বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে ভারত বাংলাদেশের উপর নজিরবিহিন পানি আগ্রাসন চালিয়েছে; ভারতকে শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে ভারত বাংলাদেশের উপর নজিরবিহিন পানি আগ্রাসন চালিয়েছে;
ভারতকে শত্রুরাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নাই
বাংলাদেশের উপর ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার, আগষ্ট ২৩, ২০২৪ তারিখে বাদজুম্মাহ বাইতুল মোকারমের উত্তর গেইটে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে হিযবুত তাহরিরের পক্ষে সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ শেষে মিছিলটি বিজয়নগর প্রদক্ষিন করে আবার বায়তুল মোকারমে দোয়ার করার মাধ্যমে শেষ হয়। উক্ত সমাবেশের মূল বক্তব্য হচ্ছেঃ
বাংলাদেশের উপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে ভারত বাংলাদেশের উপর নজিরবিহিন পানি আগ্রাসন চালিয়েছে। তারা কোন প্রকার সতর্কতা না দিয়ে ডুম্বুর বাঁধের গেইট খুলে দেয় যার ফলে অতিদ্রুত বাংলাদেশের দশটি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষের ঘর বাড়ি দ্রুত তলিয়ে যায় এবং মানুষ তাদের বাড়িঘর ও সম্পদ-সম্বল রক্ষা করাতো দূরের কথা জীবন বাচাতে যত্রতত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য প্রানপন চেষ্টা করে। এলাকাসমূহের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আকস্মিক বন্যায় শিকার জনগণের সাথে আত্মীয়সজনরা তাদের শিশু-সন্তান, বৃদ্ধ পিতা-মাতার শেষ অবস্থা জানতে পারছে না এবং চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন এবং তাদের হতাহতের খবরও জানা যাচ্ছে না। ভারতের অব্যাহত আগ্রাসন নীতি মুসলিম অধ্যুষিত-এদেশের জনগণের সাথে শত্রুতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ্ ﷻ বলেন, ﴿لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِلَّذِينَ آمَنُوا الْيَهُودَ وَالَّذِينَ أَشْرَكُوا﴾ “আর আপনি আপনার সাথে শত্রুতার ক্ষেত্রে ইহুদি এবং মুশরিকের অধিকতর কঠোর পাবেন” [সূরাঃ আল-মায়েদাঃ ৮২]। বক্তাগন দেশের প্রশাসন, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও সর্বস্তরের জনগণকে বন্যা দুর্গত জনগণের জান-মাল রক্ষায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং নিন্মোক্ত দাবী সমুহ তুলে ধরেনঃ
১। দেশের জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটাতে ভারতকে অবিলম্বে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণা করে ভারতের দূতাবাস বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে ভারতের সাথে স্বাক্ষরকৃত সকল ইসলাম ও দেশবিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাতিল করতে হবে।
২। ভারতের যে কোন আগ্রাসন মোকাবেলায় দেশের সামরিক বাহিনী ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবিকে প্রস্তুত রাখতে হবে এবং দেশের সামরিক বাহিনী ও বিজিবিকে যেকোন শত্রুরাষ্ট্র মোকাবেলায় শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
৩। পিলখানা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে দেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার ভারতের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নকারি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৪। দেশের ধর্মনিরপেক্ষ দালাল শাসকগোষ্ঠীর ভারত তোষণ নীতির কারণে গত পাঁচ দশক ধরে ভারত এই দেশের উপর তার আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। তারা মুখে ভারতের বিরোধিতা করে, বাস্তবে ভারতের আগ্রাসন প্রতিহত করতে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই। তাই এসব দালালদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
৫। সর্বোপরি, ভারতের সকল আগ্রাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে তাকে পুনরায় মুসলিম শাসনের অধীনে ফিরিয়ে আনার সুদূরপ্রসারি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহন করবে। কারণ মুসলিমদের শাসনকালে এই অঞ্চলের জনগণ ধর্ম-বর্ন-জাতি নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন যাপন করেছে।
সবশেষে, বক্তাগন অনতিবিলম্বে নেতৃত্বশিল রাষ্ট্র – নব্যুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস