working to establish khilafah

এটাই মোটেই অপ্রত্যাশিত নয় যে, আসন্ন খিলাফতের উত্থানের ভয়ে ভীত মোদী সরকার, সত্যনিষ্ঠ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নিষিদ্ধ করবে

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

এটাই মোটেই অপ্রত্যাশিত নয় যে, আসন্ন খিলাফতের উত্থানের ভয়ে ভীত মোদী সরকার, সত্যনিষ্ঠ ও নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধ করবে

হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতৃত্বে খিলাফতের অনিবার্য আবির্ভাবে ভীত হয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (MHA) গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর, ২০২৪) “জিহাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ইসলামী রাষ্ট্র ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়” উল্লেখ করে হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কারণ তারা জানে, এই অঞ্চলে হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতৃত্বে খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবী উঠেছে এবং আসন্ন খিলাফতের অধীনে মুসলিম সেনাপতিরা জিহাদের মাধ্যমে ভারতকে পুনরায় মুক্ত করবে, যেভাবে উমাইয়া খিলাফতের বীর সেনাপতি মোহাম্মদ বিন কাসিম ৭১২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তৎকালীন অত্যাচারী রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু জয় করেন। এবং রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ-এর ভবিষ্যতবাণীটি বাস্তবে রূপ নেবে, হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেন, অবশ্যই আমাদের একটি দল ভারতের সাথে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ্ সেই দলের যোদ্ধাদের সফলতা দান করবেন, আর তারা সেখানকার রাজাদের বেড়ি পড়িয়ে টেনে আনবে (কিতাবুল ফিতান, নাঈম ইবনে হাম্মাদ)। সুতরাং, কাপুরুষ এই হিন্দুত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী যে হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে তা মোটেই অপ্রত্যাশিত নয়। নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহ্রীরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সে তার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে এবং হিযবুত তাহ্রীর-কে বুদ্ধিবৃত্তিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় তাদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করেছে।

হে দেশবাসী, আপনারা অবগত আছেন, হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতৃত্বে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় তরুণদের পুনঃজাগরণ অভাবনীয়, এবং তা প্রত্যক্ষ করে ভারত বাংলাদেশে তার দালালগোষ্ঠী ও কতিপয় গণমাধ্যমকে দিয়ে এই নিয়মতান্ত্রিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে সক্রিয় এবং খিলাফতের পক্ষে সর্বস্তরের জনগণের দাবীকে প্রতিহত করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। অথচ তার মনে রাখা উচিত, তার আস্থাভাজন দালাল পতিত স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার গত ১৫ বছরের শাসনামলে চরম দমন-নিপীড়ন চালিয়েও হিযবুত তাহ্রীর-এর কণ্ঠরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। আপনারা জানেন, ২০০৯ সালে যখন হাসিনা ও ভারতের ষড়যন্ত্রে ‍নৃশংস পিলখানা হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হলো, তখন বাংলাদেশে একমাত্র দল এই হিযবুত তাহ্‌রীর নিষ্ঠা ও সাহসীকতার সাথে এই বিষয়টি জাতির কাছে উন্মোচন করে। এবং এর মাধ্যমে দেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার ভারতীয় চক্রান্ত অংকুরেই বাধাগ্রস্ত হয়। আর তখন পতিত খুনী হাসিনা সরকার ভারতের ইঙ্গিতে হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধ করেছিল। সকল অপচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ভারত মরিয়া হয়ে এখন নিজেই হিযবুত তাহ্রীর-এর বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে।

হে দেশবাসী, শত্রুরাষ্ট্র ভারত কর্তৃক হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা প্রমাণ করে যে, এটি একটি সত্যনিষ্ঠ দল এবং এই মুহুর্তে তাদের এই বেপরোয়া সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয় খিলাফত অতি সন্নিকটে। তাই নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী হউন। খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর অনতিবিলম্বে পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার, ভারতের সাথে সকল চুক্তি বাতিল এবং ভারতকে শত্রুরাষ্ট্র ঘোষণা করে তার দূতাবাস বন্ধ করবে। সর্বোপরী, রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ-এর সুসংবাদ অনুযায়ী ভারতকে খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে পুনরায় ফিরিয়ে আনবে, এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের চির অবসান ঘটিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনবে।

﴿فِي بِضْعِ سِنِينَ لِلَّهِ الأَمْرُ مِنْ قَبْلُ وَمِنْ بَعْدُ وَيَوْمَئِذٍ يَفْرَحُ الْمُؤْمِنُونَ * بِنَصْرِ اللَّهِ يَنصُرُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ

আর সেদিন মুমিনগণ বিজয় উল্লাস করবে, আল্লাহ্‌’ বিজয়ে তিনি যাকে ইচ্ছা বিজয় দান করেন এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু [সূরা আর-রুমঃ ৪-৫]।

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস