working to establish khilafah

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের ধৃষ্টতার জবাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই ভারতকে সতর্ক করতে হবে

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতের ধৃষ্টতার জবাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই ভারতকে সতর্ক করতে হবে

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার তিনদিন ব্যাপী সফর চলাকালীন সময়ে ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার মন্তব্য করেছেন যে, বাংলাদেশে “চরমপন্থা” এবং “সহিংসতা” বৃদ্ধি নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন। রাহুল আরও বলেন, বাংলাদেশে “চরমপন্থা” নিয়ে উদ্বেগ সহ নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকারের পররাষ্ট্র নীতির মৌলিক বিষয়গুলোতে তার দল একই অবস্থানে রয়েছে। যদিওবা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ হতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতার বিভিন্ন প্রতিবেদনকে অতিরঞ্জিত বলে দাবী করা হয়েছে এবং দাবীর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভারতীয় সাংবাদিকদেরকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, কিন্তু তারপরেও আমাদের এই শত্রু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী ও নেতৃবৃন্দ, এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের স্থানীয় দালালদের কাছ থেকে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যা নিশ্চিতভাবেই আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থে করা হচ্ছে।

আমরা, হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা বাংলাদেশ এবং এর ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রতি ভারতের চরম ধৃষ্টতার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিন। এই শত্রু রাষ্ট্রটি হাসিনার অনুপস্থিতি এবং ‘উগ্রবাদের’ উত্থানের মধ্যে একটি সম্পর্ক আছে বলে প্রমাণ করতে চায়। এই নগণ্য মুশরিক শাসকগোষ্ঠীর কি দুঃসাহস, তারা হাসিনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী ও নিপীড়িত জনগণের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে নিচু করার জন্য এখন বাংলাদেশের দিকে আঙুল তু্লেছে! হাসিনার স্বৈরতন্ত্রের পতন ভারতের জন্য একটি মহাবিপর্যয় ছিল, কারণ তারাই তাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য গত পনের বছর ধরে আমাদের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে হস্তক্ষেপ করে আসছে। এখন যখন বাংলাদেশের জনগণ অবশেষে ভারতীয় পরিকল্পনাকে নস্যাৎ করে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং তাকে উৎখাত করেছে, তাই ভারত হাসিনার সেই পুরনো আখ্যানই প্রমাণ করতে চায় – তার সরকার ছাড়া হিন্দু সংখ্যালঘুরা অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে রয়েছে। আমাদের এই চিরশত্রু আর কোনো মিথ্যা ও প্রতারণার অন্তরালে থাকতে চায় না। একদিকে ভারত প্রকাশ্যে এই নিকৃষ্ট অত্যাচারী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তার বিদ্বেষ প্রকাশ করছে, যে হাসিনা প্রতিবাদকারীদের উপর সহিংস আক্রমন ও গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে। অন্যদিকে, এটি এখন বাংলাদেশের জনগণকে ভারত ও বাংলাদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে চিত্রিত করে অপবাদ দেয়ার চেষ্টা করছে। অতএব, আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন ভারতকে তার নিষ্ফল ঔদ্ধত্য সম্পর্কে সতর্ক করে দেয় এবং তাকে মনে করিয়ে দেয় যে তার দালাল হাসিনা আর ক্ষমতায় নেই। আমরা আপনাদের আন্তরিকভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, সকল ভারত-বিরোধী শক্তি ও রাজনৈতিক দলসমূহকে একত্রিত করে ভারতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন, যাতে ভারত আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার আর সাহস না পায়। আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করার জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়নে হিযবুত তাহ্রীর সহায়তা করতে প্রস্তুত, যা ভারতকে মোকাবিলায় বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ, মূল্যবোধ এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করবে।

 

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস