working to establish khilafah

গাজার মুসলিমদের জন্য কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মুসলিম উম্মাহ্‌’র ঐক্য ও পুনঃজাগরণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

গাজার মুসলিমদের জন্য কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মুসলিম উম্মাহ্‌’

ঐক্য পুনঃজাগরণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

গাজার মুসলিমদের জন্য কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে লাখ লাখ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, মুসলিম উম্মাহ্‌’র অংশ এই চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম ভূখণ্ডের মুসলিমগণ তাদের ইসলামী পরিচয় এবং মুসলিম ভাইদের ভুলে যায় নাই; বিশেষ করে তারা আল্লাহু আকবার তাক্ববীর ধ্বনি এবং দালাল ও মুনাফেকদের প্রোপাগান্ডাকে উপেক্ষা করে কলেমা খচিত ইসলামের পতাকা সুউচ্চে তুলে ধরে ইসরায়েল ও আমেরিকা বিরোধী শ্লোগাণে রাজপথ প্রকম্পিত করেছে। যার মাধ্যমে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও মুসলিমরা তাদের দৃঢ় ঈমান এবং মুসলিম উম্মাহ্‌’র ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা ক্রুসেডার গোষ্ঠী তাদের দালালদের মাধ্যমে মুসলিম ভূখণ্ডে জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে উম্মাহ্‌‘কে বিভক্ত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও মুসলিমগণ যখনই সুযোগ পাচ্ছে তখনই তারা তাদের প্রকৃত পরিচয় এবং মুসলিম ভাতৃত্ববোধ প্রকাশ করছে। মার্চ ফর গাজা এবং ওয়ার্ল্ড স্টপ ফর গাজা কর্মসূচীতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ যার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এর পর থেকে গাজার মুসলিমদের উপর মার্কিন মদদে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের অব্যাহত বর্বর হামলার প্রতিবাদে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশব্যাপী জনগণের ব্যাপক বিক্ষোভ।

আপনারা নিশ্চয়ই প্রত্যক্ষ করেছেন, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমির মুসলিমদের উপর অভিশপ্ত ইহুদীগোষ্ঠীর বর্ণনাতীত নৃশংসতার জবাবে আরব বিশ্বসহ দালাল মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর নজিরবিহীন নীরবতার কারণে মুসলিম উম্মাহ্‌ এসব শাসকগোষ্ঠীকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। গণবিস্ফোরণ প্রত্যক্ষ করে, এদেশের ধর্মনিরপেক্ষ ও জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে মুসলিম উম্মাহ্‌’র এই ইস্যুকে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে; যার প্রমাণ হচ্ছে, তারা গাজার মুসলিমদের বাস্তুচ্যুত করার ট্রাম্প ঘোষিত পরিকল্পনা এবং মুসলিম নিধনে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের প্রকৃত মদদদাতা তাদের প্রভু আমেরিকার বিরুদ্ধে টুঁশব্দ টুকুও করে নাই। বরং তারা দেশের তথাকথিত “ভাবমূর্তি” নষ্টের অজুহাতে কালেমার পতাকা ও আমেরিকা বিরোধী placard বহন না করতে নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া তারা তাদের ঘোষণাপত্রে, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই যুদ্ধ বন্ধের এবং আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিচারের হাস্যকর দাবী জানিয়ে জনগণের আবেগের সাথে তামাশা করেছে এবং মানবজাতির বুদ্ধিবিবেককে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। কারণ প্রতিটি বুদ্ধিবিবেক সম্পন্ন মানুষ এখন জানে, তথাকথিত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতকে আমেরিকা ও তার জারজ সন্তান ইসরায়েল বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আসছে। তারা যদি জনগণের আবেগ-অনুভূতির ন্যূনতম তোয়াক্কা করত, তবে তারা অন্তত তাদের ঘোষণাপত্রে অবৈধ ইসরায়েলের পাশাপাশি আমেরিকার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবীও জানাত। কাফিরগোষ্ঠী এবং তাদের দালালদের বিষয়ে আল্লাহ্‌ ﷻ মুসলিমদের সতর্ক করে বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদি খ্রিষ্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে [সূরা আল-মায়িদাঃ ৫১]।

মুসলিম উম্মাহ্‌ এখন বিশ্বব্যাপী মুসলিম দালালগোষ্ঠী শাসকদের সম্পর্কে সচেতন, তাই তারা এসব শাসকগোষ্ঠী থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তার নিষ্ঠাবান সন্তানদের নিকট দাবী জানাচ্ছে। তাদের ব্যানারে খচিত রক্তাক্ত ফিলিস্তিন সেনাবাহিনী সাড়া দিন”,  “Occupation by Military Demands Rescue by Military” “আলআকসা মুক্ত করতে আজকের সালাউদ্দিন কোথায়?” “যাদের হাতে মুসলিমের রক্ত তাদের সাথে কিসের বন্ধুত্ব” “মুসলিমদের একমাত্র রক্ষাকবচ হচ্ছে খিলাফত, ইত্যাদি স্লোগাণসমূহ যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। মুসলিম উম্মাহ্‌’র সন্তান হিসেবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে রক্ষায় যুদ্ধে যেতে ব্যাকুল হয়ে আছে এবং সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় আছে। আমরা হিযবুত তাহ্রীর সামরিকবাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয়ই ইমাম (খলিফা) হলেন একটি ঢাল যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ করো এবং যার দ্বারা নিজেদের রক্ষা করো(সহীহ্ মুসলিম)। এই হাদিস থেকে স্পষ্ট ফিলিস্তিন মুক্ত করতে আপনাদেরকে মুসলিম উম্মাহ্‌’র প্রকৃত অভিভাবক খিলাফত রাষ্ট্র ফিরিয়ে আনতে হবে। কারণ একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্র মুসলিম সামরিক বাহিনীগুলোকে একত্রিত করবে এবং ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করতে সামরিক অভিযান পরিচালনা করবে। এক্ষেত্রে আপনাদের জন্য সালাহ্‌উদ্দিন আইয়্যুবীর পদাঙ্ক অনুসরণীয়।

﴿وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنْ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا

আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ অসহায়  নরনারী এবং শিশুরা চিৎকার করে বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে উদ্ধার করুন জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন উদ্ধারকর্তা (অভিভাবক) নির্ধারণ করুন আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী[সূরা আন-নিসা: ৭৫]

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস