working to establish khilafah

৩ মার্চ, ২০২৫, মুসলিম উম্মাহ্‌’র গৌরবময় খিলাফত ধ্বংসের ১০১ বছর

এই প্রেক্ষাপটে, হিযবুত তাহ্‌রীর, উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশ, আগামী ৭ মার্চ, ২০২৫, রোজ শুক্রবার, বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট-এ নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে “মার্চ ফর খিলাফত” র‍্যালিতে (rally) ইসলামপ্রিয় জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মার্চ, ২০২৫, মুসলিম উম্মাহ্‌’ গৌরবময় খিলাফত ধ্বংসের ১০১ বছর

এই প্রেক্ষাপটে, হিযবুত তাহ্রীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ, আগামী মার্চ, ২০২৫, রোজ শুক্রবার, বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে মার্চ ফর খিলাফতর‍্যালিতে (rally) ইসলামপ্রিয় জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে

৩ মার্চ, ১৯২৪ (২৮ রজব, ১৩৪২ হিজরী) কাফির উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের চক্রান্তে তাদের দালাল কামাল পাশা উসমানীয়া খিলাফত বিলুপ্ত ঘোষণা করে। বিগত ১০১ বছর মুসলিম উম্মাহ্‌ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামের বিধানের পরিবর্তে পশ্চিমাদের কুফর ধর্মনিরপেক্ষ ব্যবস্থার অধীনে জীবনযাপন করছে। রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে, তার কাঁধে খলিফার বাইআত (আনুগত্যের শপথ) নেইতবে তার মৃত্যু হচ্ছে জাহেলীয়াতের মৃত্যু (সহীহ্‌ মুসলিম)। খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে শারী‘আহ্‌ অনুযায়ী জীবনযাপন করা মুসলিম উম্মাহ্‌’র উপর ফরয দায়িত্ব। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, “আর আপনি তাদের মাঝে ফয়সালা করুন তা দিয়ে যা আল্লাহ্নাযিল করেছেন এবং আপনার কাছে যে সত্য এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না[আল-মায়িদাহ্‌: ৪৮]। তাই খিলাফত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয দায়িত্ব।

খলিফার অনুপস্থিতিতে গৌরবময় মুসলিম উম্মাহ্ আজ অভিভাবকহীন অবস্থায় পঞ্চাশটিরও অধিক জাতিরাষ্ট্রে বিভক্ত এবং পশ্চিমা কাফির উপনিবেশবাদীদের দালাল শাসকেরা মুসলিম উম্মাহ্‌’র ঘাড়ে চেপে আছে, ফিলিস্তিনের পবিত্রভূমি ও আল-আকসা মসজিদ অভিশপ্ত ইহুদিগোষ্ঠী দ্বারা দখলকৃত, ফিলিস্তিন-কাশ্মীর–রোহিঙ্গা মুসলিমসহ সর্বত্র মুসলিমগণ রক্তাক্ত, মুসলিমদের ঈমান-আক্বিদা-মর্যাদা ভুলন্ঠিত, এবং সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠিত। অথচ রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই ইমাম (খলিফা) হলেন একটি ঢাল যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ কর এবং যার সাহায্যে নিজেদের রক্ষা কর(সহীহ্ মুসলিম)।

হে মুসলিমগণ! আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি, তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে মানব জাতির জন্য তোমরা সৎ কাজে আদেশ দিবে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহ্‌’ উপর দৃঢ় ঈমান রাখবে [সূরা আলি-ইমরানঃ ১১০]। তাই নেতৃত্বশীল রাষ্ট্র খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী ব্যবস্থার যুলুম থেকে মুক্ত করে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসাও মুসলিম উম্মাহ্‌’র দায়িত্ব।

হে ইসলাম প্রিয় দেশবাসী! রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “…তারপর যুলুমের শাসনের অবসান হবে, অতঃপর আবারও ফিরে আসবে খিলাফতনবুয়তের আদলে (হাদিসঃ মুসনাদে আহমদ)। রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ -এর এই সুসংবাদ আল্লাহ্‌ ﷻ প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি, যা বাস্তবায়ন হতে বাধ্য। কিন্তু তা আসমান থেকে ফেরেস্তা এসে বাস্তবায়ন করবে না, বরং আপনাদের প্রচেষ্টাকে আল্লাহ্‌ ﷻ ফেরেস্তা দিয়ে সাহায্য করবেন।  আপনারা জানেন, হিযবুত তাহ্রীর-এর আমির শেখ আতা বিন খলিল আবু আর-রাশতা-এর নেতৃত্বে হিযবুত তাহ্রীর খিলাফত প্রতিষ্ঠায় মুসলিম উম্মাহ্‌-কে ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিটি মুসলিম দেশে এবং মার্কিন-বৃটেন-ভারতসহ অমুসলিম দেশসমূহে কাজ করছে। হিযবুত তাহ্রীর মুসলিম দেশসমূহের সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নিষ্ঠাবান অফিসারদের নিকট নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদানের আহ্বান জানিয়ে আসছে এবং সামরিক অফিসারগণও এই আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন। নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীকে জোরালো করতে আগামী ৭ মার্চ, ২০২৫, বাদ জুমা, বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইটে দলে দলে যোগদান করে আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করুন।

হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ্‌ ও তাঁর রাসূলের সেই আহ্বানে সাড়া দাও, যখন তোমাদের এমনকিছুর দিকে আহ্বান করা হয় যা তোমাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে[সূরা আল-আনফাল: ২৪]।

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস