শত্রুরাষ্ট্র ভারতের সাথে যৌথ টহল ‘CORPAT’ ও দ্বিপক্ষীয় মহড়া ‘বঙ্গোসাগর’ প্রমাণ করে, মার্কিন-ভারতের দালালরা তাদের উপনিবেশবাদী প্রভুদের স্বার্থে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
শত্রুরাষ্ট্র ভারতের সাথে যৌথ টহল ‘CORPAT’ ও দ্বিপক্ষীয় মহড়া ‘বঙ্গোসাগর’ প্রমাণ করে, মার্কিন–ভারতের দালালরা তাদের উপনিবেশবাদী প্রভুদের স্বার্থে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে
দেশের সর্বস্তরের জনগণ কর্তৃক বিশ্বাসঘাতক হাসিনাকে উৎখাত করার অন্যতম কারণ ছিল সে পিলখানায় ভারতীয় ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করেছিল এবং ধারাবাহিকভাবে দেশের সেনাবাহিনীর উপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সকল অপচেষ্টা করেছিল। দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সেই ষড়যন্ত্রের বিচারের দাবীতে জনগণ যখন সোচ্চার, ঠিক সে মুহূর্তে বাংলাদেশ ও ভারতীয় নৌবাহিনীর অংশগ্রহণে বঙ্গোপসাগরে অনুষ্ঠিত হওয়া যৌথ টহল ‘CORPAT’ ও দ্বিপক্ষীয় মহড়া ‘বঙ্গোসাগর’ জনগণকে হতবাক করেছে। প্রকৃতপক্ষে, মার্কিন-ভারতের দালালগোষ্ঠী দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে হলেও তাদের উপনিবেশবাদী প্রভুদের ভু-রাজনৈতিক স্বার্থরক্ষায় বদ্ধপরিকর। উল্লেখ্য যে, যখন দেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিকগোষ্ঠী পিলখানা ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে টুঁশব্দ করে নাই, তখন একমাত্র হিযবুত তাহ্রীর সাহসের সাথে এই ষড়যন্ত্রকে জাতির সামনে উন্মোচন করেছিল ও দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকে রুখে দাঁড়িয়েছিল। এবং এই কারণে রাষ্ট্রদ্রোহী হাসিনা সরকার সত্য ও ন্যায়নিষ্ঠ সুশৃঙ্খল এই দলকে তথাকথিত জননিরাপত্তার জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। আর এটা এখন প্রকাশ্য দিবালোকের মত স্পষ্ট, দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেই মার্কিন-ভারতের বর্তমান দালালগোষ্ঠী পতিত হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করছে এবং হিযবুত তাহ্রীর-এর কণ্ঠরোধ করার অপচেষ্টা করছে। এসব নির্বোধ শাসকদের বিষয়ে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদের সতর্ক করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “মানুষের উপর বিশ্বাসঘাতকতার এমন বছর আসবে, যখন মিথ্যাবাদীকে সৎ এবং সৎ ব্যক্তিকে মিথ্যাবাদী হিসেবে গণ্য করা হবে; বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বস্ত এবং বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে গণ্য করা হবে; এবং ‘রুয়াইবিদা’-রা জনগণের বিষয়গুলো নির্ধারণ করবে।’ সাহাবাগণ (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্, “রুয়াইবিদা কি?” তিনি বললেন, সে সকল নির্বোধ ও অযোগ্য শাসক যারা জনগণের ব্যাপারে কথা বলবে” [ইবনে মাজাহ্]। জনগণকে অবশ্যই এসব বিশ্বাসঘাতক দালাল নেতৃত্বকে জবাবদিহি করতে হবে। কারণ এসব এজেন্টরা যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে শত্রুদের কাছে মুসলিম সামরিক বাহিনীর গোপন তথ্য প্রকাশ করে এবং দেশের সার্বভৌমত্বেকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
হে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! হে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী! মার্কিন-ভারতের দালাল শাসকগোষ্ঠীর প্রতারণা এখন প্রকাশ্য দিবালোকের মত স্পষ্ট। তারা যেহেতু জনগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে তাদের পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাই তারা জনগণের শক্তির উপর ভরসা করে না। পিলখানায় আপনাদের সহকর্মীদের হত্যাকান্ডে আপনাদের অন্তরে এখনও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। অথচ যাদের হাত আপনাদের ভাইয়ের রক্তে রঞ্জিত তাদের সাথেই দালাল শাসকগোষ্ঠী এই মহড়ার আয়োজন করে কতবড় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে! আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, সীমান্ত আগ্রাসন মোকাবিলায় জনগণ কীভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আপনাদের সাথে সহযোগী ভূমিকা পালন করেছে। কীভাবে তরুণ প্রজন্ম ঐক্যবদ্ধভাবে “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা” শ্লোগাণে রাজপথ কাঁপিয়েছিল এবং বিশ্বাসঘাতক হাসিনা সরকারকে পতনে বাধ্য করেছিল। অথচ ক্ষমতালোভী দালাল শাসকগোষ্ঠী কতটা আত্মঘাতী যে, তারা তাদের “মায়ের কানের সোনা” চুরি করতে দ্বিধা করছে না, তাদের পশ্চিমা প্রভুদের স্বার্থে তারা আপনাদেরকেও বিভক্ত করতে দ্বিধা করছে না। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন “ইমাম (খলিফা) হচ্ছেন ঢাল, যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ করে এবং নিজেদেরকে রক্ষা কর” [সহীহ্ মুসলিম]। তাই আপনাদেরকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রকৃত অভিভাবক খিলাফত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আপনারা জানেন, এদেশের জনগণ “মার্চ ফর খিলাফত” কর্মসূচিতে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদানের দাবী জানিয়েছে। একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনেই কেবল জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে এবং পশ্চিমা কাফির উপনিবেশবাদী এবং তাদের আঞ্চলিক চৌকিদার ভারতের আধিপত্য মোকাবিলা করবে, ইনশাআল্লাহ্।
“যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন এবং অন্য কোনও জাতিকে তোমাদের স্থানে আনয়ন করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে পরিপূর্ণ ক্ষমতা রাখেন” [সূরা আত-তওবাঃ ৩৯]।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস