working to establish khilafah

অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর যৌথ নৌ-মহড়া

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে যৌথ নৌ-মহড়ায় প্রেরণ করে হাসিনা সরকার ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহ্র সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতার নজির স্থাপন করেছে

পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে মুক্তির উদ্দেশ্য পরিত্যাগ করে এবং মুসলিম উম্মাহ্’র সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মিথ্যাবাদী হাসিনা সরকার উপসাগরীয় অঞ্চলে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের সাথে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন একটি বৃহৎ নৌ-মহড়ায় যোগ দিতে আমাদের সামরিক বাহিনীকে প্রেরণ করেছে। মুসলিম দেশগুলোর সাথে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র “ইসরায়েল”-এর সম্পর্ক জোরদারের অংশ হিসাবে আমেরিকা ৩১/০১/২০২২ তারিখ হতে ১৮ দিনব্যাপী এই ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম এক্সারসাইজ (আই.এম.এক্স) আয়োজন করেছে। এবং, এই মহড়ায় যোগ দিতে বাংলাদেশের নৌবাহিনীকে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে প্রেরণ করা হয়েছে, আর এই বিষয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমসমূহে কোন সংবাদও পরিবেশন করা হয়নি।

বাংলাদেশের মেরুদণ্ডহীন রুওয়াইবিদাহ্ (অজ্ঞ ও নির্বোধ) সরকার “ইসরায়েল”-এর সাথে মিত্রতায় মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দালাল শাসকদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে; যারা তাদের পশ্চিমা প্রভুদের নির্দেশে শুরু থেকেই উম্মাহ্’র বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে এই পবিত্র ভূমির দখলদারদের সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। হাসিনা সরকারও এই অবৈধ খুনি রাষ্ট্রের সাথে সামরিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে, এবং তারা গোপনে তাদের কাছ থেকে জনগণের উপর নজরদারির সরঞ্জাম ক্রয় করে আসছে। এই বিশ্বাসঘাতক শাসকেরা নিজেদের ক্ষমতা ও সম্পদ রক্ষার বিনিময়ে তাদের দ্বীনকে কাফিরদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এবং, তারা যথাসময়ে প্রকাশ করে তাদের প্রকৃত আনুগত্য কার প্রতি নিহিত রয়েছে, যা মোটেও আশ্চর্যজনক নয়।

যেহেতু এখন অত্যাচারী হাসিনা সরকারের উপলব্ধি হচ্ছে, আমেরিকা তার নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের আলোকে বাংলাদেশে শাসনব্যবস্থায় পরিবর্তন চায়, সেহেতু তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে যেকোন মূল্যে আমেরিকাকে খুশি রাখতে ব্যাকুল হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতি হতে হাসিনা সরকারের এটা অবগত হওয়া উচিত যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, তাঁর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং মুমিনদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তোষণ করার নীতি অবলম্বন করেও সে তার সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার মার্কিনীদের পরিকল্পনাকে বিরত রাখতে পারবে না। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির তার ক্ষমতা সুরক্ষিত রাখতে আমেরিকার দাবির কাছে নতি স্বীকার করে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র “ইসরায়েল”-এর সাথে বন্ধুত্বের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অবশেষে তার প্রভু আমেরিকা তাকে পরিত্যাগ করে এবং ২০১৯ সালে জোর করে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে।

হে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! বিশ্বাসঘাতকতা এবং ভণ্ডামিই হচ্ছে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীর ক্ষমতায় টিকে থাকার মূলমন্ত্র। আমরা তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো আর কিইবা আশা করতে পারি? কারণ তারা কাফির ঔপনিবেশিকগোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। কিন্তু এটা প্রত্যক্ষ করে আমাদের রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে যে, কিভাবে আল্লাহ্ ও পবিত্র ভুমি ফিলিস্তিনের সম্মানিত মুসলিমদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতায় আপনাদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা, হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ আপনাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে, ফিলিস্তিনের সম্মান সেই সকল মুসলিমের হৃদয়ে বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে যারা এই পবিত্র ভূমিকে তাদের আক্বিদাহ্’র সাথে যুক্ত করে। এটি রাসূলুল্লাহ্ -এর ইসরা’ ও মি’রাজের স্থান এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা কর্তৃক রহমতপুষ্ট। সুতরাং, ফিলিস্তিন অবশ্যই আপনাদের জন্য অলঙ্ঘনীয় ‘রেড লাইন’ হিসেবে বিবেচিত হওয়া উচিত, কারণ এই পবিত্র ভূমির এক ইঞ্চি জমিও কাফিরদের কাছে ছেড়ে দেয়া নিষিদ্ধ। এই পবিত্র ভূমিকে ইহুদিদের কবল থেকে মুক্ত করে উম্মাহ্’র কাছে ফিরিয়ে দেয়া যখন প্রতিটি সক্ষম মুসলিম সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বাধ্যতামূলক, তখন এই বিশ্বাসঘাতক সরকার পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের অবৈধ সন্তান ইসরায়েলের সুরক্ষায় তাদের ঘৃণ্য এজেন্ডা বাস্তবায়নের কাজে আপনাদেরকে ব্যবহৃত হতে দিচ্ছে। “ইসরায়েল”-এর সাথে এই সরকারের গোপন কাজের সম্পর্ক ইতিমধ্যেই উন্মোচিত হয়েছে। এবং, অভিশপ্ত অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র সাথে যৌথ নৌ-মহড়ায় যোগ দিতে আপনাদেরকে গোপনে প্রেরণ করা হচ্ছে আরেকটি ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে তারা আমাদেরকে এই অপরাধ ও বিশ্বাসঘাতকতাকে ধীরে ধীরে মেনে নিতে অভ্যস্ত করে তুলতে চায়। আপনারা যদি ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রুদের পক্ষাবলম্বন করেন, তবে আপনারাও দ্বীনের সাথে এই গুরুতর বিশ্বাসঘাতকতায় শামিল হবেন! অতঃপর তারা প্রকাশ্যে এই অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্র “ইসরায়েল”-এর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করবে।

হে খালিদ, সালাহ্উদ্দিন ও মুহাম্মাদ আলফাতেহ্এর প্রকৃত উত্তরসূরীগণ! এই মুনাফিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করার এটাই আদর্শ সময়, কারণ তাদের স্বরূপ উন্মোচিত হয়ে গেছে এবং জনগণের কাছ থেকে তারা সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নবু্য়্যতের আদলে খিলাফতে রাশিদাহ্ পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য হিযবুত তাহ্রীর আপনাদের প্রতি নুসরাহ্ (সামরিক সহায়তা) প্রদানের দাবি জানাচ্ছে। শুধুমাত্র প্রতিশ্রুত খিলাফত আমাদের ভূমিসমূহকে পুনরায় একত্রিত করবে এবং আল্লাহ্’র রাসূল -এর মাসরা (ইসরা’র স্থান)-এর মুসলিমদের গৌরব পুনরুদ্ধার করবে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:

*إِنَّمَا يَنْهَاكُمْ اللَّهُ عَنْ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُمْ مِنْ دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَنْ تَوَلَّوْهُمْ وَمَنْ يَتَوَلَّهُمْ فَأُوْلَئِكَ هُمْ الظَّالِمُونَ*

আল্লাহ্ তাদের সাথে তোমাদের মিত্রতাকে হারাম করেছেন যারা তোমাদের দ্বীনের কারণে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, এবং তোমাদেরকে তোমাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত করে কিংবা অন্যদেরকে তা করতে সহায়তা করে; এবং যারা তাদের সাথে মিত্রতা করে, তারাই প্রকৃত যালিম। [সূরা আল-মুমতাহিনা: ৯]

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশএর মিডিয়া কার্যালয়