working to establish khilafah

কুখ্যাত এফবিআই কর্তৃক দেশের দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটিটিসি-এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগীতা প্রমাণ করে, আমেরিকা তার দালাল শাসকদের সহযোগীতায় ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের হাতকে আরো প্রসারিত করছে

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

কুখ্যাত এফবিআই কর্তৃক দেশের দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটিটিসি-এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগীতা প্রমাণ করে, আমেরিকা তার দালাল শাসকদের সহযোগীতায় ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার যুদ্ধের হাতকে আরো প্রসারিত করছে

জঙ্গি নাটক তৈরির মাস্টার মাইন্ড কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (CTTC)-এর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে চলমান সহযোগীতা ও অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে ডিএমপি’র সিটিটিসি’র ইউনিট পরিদর্শন করেছে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (FBI)-এর একটি প্রতিনিধিদল। এই সহযোগীতা প্রমাণ করে, মার্কিন দালালগোষ্ঠী এদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত “সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের” নামে “ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” পরিচালনা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। পতিত হাসিনার শাসনামলে সিটিটিসি কর্তৃক জঙ্গিবাদের নামে ইসলামপ্রিয় মুসলিমদের এবং নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের গুম, খুন এবং গোপন কক্ষে আটক রেখে নির্যাতনের চিত্রের ট্রমা যখন দেশের জনগণকে তাড়া করছে, তখন এই এফবিআই-সিটিটিসি সহযোগীতার খবর সবাইকে হতবাক করেছে। পতিত হাসিনা সরকার পশ্চিমাদের সমর্থন লাভ করতে ইসলামের ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিজেদের “গণতন্ত্রের ক্রুসেডার” দাবী করত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মার্কিন দালালগোষ্ঠীও কি আগের সরকারের মতো এদেশের ইসলামপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে পশ্চিমাদের সমর্থন পেতে মরিয়া? তাহলে তাদেরকে আমরা সতর্ক করে দিতে চাই, আমেরিকার শক্তি অসীম নয়, বরং এসব করে তারা সর্বশক্তিমান আল্লাহ্‌’র ক্রোধকে তরান্বিত করছে, আর স্বৈরাচারী ও যালিম শাসকদের পরিণতির দৃষ্টান্ততো রয়েছেই। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, আর কখনও মনে করো না যে, আল্লাহ্ যালিমদের (অপরাধীদের) কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বেখবর তিনি তাদেরকে ঐদিন পর্যন্ত অবকাশ দিয়ে রেখেছেন, যেদিন চোখগুলো [ভয়ে] বিস্ফোরিত হয়ে যাবে [সূরা ইব্রাহিমঃ ৪২]।

হে দেশবাসী, আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা নেয়ার পর এই অঞ্চলে তার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে সামরিক জোট কোয়াড (QUAD)-এর সদস্যদের (অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র) সাথে বৈঠক করতে দেরী করে নাই। যুক্তরাষ্ট্রের এই ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই অঞ্চলে চীনকে মোকাবিলা করা এবং খিলাফতের আবির্ভাবকে ঠেকানো। ফলে, যারা ভারতের আগ্রাসন থেকে মুক্তির জন্য আমেরিকার সাহায্য কামনা করে তাদের সামনে আর কি দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করা যেতে পারে? তাই, আপনাদেরকে সর্বতোভাবে মার্কিন দালালগোষ্ঠীকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আল্লাহ্‌ ﷻ বলেন, “মুমিনরা যেন মুমিনদের ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ না করে আর যারা এরূপ করবে, আল্লাহ্‌’ সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই[সূরা আলি ইমরানঃ ২৮]।

হে দেশবাসী, আপনারা জানেন, উপনিবেশবাদী আমেরিকা মুসলিম ভূমির উপর তার আধিপত্য বজায় রাখতে ইসলামী ব্যবস্থা-খিলাফতের আবির্ভাবকে বিলম্বিত করতে তার দালালগোষ্ঠীর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। কিন্তু তার এই যুদ্ধ ব্যর্থ হচ্ছে, কারণ গণহত্যাকারী অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের মদদদাতা আমেরিকা এবং তার যুদ্ধের পদানত সৈনিক দালাল রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবিদের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নাই। রাসূলুল্লাহ্‌ বলেছেন, “…তারপর যুলুমের শাসনের অবসান হবে; অতঃপর আবারও ফিরে আসবে খিলাফতনবুয়তের আদলে (হাদিসঃ মুসনাদে আহমদ)। আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা’র ইচ্ছায়, রাসূলুল্লাহ্‌ -এর সুসংবাদ বাস্তবায়ন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তাই খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত আমাদের ইসলামপ্রিয় সন্তানদের নিকট দাবী জানান।

﴿إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يُنْفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ لِيَصُدُّوا عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ فَسَيُنفِقُونَهَا ثُمَّ تَكُونُ عَلَيْهِمْ حَسْرَةً ثُمَّ يُغْلَبُونَ وَالَّذِينَ كَفَرُوا إِلَى جَهَنَّمَ يُحْشَرُونَ

নিশ্চয়ই কাফিরেরা মানুষকে আল্লাহ্‌’ পথ থেকে নিবৃত্ত করতে তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে, তারা তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর ওটাই শেষ পর্যন্ত তাদের দুঃখ আফসোসের কারণ হবে এবং তারা পরাভূতও হবে আর যারা কুফরী করে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে [সূরা আল-আনফালঃ ৩৬]

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস