ভারতের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন আনুগত্য প্রমাণ করে হাসিনা সরকার দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি; আর সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী দেশের সামরিক বাহিনীর কর্তব্য হচ্ছে অনতিবিলম্বে হাসিনা সরকারকে অপসারণ করা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
ভারতের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন আনুগত্য প্রমাণ করে হাসিনা সরকার দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি; আর সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী দেশের সামরিক বাহিনীর কর্তব্য হচ্ছে অনতিবিলম্বে হাসিনা সরকারকে অপসারণ করা
ভারতের প্রতি নিরবিচ্ছিন্ন আনুগত্য প্রদর্শন করতে হাসিনা কালবিলম্ব না করে ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে (২১ জুন, ২০২৪) নয়াদিল্লি গমন করে। এই সফরে হাসিনা ভারতের অনুকুলে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। বিশেষ করে, ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্বাঞ্চলের কৌশলগত যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করতে দেশের বুক চিরে ভারতকে রেল ট্রানজিট প্রদান করে, যার ফলে জনগণ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এর জবাবে হাসিনা বলে, “ইউরোপের দিকে তাকান, সেখানে কোনো বর্ডার নেই” [প্রথম আলো, ২৫ জুন, ২০২৪]। প্রকৃতপক্ষে, ইউরোপের উদাহরণ টেনে দেয়া তার এই বক্তব্যে ভারতের সাথে বাংলাদেশকে একীভূত করার দুষ্ট অভিলাষ প্রকাশিত হয়েছে। এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে যখন সে বলেছে, ভারত নিজেদের রক্ত দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে [হিন্দুস্তান টাইমস (বাংলা), ২৫ জুন, ২০২৪]। ভারতের প্রতি হাসিনা সরকার এতটাই অন্ধ যে, দেশের অভ্যন্তরে ঢুকে প্রতিনিয়ত নিরীহ কৃষকদেরকে হত্যা করা, জেলেদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া, দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিবির সদস্যদের ধরে নিয়ে হত্যা করা, তাদের চোখে পড়ে না। “আল্লাহ্ তাদের ধ্বংস করুন; তারা কিভাবে (সত্য থেকে) বিভ্রান্ত হয়?” [সূরা আত-তাওবাহঃ ৩০]।
হে দেশবাসী, এই সফরে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ (ডিএসএসসি), ওয়েলিংটন এবং ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি), মিরপুর-এর মধ্যে কৌশলগত ও অপারেশনাল স্টাডিজের ক্ষেত্রে সামরিক শিক্ষাসংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য একটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়। যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর উপর আরও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। আপনারা জানেন, হাসিনা সরকারের সহযোগিতায় ভারত কীভাবে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করেছিল, যা তৎকালীন বিজিবি’র মহাপরিচালক, বিশ্বাসঘাতক জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলামের সাম্প্রতিক বয়ানে দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়েছে [সেদিন পিলখানায় কী ঘটেছিল ডিজি মইনুলের বয়ানে, মানবজমিন, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪]। প্রকৃতপক্ষে, হিন্দুত্ববাদি রাষ্ট্র ভারত মুসলিমদের শত্রুরাষ্ট্র, এই অঞ্চলের মুসলিমদের প্রতি ভারতের আগ্রাসন ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি দখলদার ইহুদি রাষ্ট্রের আগ্রাসনের মতই। আর হাসিনা হচ্ছে বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকদের একজন যার মাধ্যমে ভারত এদেশের উপর তার আধিপত্য বিস্তার করছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, “অবশ্যই মুমিনদের বিরুদ্ধে শক্রতায় মানুষের মধ্যে ইহুদী ও মুশরিকদেরকেই আপনি সবচেয়ে উগ্র দেখবেন” [আল-মায়িদাহঃ ৮২]।
হে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারগণ, আপনারা হলেন মোহাম্মাদ বিন কাসিম, ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির উত্তরসূরি, যারা রক্ত দিয়ে হিন্দুত্ববাদি রাজাদের কবল থেকে এই অঞ্চলকে মুক্ত করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের নামে মুসলিম ভূমিতে হস্তক্ষেপ করা মুশরিক রাষ্ট্র ভারতের সৈনিকদের রক্তকে স্বীকৃতি দিয়ে মুলতঃ হাসিনা মুসলিম বীর সৈনিকদের পবিত্র রক্তকে অস্বীকার করছে এবং মুসলিম উম্মাহ্’র সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। আর দেশকে নব্য-রাজা দাহিরের অধীনস্থ করছে এবং দেশের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করছে। আপনারা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব আপনাদের হাতে আমানত এবং দেশের জনগণ সর্বতোভাবে দাবী জানাচ্ছে, আপনারা হাসিনা সরকারকে অপসারণ করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করুন। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, “ইমাম (খলিফা) হচ্ছে রক্ষাকবজ যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ কর এবং নিজেদের রক্ষা কর” (সহীহ্ মুসলিম)। তাই আপনাদের নিকট হিযবুত তাহ্রীর-এর উদাত্ত আহ্বান, নব্যুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আপনারা হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ প্রদান করে আপনাদের ঈমানী দায়িত্ব পালন করুন এবং মুসলিম উম্মাহ্’র সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রগামী হউন।
﴿إِلاَّ تَنفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلاَ تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ﴾
“তোমরা যদি অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দিবেন এবং অন্য সম্প্রদায়কে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন, এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান” [আত- আত-তাওবাহঃ ৩৯]।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস