working to establish khilafah

স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও তার দোসর ভারতীয় দালালগোষ্ঠী এখনও বিদ্যমান যারা হিযবুত তাহ্‌রীর-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে

بسم الله الرحمن الرحيم

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও তার দোসর ভারতীয় দালালগোষ্ঠী এখনও বিদ্যমান যারা হিযবুত তাহ্‌রীর-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে

স্বৈরাচার হাসিনার পতন হলেও তার দোসর এবং ভারতের দালালরা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। ইসলাম ও দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী এসব দালালেরা সত্যনিষ্ঠ রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীর-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে দলটিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা করছে। এটি নিতান্তই একটি ব্যর্থ চেষ্টা, কারণ হিযবুত তাহ্রীর একটি নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক দল, সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে যার রয়েছে সুদৃঢ় ভিত্তি। জনগণ অবগত আছে, ২০০৯ সালে যখন হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্রে পিলখানায় ‍নৃশংস হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হলো, তখন বাংলাদেশে একমাত্র দল এই হিযবুত তাহ্রীর নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে এই বিষয়টি জাতির কাছে উন্মোচন করে। খুনি হাসিনা সরকার হিযবুত তাহ্রীর-কে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে, এর সত্য ও প্রতিবাদী কণ্ঠকে রুদ্ধ করতে নিছক একটি প্রেস নোটের মাধ্যমে- যেখানে কোন স্মারক নং, এসআরও নং ও আইনের ধারা উল্লেখ ছিলনা- এর কার্যক্রমের উপর অবৈধ ও অন্যায্য নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়। কিন্তু, হিযবুত তাহ্‌রীর তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখে, বিশেষত হাসিনা সরকার কর্তৃক সেনা অফিসারদের গ্রেফতার, গুম, খুন, বরখাস্তের প্রতিবাদ করাসহ তার দেশ-জনগণ-ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে রাজনৈতিক সংগ্রাম অব্যাহত রাখে। এমন প্রেক্ষাপটে, যালিম হাসিনা ২০১৩ সালে আবারও কোন আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে, গায়ের জোরে নির্বাহী আদেশে হিযবুত তাহ্‌রীর-কে কুখ্যাত সন্ত্রাসবিরোধী আইন নামক কালো আইনে তফসীলভুক্ত করে। আর পতিত হাসিনার দোসর এসব বর্ণচোরা দালালগোষ্ঠী হিযবুত তাহ্‌রীর-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে মুশরিক রাষ্ট্র ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এখনও তৎপর রয়েছে। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, وَاللّٰهُ يَشْهَدُ اِنَّ الْمُنٰفِقِيْنَ لَكٰذِبُوْنَۚ আর আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী” [সূরা মুনাফিকুনঃ ১]।

আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, হিযবুত তাহ্রীর-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ্‌-কে পুনঃজাগরণ করে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী জীবনধারা ফিরিয়ে আনা এবং মুসলিম উম্মাহ্‌-কে পশ্চিমা উপনিবেশবাদী রাষ্ট্রসমূহের কবল থেকে মুক্ত করা। আল্লাহ্ ﷻ বলেন, وَلْتَكُنْ مِّنْكُمْ اُمَّةٌ يَّدْعُوْنَ اِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ۗ وَاُولٰۤىِٕكَ هُمُ الْمُفْلِحُوْنَ  তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত, যারা কল্যাণের দিকে আহবান করে, সৎকাজের আদেশ করে এবং অসৎকাজ হতে নিষেধ করে আর এরাই সফলকাম[সূরা আলি-ইমরানঃ ১০৪]। একমাত্র নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নতুন বাংলাদেশ একটি ন্যায়-ভিত্তিক ও নেতৃত্বশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, আল্লাহ্‌’র ইচ্ছায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আসন্ন খিলাফত হাসিনাসহ এসব দালালদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবে।

আমরা পুলিশের মহাপরিদর্শক জনাব এম মাইনুল ইসলামকেও জোর দিতে চাই যে, আপনি এমন একটি দায়িত্বশীল পদে বহাল আছেন যা বস্তুনিষ্ঠ সত্য মেনে চলার দাবি রাখে। যালিম হাসিনাকে উৎখাত করার পর, দেশের জনগণ অবশ্যই আপনার অবস্থান থেকে এরকম নির্লজ্জ মিথ্যা আশা করে না, যেমনটি হাসিনার যুলুমের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা করেছিল। যখন হিযবুত তাহ্রীর জনগণের স্বার্থের পক্ষের একটি দল যার রয়েছে সমাজের সকল স্তরের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা, তখন কীভাবে আপনি দলটিকে “জঙ্গি” আখ্যা দেয়ার কথা ভাবলেন! হিযবুত তাহ্রীর-এর মতো ইসলাম ও জনগণের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি রাজনৈতিক শক্তিকে এধরনের মিথ্যা তকমা লাগানো মুশরিক ভারত ও তার পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী প্রভুদের ঘৃণ্য এজেন্ডা, যা তারা রাজনৈতিক ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ন্যায়পরায়ণ খিলাফতের প্রত্যাবর্তন বিলম্বিত করার লক্ষ্যে করে থাকে। এছাড়াও, আপনি ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই জেনে গেছেন যে, ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের দ্বারা আরোপিত বেআইনি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য হিযবুত তাহ্রীর গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি পিটিশন দাখিল করেছে এবং মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য আবেদনটি গ্রহণ করেছে। সুতরাং, পুলিশের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে এজাতীয় যেকোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য আবেদনটির নিরপেক্ষ পর্যালোচনা ও ন্যায্য রায়কে বাধাগ্রস্ত করবে। তাই, আমরা আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, দেশের জনগণ, ইসলাম এবং হিযবুত তাহ্রীর-এর মত শক্তির পক্ষে অবস্থান নিন, যারা সর্বদা জনগণের রক্ষক হিসেবে বহাল থাকবে। ভারতের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ফাঁদে না পড়ে নিজেকে সৎ, জনগণের পক্ষের এবং ইসলামপ্রেমী হিসেবে উপস্থাপন করার এখনই উপযুক্ত সময়। ভারতীয় ষড়যন্ত্রের অন্ধকার গলি অনুসরণ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোর প্রাক্তন প্রধানদের পরিণতির দিকে তাকান। তাছাড়া, একজন মুসলিম হিসেবেও আপনার দায়িত্ব হচ্ছে, এই ভূমিতে ইসলামী জীবনধারা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করা। আপনার উচিত ইসলামের দাওআহ্‌-কে রক্ষা করা এবং দাওআহ্‌ বহনকারীদের সুরক্ষা দেয়া। দেশের মানুষ আপনাকে কখনোই সহ্য করবে না, যদি আপনি হাসিনার সেই আগের পুলিশ প্রধানদের মতোই ভারতের মুখপাত্রে পরিণত হন।

তাই আমরা, হিযবুত তাহ্রীর-এর পক্ষ থেকে দেশের সকল নিষ্ঠাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা যার যার অবস্থান থেকে এসব দালালদের প্রতিহত করুন এবং দেশের সকল সংকটের একমাত্র সমাধান নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরিয়ে আনতে আপনারা হিযবুত তাহ্রীর-এর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এবং এর পক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ করুন।

 

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস