working to establish khilafah

হে দেশবাসী, বর্তমান অজ্ঞ-অযোগ্য (রুয়াইবিদাহ্‌) শাসক ও রাজনীতিকগোষ্ঠীর উপর কি আপনাদের এখনও প্রত্যাশা আছে?!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

হে দেশবাসী, বর্তমান অজ্ঞঅযোগ্য (রুয়াইবিদাহ্) শাসক রাজনীতিকগোষ্ঠীর উপর কি আপনাদের এখনও প্রত্যাশা আছে?!

বৈশ্বিক উপনিবেশবাদী শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট ক্ষমতার প্রতিযোগীতায় লিপ্ত দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দৌড়ঝাপ নজিরবিহীন।যদি তুমি লজ্জাই না কর, তবে যা ইচ্ছে তাই কর (সহীহ বুখারী); রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-এর এই উক্তি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে, যারা জনগণের প্রত্যাশাকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি এবং কাফির উপনিবেশবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আনুগত্যের প্রতিযোগীতায় নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জনগণ এই রাজনৈতিক সার্কাসে ত্যক্ত-বিরক্ত এবং পাশাপাশি প্রচন্ড উদ্বিগ্ন। কারণ, যালিম হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে পনের বছরের দুর্নীতি–দুঃশাসন, মার্কিন-বৃটেন-ভারতের প্রতি দাসত্ব এবং ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের যে নীতির বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছিল এবং সর্বশেষ ছাত্রজনতার জুলাই অভ্যুথানের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের ফ্ল্যাগশিপ দল-আওয়ামী লীগের শাসনের পতন ঘটিয়েছিল, কিন্তু তারপরও সেই একই রাজনীতির পুনরাবর্তন জনগণকে হতাশ ও উদ্বিগ্ন করেছে। জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে, জনগণের উপর দশকের পর দশক ধরে বিদ্যমান ব্যর্থ ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা; আর প্রস্তাবিত জুলাই সনদ হচ্ছে, মার্কিনীদের আধিপত্য বজায় রাখতে অনুগত রাজনৈতিক দলসমূহ ও দালাল গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এসব নির্লজ্জ শাসক ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর নিকট জনগণের কি প্রত্যাশা থাকতে পারে?

যালিম হাসিনার পতনের পর অধ্যাপক ইউনুসের নিকট জনগণের প্রত্যাশা ছিল, তিনি তার বৈশ্বিক প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে মার্কিন-বৃটেন-ভারতের আধিপত্য মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। দেশে এমন একটি আলাপ-আলোচনা ও রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করবেন যার মাধ্যমে জনগণ নতুন বাংলাদেশে ইসলামের স্বার্থ, জনগণের স্বার্থ ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি করবে। এদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মুসলিম হলেও অন্তর্বর্তী সরকার মার্কিন-ভারতের নিকট নতি স্বীকার করে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত থেকে ইসলামকে বাদ দিতে নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীর-এর উপর থেকে যালিম হাসিনার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নাই। তারপরও হিযবুত তাহ্রীর অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে ইসলামী সংবিধানের আলোকে ইসলামী রাষ্ট্রের কাঠামো, স্বনির্ভর অর্থনীতি ও দেশের সার্বভৌম রক্ষায় শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনের রূপরেখা প্রদান করেছে। এছাড়া এই কনফারেন্সে “বিপ্লব কীভাবে ব্যর্থ হয়?”–এই বিষয়ে রাজনৈতিক সচেতনতা (political awareness) তৈরি করা হয়েছে। ইসলাম, জনগণের স্বার্থ ও দেশের সার্বভৌম রক্ষায় এসব প্রস্তাবনা গ্রহন করাতো দূরের কথা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ ও হিযবুত তাহ্রীর-এর উপর দমন-নিপীড়ন বন্ধ করে নাই।

একমাত্র ইসলামী আক্বিদা’র ভিত্তিতে এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব, অথচ তথাকথিত ইসলামপন্থী ও অন্যতম ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল বিএনপি ইসলামী ব্যবস্থা-খিলাফতের উত্থানকে মোকাবেলা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট প্রতিজ্ঞা করেছে। প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে তারা মার্কিনীদের দাসত্বের রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে এবং এদেশের ইসলামপ্রিয় জনগণ থেকে তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ এসব শাসক ও রাজনীতিবিদদের বিষয়ে আমাদেরকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন:মানুষের উপর বিশ্বাসঘাতকতার এমন বছর আসবে, যখন মিথ্যাবাদীকে সৎ এবং সৎ ব্যক্তিকে মিথ্যাবাদী হিসেবে গণ্য করা হবে; বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বস্ত এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গণ্য করা হবে; এবং রুয়াইবিদাহ্‌-রা বিষয়গুলোকে নির্ধারণ করবেতাঁকেজিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: ‘রুওয়াইবিদাহ্ কারা?’ তিনিউত্তরে বললেন: ‘মানুষের বিষয়গুলোর দায়িত্ব গ্রহণকারী অযোগ্য অজ্ঞ ব্যক্তিরা (হাদিসঃ সুনান ইবনে মাজাহ)। তাই এসব অজ্ঞ ও অযোগ্য শাসক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গকে ত্যাগ করা জনগণের কর্তব্য। তারা মার্কিনীদের স্বার্থ রক্ষায় যতটা আগ্রহী, জনগণের বিষয়াদি দেখাশুনার ব্যাপারে ততটাই অনাগ্রহী।

হে দেশবাসী, যথেষ্ট হয়েছে! এখন আপনাদেরকে সক্রিয় হতে হবে। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, “…নিশ্চয়ই আল্লাহ্ কোন জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে… [সূরা আর-রাদঃ ১১]। মার্কিনীদের দাসত্ব ও প্রহসনের রাজনীতিকে প্রত্যখ্যান করতে হবে এবং ইসলামের ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আপনাদের শেষ আশ্রয়স্থল সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আপনাদের নিষ্ঠাবান সন্তানগণ। তাদের নিকট স্পষ্টভাবে দাবী জানাতে হবে, যেন তারা নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে। রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “…তারপর যুলুমের শাসনের অবসান হবে; অতঃপর আবারও ফিরে আসবে খিলাফতনবুয়তের আদলে (হাদিসঃ মুসনাদে আহমদ)। এই হাদিস থেকে দু’টি বিষয় স্পষ্টঃ এক, নবুয়তের আদলে খিলাফতের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সুসংবাদ এবং দুই, আসন্ন খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বর্তমান যুলুমের শাসনের অবসান।

﴿يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنْ تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ

হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ্‌-কে সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ্তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের অবস্থান দৃঢ় করবেন[সূরা মুহাম্মাদঃ ৭]।

 

হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস