working to establish khilafah

পিলখানা হত্যাকান্ডের জন্য যালিম হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে “শত্রু রাষ্ট্র” হিসেবে ঘোষণা করতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

পিলখানা হত্যাকান্ডের জন্য যালিম হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবেশত্রু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে

 

রোববার (২৫ আগস্ট, ২০২৪) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঢাকার পিলখানায় বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে ২০০৯ সালের হত্যা মামলার আসামি তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, আবদুর রহিমকেও বিডিআর গণহত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং ২০১০ সালের ২৯শে জুলাই তাকে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের নেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে বিদেশি এজেন্টদের (ভারতের দিকে ইঙ্গিত করে) সহায়তায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এছাড়া পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহতদের পরিবার কয়েকদিন আগে ঢাকার মহাখালীতে জড়ো হয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনাকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন। তারা সাহসিকতার সাথে এই গণহত্যায় ভারতের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দেন এবং বলেন যে, বিডিআর সৈন্যদের দ্বারা ডাল-ভাত নিয়ে বিরোধ সম্পর্কে হাসিনা সরকারের বর্ণনা মিথ্যা এবং তা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

হে মুসলিমগণ, পিলখানা হত্যাকান্ডের পর হিযবুত তাহ্রীর-ই প্রথম দল যারা আপনাদের পাশে থেকে ভারত কর্তৃক শেখ হাসিনার সহযোগিতায় আমাদের চৌকস সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আপনাদেরকে সচেতন করে আসছে। বাংলাদেশে হিযবুত তাহ্রীর হচ্ছে প্রথম রাজনৈতিক দল যারা এই সাহসী অবস্থান নিয়েছিল যে, পিলখানা হত্যাকান্ড হচ্ছে আমাদের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করার মার্কিন-বৃটেন-ভারতের চক্রান্ত। ২০০৯ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারী হিযবুত তাহ্রীর একটি লিফলেট ইস্যু করে যাতে বলা হয়েছিল যে, সামরিক অফিসারদের উপর সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকান্ডটি ছিল মূলত ‘ভারত এবং হাসিনা সরকারের ভিতরে ও বাইরে থাকা এর এজেন্টদের দীর্ঘমেয়াদী চক্রান্তের অংশ’। হিযবুত তাহ্রীর-এর উপর ব্যাপক গ্রেফতার ও নিপীড়ন সত্ত্বেও, দলের নেতা-কর্মীদের কর্তৃক হাজার লিফলেট বিতরণ, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ও বক্তৃতার মাধ্যমে গণমানুষের ব্যাপক সম্পৃক্ততার ফলে জনগণের মধ্যে শক্তিশালী জনমত তৈরি হয়েছিল। তাই ভয়ে, তড়িঘড়ি করে হাসিনা সরকার হিযবুত তাহ্রীর-কে বিচারিক, রাজনৈতিক ও আইনগত ভাবে দমন করতে উঠেপড়ে লাগে।

হে মুসলিমগণ, আমরা হিযবুত তাহ্রীর, উলা‘ইয়াহ্‌ বাংলাদেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দুটি অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপনাদেরকে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, শুধুমাত্র যালিম হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা করা কিংবা হত্যাকান্ডের জন্য ভারতকে অভিযোগ করাই ‘যথেষ্ট নয়’। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, পিলখানা হত্যাকান্ড ছিল আমাদের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যা ভারত কর্তৃক পরিকল্পিত এবং হাসিনা কর্তৃক বাস্তবায়িত। সুতরাং, প্রথমত, আপনাদেরকে দাবী জানাতে হবে যাতে এই সরকার ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ ভারতকে আমাদের ‘শত্রু রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণা করে। অনতিবিলম্বে ভারতের সাথে সমস্ত সামরিক ও অন্যান্য সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং ভারতকে এখন থেকে আমাদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে। এবং, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, দেশের অভ্যন্তরে মার্কিন-বৃটেন-ভারতীয় প্রভাব ও হস্তক্ষেপ অবসানের একমাত্র সঠিক উপায় হচ্ছে কাফির-মুশরিকদের কর্তৃক আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া গোলামী থেকে মুক্তি লাভ করা এবং নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উম্মাহ্‌’র হারানো গৌরব ও মর্যাদা পুনরুদ্ধারে একটি সাহসী অবস্থান গ্রহণ করা। কিতাব আল-ফিতানে নাঈম ইবনে হাম্মাদ বর্ণনা করেছেন যে, আবু হুরায়রা (রা.) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন: তোমাদের একটি দল ভারত জয় করবে, আল্লাহ্তাদের জন্য [ভারত] উন্মুক্ত করবেন যতক্ষণ না তারা এর শাসকগোষ্ঠীকে শৃঙ্খলিত করে নিয়ে আসে – আল্লাহ্তাদের গুনাহ্‌-কে ক্ষমা করে দিবেন – যখন তারা [ভারত থেকে] ফিরে আসবে, তারা সিরিয়ায় ঈসা ইবনে মরিয়মের সাক্ষাত পাবে।

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস