রাখুন এবং বলুন যা আনসারগণ (রা.) বলেছিলেন, যখন তারা রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-এর কাছ থেকে শুনেছিলেন: وَلَا يَسْبِقَنَّكُمْ إِلَيْهِ এবং এক্ষেত্রে কেউ যেন তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হতে না পারে…”, সুতরাং নিশ্চিত করুন, আপনারা আপনাদের দেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রদূত হবেন, অন্যরা তাদের দেশে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আপনাদের চেয়ে অগ্রগামী হওয়ার আগেই। আমাদের সাথে কাজ করতে দ্বিধা করবেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনারা দুনিয়া ও আখিরাতের সম্মান অর্জন করতে পারেন।

হে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ! আপনারা হচ্ছেন এই উম্মাহ্’র মধ্যে ক্ষমতা ও নিরাপত্তার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ। ঠিক যেভাবে আনসারদের (সামরিক সহায়তা প্রদানকারী) নামকরণ করা হয়েছিল আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’র আনসার হিসেবে, কারণ তাঁরা (রা.) মদীনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাজে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা ও তাঁর রাসূল ﷺ-কে সামরিক সহায়তা প্রদান করেছিলেন, অতএব আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা-কে এবং যারা আপনাদের দেশে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন তাদেরকে সামরিক সহায়তা প্রদান করা আপনাদের কর্তব্য। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলিমগণ ইসলামী শাসনের অধীনে ফিরে আসতে একান্তভাবে আগ্রহী, ঠিক যেভাবে তারা তাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী। তারা ইসলামের শাসনের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হিযবুত তাহ্‌রীর-এর নেতৃত্বে খিলাফতে রাশিদাহ্ রাষ্ট্রের জন্য একটি শক্তিশালী সমর্থন স্থান তৈরী করবে, যা ভারতীয় উপমহাদেশের সমস্ত মুসলিমকে পুনরায় একত্রিত করবে। এভাবে, অতঃপর এই অঞ্চলটি উপনিবেশ অধ্যুষিত সকল মুসলিম দেশসমূহ তথা পূর্বে ইন্দোনেশিয়া থেকে শুরু করে পশ্চিমে মরক্কো ও আন্দালুসিয়া পর্যন্ত একত্রীকরণের জন্য একটি সমর্থন স্থান হিসেবে ভূমিকা রাখবে, যেসব দেশ বর্তমানে নিকৃষ্ট ও ক্ষতিকর শাসক দ্বারা শাসিত হচ্ছে।

হে সেনাসদস্যগণ, হে মুহাম্মাদ বিন কাসিমের উত্তরসূরিগণ! জেনে রাখুন, আপনারা খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে হিযবুত তাহ্‌রীর -কে নুসরাহ্ (সামরিক সহায়তা) প্রদানে সক্ষম। জেনে রাখুন, আপনারা সম্ভাব্য সবরকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম, কারণ আপনারা জিহাদ ও সংগ্রামী উম্মাহ্’র অংশ। এই উম্মাহ্’র মধ্যে রয়েছে পুরুষের মতো পুরুষ। এই উম্মাহ্’র মধ্যে রয়েছে অর্থ, সম্পদ এবং দক্ষতা, যা কয়েক বছরের মধ্যে এটিকে বিশ্বের নেতৃত্বস্থানীয় রাষ্ট্রে পরিণত করবে। আপনাদের প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের এই সুযোগ থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করবেন না, যাতে অতীতের আনসারদের (সামরিক সহায়তা প্রদানকারী) সাথে তাঁর (সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালা) সৃষ্ট জান্নাতে প্রবেশ করতে পারেন। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:

﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ﴾

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের আহ্বানে সাড়া দাও, যখন তোমাদেরকে এমন কাজের প্রতি আহ্বান করা হয় যা তোমাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করে। এবং জেনে রেখো, আল্লাহ্ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান, আর তাঁরই কাছে তোমাদের সকলকে সমবেত করা হবে।” [সূরা আল-আনফাল: ২৪]

ইঞ্জিনিয়ার সালাহ্ উদ্দিন আদাদা

পরিচালক, হিযবুত তাহ্‌রীর-এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া কার্যালয়