গাজার মুসলিমদের রক্ষায় সমগ্র দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য “রেড লাইন”; “আর যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমার কাছে সাহায্য চায়, তাহলে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য” [সূরা আনফালঃ ৭২]
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
গাজার মুসলিমদের রক্ষায় সমগ্র দেশব্যাপী গণবিক্ষোভ আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য “রেড লাইন”; “আর যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমার কাছে সাহায্য চায়, তাহলে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য” [সূরা আনফালঃ ৭২]
ট্রাম্পের নির্দেশে গাজার মুসলিমদের উপর নজিরবিহীন বর্বর হামলা বিশ্ব বিবেকেকে যেমন নাড়া দিয়েছে, তেমনি দিয়েছে মৃত্যুর পূর্বমুহুর্তে গাজার মুসলিমদের কর্তৃক “বিজয় চিহ্ন” দেখিয়ে বিশ্ব মুসলিমকে দেয়া এই বার্তা, ‘আমরা জান্নাতে গেলাম, কিন্তু হয় তোমরা সক্রিয় হও, আর না হয় তোমাদের উপর আমাদের অভিশাপ’। গাজার মুসলিমদের সাহায্যের চিৎকারের জবাবে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ্’র সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশের মুসলিমগণ সারাদেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, কালেমা খচিত পতাকা, তাক্ববীর “আল্লাহ্ আকবর” এবং “ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন, সেনাবাহিনী সাড়া দিন” ইত্যাদি স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করেছে। অনেকেই মার্কিন দুতাবাসের সামনেও তাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। মুসলিমগণ জানেন, মুসলিম দেশগুলোর শাসকগোষ্ঠী কাফির পশ্চিমা শক্তি আমেরিকার দালাল, যারা ট্রাম্প দাঁত চিবালে ভয় পায়, তারা কীভাবে গাজার মুসলিমদের মুক্ত করবে, তারা বরং মুসলিম সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে আটকে রেখে তাদের পশ্চিমা প্রভুদের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করছে। তাই মুসলিমরা দালাল শাসকগোষ্ঠীকে ত্যাগ করে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের সন্তানদের দিকে মুখ ফিরিয়েছে এবং তাদেরকে অভিযানে বের হওয়ার “গ্রীন লাইট” এবং “ম্যান্ডেট” দিয়ে দিয়েছে।
হে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! গাজার মুসলিমদের সাহায্যের চিৎকার এবং দেশব্যাপী গণবিস্ফোরণ আপনাদের জন্য “রেড লাইন”। আল্লাহ্ (ﷻ) বলেন, “যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে আল্লাহ্ তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব দেবেন এবং অন্য কোনো জাতিকে তোমাদের স্থানে আনয়ন করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে পরিপূর্ণ ক্ষমতা রাখেন” [সূরা আত-তওবাঃ ৩৯]। এই আয়াত থেকে স্পষ্ট, যদি আপনারা শাসকগোষ্ঠীর আনুগত্য করে চুপ করে বসে থাকেন তাহলে আপনাদের পরিণতি কি হতে পারে! আল্লাহ্ রক্ষা করুন! এই লক্ষ্যে আপনারা সালাহ্উদ্দিন আইয়ুবীর পদক্ষেপ অনুসরণ করুন, যিনি ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে তার সম্মুখে বাধা হয়ে দাঁড়ানো শাসকদেরকে উৎখাত করেছিলেন এবং মুসলিম সামরিক বাহিনীগুলো একত্রিত করে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করেছিলেন। বর্তমানে আপনাদের সামনে প্রধান বাধা হচ্ছে দালাল শাসকগোষ্ঠী, যারা বিভিন্ন রকম অজুহাত ও প্রতারণা করে সময় ক্ষেপন করবে কিন্তু গাজার মুসলিমদের রক্ষায় কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিবে না। তাই আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে, মুসলিম উম্মাহ্’র প্রকৃত অভিভাবক-খিলাফত ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা, যার অধীনে সামরিক বাহিনীর একটি গর্জনই এই বর্বর হামলা বন্ধের জন্য যথেষ্ট। অতএব, আপনাদের প্রতি আহ্বান, অনতিবিলম্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করুন। খিলাফত প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল ও তার মদদদাতা বিশ্বমোড়ল ভয়ে প্রকম্পিত হবে এবং কালবিলম্ব না করে এই বর্বর হামলা বন্ধ করবে, কারণ তারা জানে মুসলিমদের অভিভাবক খলিফা বিনা বাধায় তাদেরকে ছেড়ে দিবে না।
﴿يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمْ انفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنْ الآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الآخِرَةِ إِلاَّ قَلِيلٌ﴾
“হে ঈমানদারগগণ! তোমাদের কি হলো, যখন তোমাদেরকে আল্লাহ্’র পথে অভিযানে বের হতে বলা হয়, তখন তোমরা জমীনের প্রতি প্রবলভাবে ঝুঁকে পড়? তোমরা কি আখিরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের ভোগের উপকরণ তো অতি নগণ্য” [আত-তাওবাঃ ৩৮]।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস