গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর-এর সমাবেশ ও মিছিল হে মুসলিমগণ! ‘Two-State Solution’ প্রত্যাখ্যান করুন এবং ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অফিসারদেরকে সালাহ্উদ্দিন আইয়ুবী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিযানে বের হওয়ার আহ্বান করুন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
গাজায় ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর-এর সমাবেশ ও মিছিল
হে মুসলিমগণ! ‘Two-State Solution’ প্রত্যাখ্যান করুন এবং ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অফিসারদেরকে সালাহ্উদ্দিন আইয়ুবী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিযানে বের হওয়ার আহ্বান করুন
হিযবুত তাহ্রীর/উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ, আজ (১০/৫/২০২৪) শুক্রবার বাদ জুমু‘আ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে, যার বিষয়বস্তু ছিল, “হে মুসলিমগণ! ‘Two-State Solution’ প্রত্যাখ্যান করুন এবং ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সামরিক অফিসারদেরকে সালাহ্উদ্দিন আইয়ুবী’র পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিযানে বের হওয়ার আহ্বান করুন”। সমাবেশের শুরুতে অংশগ্রহণকারী মুসলিমরা পশ্চিমা ক্রুসেডার, ইহুদী গোষ্ঠী ও বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে এবং ফিলিস্তিন মুক্ত করতে সামরিক অভিযানের আহ্বান সম্বলিত বিভিন্ন প্লেকার্ড, ফ্যাস্টুন প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন শ্লোগাণ দেয়; যেমন: ‘Two-State Solution’ – কাফিরদের প্রেসক্রিপশন; সেনাবাহিনী প্রেরণ কর – ফিলিস্তিন মুক্ত কর; Muslims Are One Body; ইসরায়েলী বিমান ঢাকায় কেন – জবাব চাই; অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল হচ্ছে – বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকদের ছায়া; খিলাফত কায়েম কর – ফিলিস্তিন মুক্ত কর; ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ – আল খিলাফাহ্ ওয়াদা‘আল্লাহ্।
সমাবেশে বক্তাগণ বলেন: যখন গাজা, পশ্চিম তীর এবং অন্যান্য অঞ্চলের মুসলিমদের উপর গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে তখন হাসিনা সরকার অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে ইসরাইল থেকে পর পর দুইদিন দুটি কার্গো বিমান বাংলাদেশের মাটিতে অবতরণ করে। আপনারা জানেন, হাসিনা সরকার ফিলিস্তিনীদের রক্ষায় সামরিক বাহিনী প্রেরণতো করেই নাই, বরং ইহুদীগোষ্ঠীকে রক্ষা করতে জাতিসংঘের অধীনে নৌবাহিনীর ৭৫-সদস্যের একটি দল লেবানন সীমান্তে প্রেরণ করেছে।
সমাবেশে বক্তাগণ ‘Two-State Solution’ প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে বলেন: হাসিনাসহ বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকরা ফিলিস্তিনের বিষয়ে আমেরিকার অবস্থান গ্রহণ করছে, যা প্রত্যেকবারই যুদ্ধবিরতির আহ্বানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ‘Two-State Solution’-এর প্রস্তাবনার মাধ্যমে শেষ হয়। ‘Two-State Solution’ হচ্ছে ফিলিস্তিনী মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত পদক্ষেপ। আপনাদের জানা আছে, ১৯১৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ‘Balfour Declaration’-এ ফিলিস্তিনে ইহুদিদের জন্য একটি জাতীয় আবাসভূমি প্রতিষ্ঠায় ব্রিটিশ সরকারের সমর্থন অন্তর্ভূক্ত ছিল। তখন থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বিতাড়িত ইহুদী উদ্বাস্তুরা দলে দলে ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে বসতি স্থাপন শুরু করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদী উদ্বাস্তুরা গণহারে ফিলিস্তিনে এসে জড়ো হয় এবং মুসলিমদেরকে ঘর-বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জবর-দখল করতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার তত্ত্বাবধানে ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল রেজ্যুলেশন ১৮১ মোতাবেক ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে ইহুদীদের এই অবৈধ দখলদারিত্বকে বৈধ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়া হয়। ব্রিটেন-আমেরিকাসহ পশ্চিমা ক্রুসেডারদের মদদে বর্তমানে এই অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের প্রায় ৮৫% ভূমি দখল করে রেখেছে। ‘Two-State Solution’ ফিলিস্তিন ভূমির উপর এই অবৈধ দখলদারিত্বকেই স্বীকৃতি দেয়। এছাড়া সামরিক বাহিনী বিহীন প্রস্তাবিত এই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্থায়ীভাবে ফিলিস্তিন মুসলিমদেরকে নিরস্ত্র রাখার নীতির আলোকে প্রণীত যাতে করে ইহুদীগোষ্ঠী আর কখনোই প্রতিরোধের সম্মুখীন না হয়।
ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে সালাহ্উদ্দীন আইয়ূবীর পদাঙ্ক অনুসরণের বিষয়ে বক্তাগণ বলেন: আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা মুনাফিক শাসকদের সম্পর্কে বলেন, “তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বধির, বোবা এবং অন্ধ, তাই তারা কখনই সঠিক পথে ফিরে আসবে না” [সূরা বাক্বারাঃ ১৮]। তাই আমাদেরকে সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদের দিকেই মুখ ফিরাতে হবে এবং ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আমাদের পিতা, সন্তান, ভাই ও পরিচিতদেরকে জিহাদে উৎসাহিত করতে হবে; যাতে তারা সালাহ্উদ্দিন আইয়ুবী’র পদক্ষেপ অনুসরণ করে। যিনি মুনাফিক শাসকদের উৎখাত ও মুসলিম ভূমিগুলোকে একীভুত করে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ১১৮৭ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের দখল থেকে জেরুজালেমকে মুক্ত করেন। ফিলিস্তিনের মুক্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা পশ্চিমাদের দালাল বর্তমান শাসকগোষ্ঠী, যারা আমাদের সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে বন্দি করে রেখেছে। তাই ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার প্রকৃত উপায় হচ্ছে, সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আমাদের সন্তান, ভাই ও পরিচিতদের আহ্বান করুন যেন তারা ফিলিস্তিন মুক্তির পথে বাঁধা এসব শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে এবং খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ প্রদান করে, যে খিলাফত রাষ্ট্র সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করবে, ইনশা‘আল্লাহ্।
﴿فِي بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ الأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ*بِنَصْرِ اللَّهِ يَنصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ﴾
“আর সেদিন মুমিনগণ (বিজয়ের) আনন্দ উপভোগ করবে, (সে বিজয় অর্জিত হবে) আল্লাহ্’র সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা বিজয় দান করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, বড়ই দয়ালু” [সূরা আর-রুমঃ ৪-৫] ।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস