working to establish khilafah

হিযবুত তাহ্‌রীর, উলাইয়াহ্‌ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত মিছিলসমূহ থেকে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের প্রতি আহ্বান: মুসলিম উম্মাহ্‌ ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছে। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অভিযানে বের হউন। খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদান করুন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

হিযবুত তাহ্রীর, উলাইয়াহ্‌ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত মিছিলসমূহ থেকে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের প্রতি আহ্বান:

মুসলিম উম্মাহ্ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার দাবী জানাচ্ছেফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অভিযানে বের হউনখিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীরকে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদান করুন

ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের নিকট সামরিক অভিযান এবং এই লক্ষ্যে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদানের আহ্বান জানিয়ে, আজ শুক্রবার (৭/৬/২০২৪) বাদ জুম্মা, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন মসজিদ হতে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিলগুলিতে শত শত মুসুল্লি স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং পশ্চিমা ক্রুসেডারদের ‘two-state solution’ প্রকল্প, অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ষড়যন্ত্র, দালাল মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর প্রতারণা ও নীরবতার বিরুদ্ধে শ্লোগাণ দেয়, এবং মুসলিম সামরিক বাহিনীকে তাদের গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য, তাদের পূর্বপুরুষ হতে শিক্ষা, তাদের কর্তব্য, ইত্যাদি অনুপ্রেরণামূলক শ্লোগাণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে অভিযানে বের হওয়ার আহ্বান জানায়। যেমন: ফিলিস্তিন…ফিলিস্তিন…/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; রক্তাক্ত ফিলিস্তিন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; পূণ্য ভূমি ফিলিস্তিন/ সেনাবাহিনী সাড়া দিন; ‘Two-State’ ছুড়ে ফেলুন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; ইসরায়েলকে মুছে ফেলুন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; মুক্ত করুন ফিলিস্তিন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; গাদ্দার শাসকগোষ্ঠীকে সরিয়ে দিন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; খিলাফত কায়েম করুন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; খালিদের তলোয়ার তুমি/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; আইয়্যুবির সন্তান তুমি/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; ব্যারাক থেকে বের হোন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; কর্তব্য পালন করুন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; কোথায় আজকের সালাহ্‌উদ্দীন/সেনাবাহিনী সাড়া দিন; ইত্যাদি।

বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা যখন ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার দাবীতে সোচ্চার রয়েছে, তখন অন্যদিকে মুসলিম দেশসমূহের দালাল শাসকগোষ্ঠী পশ্চিমা ক্রুসেডারদের ‘two-state solution’-এর নামে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিতে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আপনাদের জানা আছে, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘Balfour Declaration’-এ ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার সমর্থন আসে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদী উদ্বাস্তুরা গণহারে ফিলিস্তিনে এসে জড়ো হয় এবং মুসলিমদেরকে ঘর-বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জবর-দখল করতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার তত্ত্বাবধানে ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল রেজ্যুলেশন ১৮১ মোতাবেক ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে ইহুদীদের এই অবৈধ দখলদারিত্বকে বৈধ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া হয়। ব্রিটেন-আমেরিকাসহ পশ্চিমা ক্রুসেডারদের মদদে বর্তমানে এই অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের প্রায় ৮৫% ভূমি দখল করে রেখেছে। ‘Two-State Solution’ ফিলিস্তিন ভূমির উপর এই অবৈধ দখলদারিত্বকেই স্বীকৃতি দেয়।

 ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার পথে এই শাসকগোষ্ঠীই প্রধান বাধা। তারা মুসলিম সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে বন্দি করে রেখেছে। তাই, নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদের সালাহ্‌উদ্দিন আইয়ুবী’র পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। যিনি মুনাফিক শাসকদের উৎখাত ও মুসলিম ভূমিগুলোকে একীভুত করে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ১১৮৭ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের দখল থেকে জেরুজালেমকে মুক্ত করেন। তাদের কর্তব্য হচ্ছে, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে মুসলিম উম্মাহ্‌’র জন্য দায়িত্বশীল খিলাফত রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদান করা। একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্র মুসলিম উম্মাহ্‌’র সামরিক বাহিনীগুলোকে একত্রিত করবে এবং ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অভিযানে প্রেরণ করবে। রাসূলুল্লাহ্ﷺ বলেন, নিশ্চয়ই খলিফা হচ্ছেন ঢাল, যার পেছনে থেকে মুসলিমরা যুদ্ধ করে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করে (সহীহ্‌ মুসলিম)

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস