working to establish khilafah

কতটা নির্দয় হলে এই অন্তর্বর্তী সরকার নৃশংস আরাকান আর্মির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, আর নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে ত্যাগ করেছে!

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

بسم الله الرحمن الرحيم

কতটা নির্দয় হলে এই অন্তর্বর্তী সরকার নৃশংস আরাকান আর্মির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, আর নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে ত্যাগ করেছে!

ইউনাইটেড লীগ অফ আরাকান (ইউএলএ) ও এর সশস্ত্র শাখা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল বুথিডং এবং মংডু জুড়ে রোহিঙ্গা বেসামরিক নাগরিকরা ক্রমবর্ধমান নির্যাতনের সম্মুখীন হচ্ছে। চাঁদার বিনিময়ে চলাচলের অনুমতি, জোরপূর্বক সামরিক শ্রম, তরুণীদের ধরে নিয়ে ধর্ষণ এবং নিয়োগকৃত যুবকদের নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবেদন উত্তর আরাকানের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির স্পষ্ট বার্তা বহন করছে। আবার, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারও রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে জোরপূর্বক যুদ্ধে প্রেরণ করে মানবিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, যেমনটি রাশিয়া বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার করে জোরপুর্বক ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের নীরবতায় আরাকান আর্মি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১০-কিলোমিটার অভ্যন্তরে অনু্প্রবেশ করে ‘জলকেলি উৎসব’ করেছে। যার জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদেরকে জামাই হিসেবে আখ্যা দিয়ে (তার ভাষায়, তারা অনেকে এপারে বিয়ে-টিয়ে করে ফেলেছে) জনগণের সাথে তামাশা করেছে এবং চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। মার্কিন অনুগত এই অন্তর্বর্তী সরকার যখন মার্কিন নির্দেশে রাখাইনে মানবিক করিডর স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির প্রতি সমর্থন প্রদান করছে তখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর আরাকান আর্মির আগ্রাসনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৌদ্ধ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির অধিকৃত অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর নির্যাতনের তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে দশকের পর দশক ধরে বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের অত্যাচারের মধ্যে টিকে থাকা বাসিন্দারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। এইভাবে নির্দয় অন্তর্বর্তী সরকার বৌদ্ধ সন্ত্রাসী আরাকান আর্মির জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে, আর নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে ত্যাগ করেছে!

 প্রিয় দেশবাসী, আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, ‘মানবিক করিডর’-এর নামে এদেশকে মার্কিন প্রক্সিযুদ্ধে জড়ানোর অপচেষ্টায় বিরুদ্ধে যখন সর্বস্তরের জনগণ তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে, তখন মার্কিন দালালদের প্রকৃত স্বরূপ জনগণের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে। দেশে-বিদেশে এবং অনলাইন-অফলাইন আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, এই মার্কিন দালাল রাজনৈতিক গোষ্ঠী ও তথাকথিত নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এই করিডরকে বিভিন্ন যুক্তিতে ন্যায্যতা দিতে মরিয়া, আবার কোন কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠী আরাকানে স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র দাবী করে প্রতারণামূলকভাবে মার্কিন এজেন্ডাকে সমর্থন জানিয়েছে।আল্লাহ্ তাদের ধ্বংস করুন; তারা কিভাবে বিভ্রান্ত হয়? [সূরা মুনাফিকুনঃ ৪]। আমরা, হিযবুত তাহ্রীর-এর পক্ষ থেকে তাদেরকে সতর্ক করতে চাই, গাজায় মুসলিম গণহত্যায় অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের মদদদাতা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন উপনিবেশবাদী প্রকল্প জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে, ইনশা‘আল্লাহ্‌।

দেশের সচেতন জনগণ, নিষ্ঠাবান রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবী এবং সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নিষ্ঠাবান অফিসারদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, আপনারা নিশ্চয়ই অনুভব করছেন, আফগানিস্তান থেকে পালানোর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এতটাই দুর্বল যে, বিশ্বব্যাপী তারা সরাসরি যুদ্ধ করতে অক্ষম। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার উপনিবেশবাদ টিকিয়ে রাখতে অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল এবং বিভিন্ন দেশে তার দালাল শাসকগোষ্ঠীর সহযোগীতায় সেখানকার সামরিক শক্তি ও রসদকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে তার উপনিবেশবাদী প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করে থাকে। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে এসব দালালগোষ্ঠীকে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করতে হবে, এবং দেশের অভ্যন্তরে হোক অথবা বাহিরে হোক তথাকথিত ‘মানবিক করিডর’ বিরুদ্ধে তীব্র জনমত গড়ে তুলতে হবে।

﴿ لاَ يَتَّخِذْ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنْ اللَّهِ

মুমিনগণ যেন মুমিনগণ ছাড়া কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে আর যারা এরূপ করবে তাদের সাথে আল্লাহ্‌’ কোন সম্পর্কে থাকবে না …[সূরা আলি-ইমরানঃ ২৮]

 

 

হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্‌ বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস