আল-আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের রক্ষার দাবিতে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করে
“হে মুসলিমগণ! খিলাফত প্রতিষ্ঠায় মুসলিম সেনাবাহিনী অগ্রসর হলেই আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা ও অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য”
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
আল–আকসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের রক্ষার দাবিতে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন করে
“হে মুসলিমগণ! খিলাফত প্রতিষ্ঠায় মুসলিম সেনাবাহিনী অগ্রসর হলেই আল–আকসা মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা ও অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের ধ্বংস অনিবার্য”
দখলদার ইহুদী বাহিনী পশ্চিমা কাফির শক্তিসমূহ বিশেষত আমেরিকা ও বৃটেনের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও মদদে, এবং মুসলিম দালাল শাসকের নীরবতা ও অবহেলার সুযোগে অব্যাহতভাবে আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের উপর যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে তার প্রতিবাদে হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ বাংলাদেশ আজ শুক্রবার (১৩/১০/২০২৩) বাদ জুম্মা ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, সাম্প্রতিক কালে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্র কর্তৃক অব্যাহতভাবে আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করা এবং মুসলিমদের উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গাজা উপত্যকার সাহসী মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী গত ৭ই অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপারেশন “আল-আকসা ফ্লাড” অভিযান শুরু করে। স্থল-আকাশ-নৌ পথে একযোগে পরিচালিত এই নজিরবিহীন হামলায় অবৈধ রাষ্ট্রটির “অজেয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা” ও “সবচেয়ে শক্তিশালী” গোয়েন্দা সক্ষমতার সুপ্রাচীন কল্পকথাকে ভেঙে দেয় এবং প্রমাণ করে অবৈধ এই রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব কেবলমাত্র মুসলিম ভূ-খন্ডসমূহের দালাল শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার কারণে এখনো টিকে আছে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: “এমনকি তারা (ইহুদীরা) ঐক্যবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সমর্থ নয়, সুরক্ষিত জনপদে বা দূর্গ-প্রাচীরের আড়ালে অবস্থান ছাড়া। তাদের নিজেদের মধ্যেই আছে ভীষণ শত্রুতা। তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করো, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণ এই যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়” [সূরা আল-হাশরঃ ১৪] ।
বক্তাগণ মুসলিমদের আহ্বান করে বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরা ও মিরাজের বরকতময় ভূমির মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনীর সাহসিকতার কাছে তথাকথিত শক্তিশালী ‘ইসরাইল রাষ্ট্র’’ হতবিহ্বল ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং এর ভঙ্গুর চেহারা উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। তারা বিশ্বকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে, বিশ্ব মানচিত্র থেকে অবৈধ এই রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব মুছে ফেলা খুবই সম্ভব, এবং এর জন্য শুধু মুসলিম ভূমিসমূহের শাসকদের রাজনৈতিক ইচ্ছাই যথেষ্ট। তারা এই স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করেছে যে, দরিদ্র মুসলিমদের ছোট্ট একটি দল যদি ‘অতি সাধারণ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে’ বিশ্বের অন্যতম “শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে” এভাবে হতবিহ্বল করে দিতে পারে, তবে মুসলিম বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলো অগ্রসর হলে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের ধ্বংস ও ফিলিস্তিনের মুক্তি অনিবার্য। কিন্তু পশ্চিমাদের দালাল এবং ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ারত বাংলাদেশসহ মুসলিম ভূমিসমূহের শাসকরাই এই পথে প্রধান বাধা। সুতরাং, আল-আকসার মুক্তির সংগ্রামে আপনাদের দায়িত্ব হচ্ছে আপনাদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে যারা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠায় বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে অবিলম্বে হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (সামরিক সহায়তা) প্রদান করে, যেই খিলাফত রাষ্ট্র পবিত্র জেরুজালেমকে মুক্ত করতে সামরিক বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ করবে।
পরিশেষে বক্তাগণ বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর কত আপনারা নীরব থাকবেন, গভীর নিদ্রা হতে জেগে উঠুন! আপনাদের সাহসী ভাইয়েরা যখন কোনো অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াই ইহুদি দখলদারদের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, তখন ফিলিস্তিনকে দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে আপনাদের অগ্রসর না হওয়ার পিছনে আর কি অজুহাত থাকতে পারে? উম্মাহ্’র সাহসী সন্তানেরা জিহাদ করছে এবং এবং আল্লাহ্’র সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার সুখ-শান্তি পরিত্যাগ করেছে, এমতাবস্থায় আপনাদের সহযোগিতা তাদের একান্ত প্রয়োজন, এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আপনাদেরকে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আদেশ দিয়েছেন: “তবে তারা যদি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য চায় তাহলে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য” [আল-আনফাল: ৭২]। মুসলিম ভূমিসমূহের বিশ্বাসঘাতক শাসকদের পদদলিত করার সামরিক সক্ষমতা আপনাদের রয়েছে, যারা পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর পথে প্রধান বাধা। এই বিশ্বাসঘাতক শাসকেরা এই দখলদারিত্বকে কেবল দীর্ঘায়িত করার জন্য যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত হ্রাস করার আহ্বান জানাবে। কিন্তু এই অবিরাম দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে মুসলিম দেশসমূহের কৃত্রিম সীমানাসমূহ মুছে ফেলা এবং দালাল শাসকদের অপসারণ করা, প্রতিবেশী মুসলিম সামরিক বাহিনীর সাথে একত্রিত হওয়া, এবং একক খিলাফত রাষ্ট্র হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এর মাসরাহ (ইসরা ও মিরাজ)-এর বরকতময় ভূমির দিকে অগ্রসর হওয়া। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেন:
*وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنْ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا*
“আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করছো না আল্লাহ্’র পথে এবং অসহায় নর–নারী ও শিশুদের জন্যে, যারা বলছে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন উদ্ধারকারী নিযুক্ত করুন, আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী” [সূরা নিসা: ৭৫]
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া কার্যালয়