working to establish khilafah

দেশব্যাপী বিভিন্ন সমাবেশ-মানববন্ধন-মিছিল থেকে ছাত্র জনতা ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবী জানাচ্ছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

দেশব্যাপী বিভিন্ন সমাবেশ-মানববন্ধন-মিছিল থেকে ছাত্র জনতা ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবী জানাচ্ছে

দেশের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও স্কুলসমূহের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের ছাত্র জনতা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর অভিশপ্ত ইহুদিগোষ্ঠীর অব্যাহত গণহত্যায় ফুঁসে উঠেছে এবং সমাবেশ-মানববন্ধন-মিছিলের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্তির জোর দাবী জানাচ্ছে। রাজধানী ঢাকায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যেমন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (BUET), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যেমন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজ; বিভাগীয় শহরগুলোতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা; এবং রাজধানী ঢাকার স্বনামধন্য বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ যেমন, ঢাকা কলেজ, নটর ডেম কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাস্টার মাইন্ড স্কুল, মনিপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসসহ জনসমাগম স্থানগুলোতে ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য সমাবেশ-মানববন্ধন-মিছিল আয়োজন করে। এছাড়া পুরান ঢাকা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, বাসাবো, রামপুরা, হাতিরঝিল, মগবাজার, মৌচাক, বনশ্রী, ইত্যাদি এলাকাগুলোতে তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণ সমাবেশ-মানববন্ধন-মিছিলের আয়োজন করে এবং তাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি একাত্মতা প্রদর্শন করে ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবী তুলেছে। “তাক্ববীরঃ আল্লাহু আকবার”, “From the River to the Sea, Palestine will be free”, “Free! Free! Palestine” ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য স্লোগান এবং ইসলামের বিজয় সুচক কলেমাখচিত পতাকাসহ তারা বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেছে, যেমন, “Ïsrael is the shadow of Arab Rulers”, “Stop genocide” “STAND WITH PALESTINE” “Free Palestine”, “No to UN”, “TWO-STATE SOLUTION IS DECEPTION” “ONE UMMAH, ONE BODY” “WHERE IS OUR SALAHUDDIN?” “ARMIES TO al-AQSA”, ইত্যাদি। এছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কে প্রদক্ষিন করে বের করা তরুণদের “Bike Rally” এবং “Car Rally”-কে সড়কের দুইপাশে থাকা জনগণ হাত নেড়ে অভিবাধন জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তি জন্য তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে, যা কারও চোখ এড়াতে পারেনি।

হে দেশবাসী, যখন পশ্চিমা ক্রুসেডারদের দালাল বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এবং তাদের বশীভূত সুংবাদ মাধ্যম মুসলিম উম্মাহ্‌’র বুকের উপর চেপে বসে তার প্রতিটি নিঃশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে, তখনও মুসলিম উম্মাহ্‌’র সন্তান এই তরূণেরা বিশেষ করে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ভুলে যায়নি, এবং এটাই মুসলিম উম্মাহ্‌’র ঐক্য, বিশ্বাস ও আবেগের সহজাত ও স্বাভাবিক বহিঃপ্রকাশ যা এই শাসকগোষ্ঠী শত চেষ্টা করেও মুসলিম উম্মাহ্‌’র অন্তর থেকে উপড়ে ফেলতে পারে নাই।

হে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারগণ, হে সালাউদ্দিনের উত্তরসূরী! নিশ্চয়ই ফিলিস্তিনের মুসলিমদের জন্য আপনাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আপনাদের রক্ত টগবগ করে ফুটছে কারণ আপনারা প্রত্যক্ষ করছেন, এই দালাল শাসকগোষ্ঠী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের নামে আপনাদেরকে পশ্চিমাদের স্বার্থরক্ষায় প্রেরণ করছে, আর অন্যদিকে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি আল-আক্বসা ও মুসলিমদের রক্ষায় আপনাদেরকে শিকল বন্দি করে রেখেছে। তাই আপনারা জনগণের কাতারে অবস্থান নিতে ব্যারাক থেকে অভিযানে বের হউন। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করুন এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সত্যনিষ্ঠ দল হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্‌ প্রদান করুন। আসন্ন খিলাফতই মুসলিম উম্মাহ্‌’র সামরিক বাহিনীগুলোকে একত্রিত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করবে, ইনশা‘আল্লাহ্‌। এই কাজে সফলতা অর্জনে আল্লাহ্‌ ﷻ আপনাদেরকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর তখন দেশের সমগ্র জনগণ আপনাদেরকে “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়া লিল্লাহিল হামদ” – তাক্ববীর ধ্বনীতে অভিনন্দন জানাবে।

﴿إِنَّا لَنَنصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِينَ آمَنُوا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُومُ الأَشْهَادُ

নিশ্চয়ই আমি সাহায্য করব রাসূলগণকে এবং মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে এবং সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে[সূরা গাফিরঃ ৫১]।

 

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস