কর্ণাটকের ধর্মনিরপেক্ষ হাইকোর্টের কতবড় স্পর্ধা, আল্লাহ্ মুসলিমদের জন্য যা বাধ্যতামূলক করেছেন তা নিয়ে ফতোয়া দেয়! হে মুসলিমগণ, ইসলাম এবং মুসলিমদের অভিভাবক খলীফা ছাড়া কে আমাদের বোনদের অধিকার এবং সম্মান রক্ষা করবে?
হে মুসলিমগণ, ইসলাম এবং মুসলিমদের অভিভাবক খলীফা ছাড়া কে আমাদের বোনদের অধিকার এবং সম্মান রক্ষা করবে?
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
কর্ণাটকের ধর্মনিরপেক্ষ হাইকোর্টের কতবড় স্পর্ধা, আল্লাহ্ মুসলিমদের জন্য যা বাধ্যতামূলক করেছেন তা নিয়ে ফতোয়া দেয়!
হে মুসলিমগণ, ইসলাম এবং মুসলিমদের অভিভাবক খলীফা ছাড়া কে আমাদের বোনদের অধিকার এবং সম্মান রক্ষা করবে?
হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকারের নেতৃত্বাধীন কর্ণাটক রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের হিজাব পরিধানের উপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তা বহাল রেখে কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় প্রদান করেছে যে, হিজাব পরিধান পরা ইসলামের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন নয়। নিঃসন্দেহে এই রায় ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মুসলিমদের উপর নির্যাতনের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দেয়ার আইনী দলিল হিসেবে কাজ করবে; আদালতের এই রায়টি যেন মুসকানের মতো সাহসী মুসলিমদের শাস্তিস্বরূপই দেয়া হলো, যে মুসকান ইসলামী বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ় আস্থা প্রদর্শন করে “আল্লাহু আকবার” স্লোগাণ দিয়ে হিংস্র হিন্দুত্ববাদী জনতার সামনে বীরত্বের পরিচয় দিয়েছিল।
হে দেশবাসী, যখন মুসলিম মাত্রই এবিষয়টি অবগত যে হিজাব পরিধান ইসলামের একটি অত্যাবশ্যকীয় বিধান, তখন কর্ণাটক উচ্চ-আদালতের প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ নামক একজন ধর্মনিরপেক্ষ মুশরিকের কতবড় স্পর্ধা যে, হিজাব ইসলামের অপরিহার্য বিষয় কিনা তা নির্ধারণ করে দেয়? কিছুদিনপূর্বে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক, বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়াগুলো প্রতারণাপূর্ণভাবে আমাদের সাহসী বোন মুসকানের অবস্থানকে সমর্থন করেছিল যাতে তারা তাদের তথাকথিত “স্বাধীনতা” নামক প্রতারণামূলক শ্লোগাণের ভিত্তিতে জনমতকে দখলে রাখতে পারে, কিন্তু এবার তাদের ভণ্ডামীর মুখোশ খসে পড়েছে যখন তারা ধর্মনিরপেক্ষ আদালতের রায়ের সমালোচনা করতে ব্যর্থ হচ্ছে, যদিও এই রায় তাদের তথাকথিত “ধর্মীয় স্বাধীনতার” সাথে সাংঘর্ষিক। প্রকৃতপক্ষে, তারা নারীর নগ্নতার স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখতে যতটা সজাগ, কিন্তু নারীর নিজেকে ঢেকে রাখার অধিকার সম্পর্কে ততটাই উদাসীন, যখন এটি বিশ্বজগতের রব কর্তৃক নির্দেশিত একটি বাধ্যবাধকতা।
হে দেশবাসী! হিজাব হচ্ছে আমাদের বোনদের সম্মানের প্রতীক এবং মুসলিমদের জন্য জীবন-মৃত্যুর মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনারা জানেন যে, শুধুমাত্র একজন মুসলিম নারীর হিজাব খুলে দেয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বনু কায়নুকা নামক ইহুদী গোত্রের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন এবং তাদেরকে মদিনা থেকে সম্পূর্ণরূপে উচ্ছেদ করে দেন। কর্ণাটকার হাইকোর্ট কর্তৃক হিজাব নিষিদ্ধের “ফতোয়া” এই উপমহাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের পরিচয়কে ক্রমান্বয়ে নিশ্চিহ্ন করার কাফির সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীদের অব্যাহত চক্রান্তেরই অংশ। এদেশের ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী ও বুদ্ধিজীবীরাও একই চক্রান্তে লিপ্ত। আপনি জানেন যে, এদেশে আমাদের বোনেরা সরকার এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মিডিয়ার ধর্মনিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একই রকম নিপীড়ন এবং উপহাসের সম্মুখীন হয়।
হে বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের মুসলিমগণ! কাফির উপনিবেশবাদী পশ্চিমারা তাদের দালাল শাসকদের ব্যবহার করে জোরপূর্বক আমাদের ভূখণ্ডকে ভাগ করলেও তারা আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের দৃঢ় বন্ধনকে ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। কাফির ঔপনিবেশিকরা এবং এই উপমহাদেশে তাদের দালাল ধর্মনিরপেক্ষ শাসকরা ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, কারণ সমগ্র ভারত উপমহাদেশ মুসলিমদের ভূখণ্ড এবং মুসলিমরা হাজার বছর ধরে এই উপমহাদেশকে শাসন করেছে। ঐতিহাসিকভাবে এই উপমহাদেশের মুসলিমরা ইসলাম, ভ্রাতৃত্ব ও রক্তের অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে আবদ্ধ। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর সুসংবাদ অনুযায়ী হিন্দুস্তান আবারও ইসলামী শাসনের অধীনে আসবে।
কাফির-মুশরিকদের দালাল বর্তমান ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠীর কাছে ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষার প্রত্যাশা করা উচিত নয়। একমাত্র খলীফা হচ্ছেন মুসলিমদের অভিভাবক এবং খিলাফত রাষ্ট্রই ইসলাম ও মুসলিমদের রক্ষা করবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেন, “নিশ্চয়ই ইমাম (খলীফা) হচ্ছে ঢাল, যার অধীনে মুসলিমরা যুদ্ধ করে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করে” (সহীহ্ বুখারী)। সুতরাং, হিজাবের অধিকার ও সম্মানের জন্য সংগ্রামরত আমাদের বোনদের জন্য বিজয় আনতে দ্বিতীয় খিলাফতে রাশিদাহ্ প্রতিষ্ঠার কাজ করা মুসলিমদের উপর অর্পিত ফরজ দায়িত্ব।
হে মুহাম্মদ বিন কাসিমের উত্তরসুরিগণ! হে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারগণ! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: *وَإِنْ اسْتَنصَرُوكُمْ فِي الدِّينِ فَعَلَيْكُمْ النَّصْرُ إِلاَّ عَلَى قَوْمٍ بَيْنَكُمْ* “এবং যদি তারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের নিকট সাহায্য চায়, তবে তাদের সাহায্য করা তোমাদের উপর অবশ্য কর্তব্য” [আল-আনফাল: ৭২]। মুসকানের মত সাধারণ এক মুসলিম তরুণী যদি ইসলাম রক্ষায় এমন সাহস দেখাতে পারে, আপনাদের সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নীরব থাকা আপনাদের জন্য সমীচীন নয়। আপনারা ভুলে যাবেন না যে সিন্ধুর অত্যাচারী রাজা দাহির কর্তৃক নিপীড়নের শিকার মুসলিম মহিলাদের আর্তনাদ শুনে উমাইয়া খলিফা আল-ওয়ালিদ বিন আবদ আল-মালিক তার সাহসী জেনারেল মুহাম্মদ বিন কাসিম আল-থাকাফির নেতৃত্বে ইরাক থেকে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছিলেন, এবং রাজা দাহির সেনের শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন। তাই, সত্যবাদী দল হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (সামরিক সহায়তা) প্রদান করুন, যারা পুনরায় এই উম্মাহ্’র নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে খিলাফত রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে, এবং কোন অবস্থাতেই ইসলামের শত্রুদের হাতে একজন মুসলিম মহিলার নির্যাতনও সহ্য করবে না। আসন্ন খিলাফত আপনাদেরকে এযুগের রাজা দাহির, হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদীকে পরাজিত করার সুযোগ করে দেবে এবং উপনিবেশবাদীদের দ্বারা সৃষ্ট কৃত্রিম জাতিরাষ্ট্রের সীমানা মুছে দিয়ে ভারতকে আবার খিলাফতের ছায়াতলে ফিরিয়ে আনবে।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন: “রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আমাদেরকে ভারত বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমার জীবদ্দশায় এটি ঘটলে আমি আমার জীবন ও সম্পদ এর জন্য ব্যয় করব। আমি যদি নিহত হই তবে আমি শ্রেষ্ঠ শহীদদের অন্তর্ভুক্ত, আর যদি আমি ফিরে আসতে পারি তবে আমি আবু হুরায়রা মুক্তিপ্রাপ্ত (গুনাহ্ থেকে)” [আহমাদ, আন-নিসায়ী, আল-হাকিম]।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া কার্যালয়