অব্যাহতভাবে আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করার সমুচিত জবাবে সাহসী মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী অপারেশন “আল-আকসা ফ্লাড” পরিচালনা করে প্রমাণ করেছে যে, আল-আকসা মুক্ত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর এগিয়ে আসার বিষয়ে আর কোনো অজুহাত থাকতে পারে না
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
অব্যাহতভাবে আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করার সমুচিত জবাবে সাহসী মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী অপারেশন “আল-আকসা ফ্লাড” পরিচালনা করে প্রমাণ করেছে যে, আল-আকসা মুক্ত করতে আমাদের সেনাবাহিনীর এগিয়ে আসার বিষয়ে আর কোনো অজুহাত থাকতে পারে না
দখলদার বাহিনী কর্তৃক অব্যাহতভাবে আল-আকসা মসজিদকে অপবিত্র করার এবং মুসলিমদের উপর ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সমুচিত জবাবে গাজা উপত্যকার সাহসী মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী গত ৭ই অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপারেশন “আল-আকসা ফ্লাড” অভিযান শুরু করে। এই নজিরবিহীন হামলা স্থল-আকাশ-নৌ পথে একযোগে পরিচালিত হয়। মুজাহিদগণ প্রাথমিক ব্যারেজে শত্রুর অবস্থান, বিমানবন্দর ও সামরিক স্থাপনাসমূহ নিশানা করে পাঁচ হাজারেরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করে। তারা ‘কঠোর নিরাপত্তা’ বলয় ভেদ করে এবং যানবাহন, নৌকা ও মোটর চালিত প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে শত্রু অঞ্চলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্থানে প্রবেশ করে। মুজাহিদগণ কয়েক ডজন শত্রু সৈন্যকে জিম্মি করে, এবং তাদের প্রধান যুদ্ধ ট্যাংক, সৈন্যবাহী সাঁজোয়াযান ও শত শত ট্যাকটিকাল ভেহিক্যাল দখল করে নেয়। অবৈধ ইহুদি বাহিনীর সম্পূর্ণ অগোচরে ও তাদেরকে অরক্ষিত করে ফেলা এই আক্রমণ অবৈধ রাষ্ট্রটির “অজেয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা” ও “সবচেয়ে শক্তিশালী” গোয়েন্দা সক্ষমতার সুপ্রাচীন কল্পকথাকে ভেঙে দিয়েছে, যে রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব কেবলমাত্র মুসলিম ভূ-খন্ডসমূহের দালাল শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার কারণে এখনো বিদ্যমান। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: “এমনকি তারা (ইহুদীরা) ঐক্যবদ্ধভাবেও তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সমর্থ নয়, সুরক্ষিত জনপদে বা দূর্গ-প্রাচীরের আড়ালে অবস্থান ছাড়া। তাদের নিজেদের মধ্যেই আছে ভীষণ শত্রুতা। তুমি তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ মনে করো, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো ভিন্ন ভিন্ন। এর কারণ এই যে, তারা এক নির্বোধ সম্প্রদায়” [সূরা আল-হাশরঃ ১৪] ।
হে বাংলাদেশের মুসলিমগণ, ফিলিস্তিনে ইসরা ও মিরাজের বরকতময় ভূমির মুজাহিদদের একটি ক্ষুদ্র বাহিনী দ্বারা সাহসিকতার সাথে আক্রমণে তথাকথিত শক্তিশালী ‘ইসরাইল’ হতবিহ্বল ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং অবৈধ এই কাপুরুষ রাষ্ট্রের ভঙ্গুর চেহারা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে, বিশ্ব মানচিত্র থেকে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল মুছে ফেলা খুবই সম্ভব, এবং এর জন্য শুধু মুসলিম ভূমিসমূহের শাসকদের রাজনৈতিক ইচ্ছাই যথেষ্ট। তাদের এই বীরত্বপূর্ণ অভিযান মুসলিম উম্মাহ্’র মধ্যে আত্মবিশ্বাস পুনরুজ্জীবিত করেছে, মুসলিমদের দায়িত্বে থাকা শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতাকে উন্মোচন করেছে, এবং আল্লাহ্ আজ্জা ওয়া জ্বাল-এর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদের চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। তারা এই স্বপ্নকে অনুপ্রাণিত করেছে যে, দরিদ্র মুসলিমদের ছোট্ট একটি দল যদি বিশ্বের অন্যতম “শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীকে” এভাবে হতবিহ্বল করে দিতে পারে, তবে মুসলিম বিশ্বের সামরিক বাহিনীগুলো আসন্ন খিলাফত রাশিদাহ্’র অধীনে একত্রিত হয়ে আক্রমণ করলে তাদের কি অবস্থা হবে। সুতরাং, খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আপনাদের প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ করার মাধ্যমে পবিত্র আল-আকসাকে মুক্ত করার এই সংগ্রামে আপনাদের দায়িত্বের অংশটুকু পালন করতে হবে। আপনারা আওয়াজ তুলুন ‘জেরুজালেমকে মুক্ত করা আমাদের সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব’, এবং আপনাদের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে যারা সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠায় অবিলম্বে হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (সামরিক সহায়তা) প্রদান করে, যেই খিলাফত রাষ্ট্র জেরুজালেমকে মুক্ত করতে সামরিক বাহিনীকে অভিযানে প্রেরণ করবে।
হে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারগণ, আর কত নীরব থাকবেন, গভীর নিদ্রা হতে জেগে উঠুন! আপনাদের সাহসী ভাইয়েরা যখন কোনো অত্যাধুনিক অস্ত্র ছাড়াই ইহুদি দখলদারদের ওপর প্রচণ্ড আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে, তখন ফিলিস্তিনকে দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে আপনাদের অগ্রসর না হওয়ার পিছনে আর কি অজুহাত থাকতে পারে? উম্মাহ্’র সাহসী সন্তানেরা জিহাদ করছে এবং এবং আল্লাহ্’র সন্তুষ্টির জন্য দুনিয়ার সুখ-শান্তি পরিত্যাগ করেছে, এমতাবস্থায় আপনাদের সহযোগিতা তাদের একান্ত প্রয়োজন, এবং আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা আপনাদেরকে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আদেশ দিয়েছেন: “তবে তারা যদি দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাহায্য চায় তাহলে তাদেরকে সাহায্য করা তোমাদের কর্তব্য” [আল-আনফাল: ৭২]। মুসলিম ভূমিসমূহের বিশ্বাসঘাতক শাসকদের পদদলিত করার সামরিক সক্ষমতা আপনাদের রয়েছে, যারা পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর পথে প্রধান বাধা। এই বিশ্বাসঘাতক শাসকেরা এই দখলদারিত্বকে কেবল দীর্ঘায়িত করার জন্য যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত হ্রাস করার আহ্বান জানাবে। কিন্তু এই অবিরাম দখলদারিত্বের অবসান ঘটানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে মুসলিম দেশসমূহের কৃত্রিম সীমানাসমূহ মুছে ফেলা এবং দালাল শাসকদের অপসারণ করা, প্রতিবেশী মুসলিম সামরিক বাহিনীর সাথে একত্রিত হওয়া, এবং একক খিলাফত রাষ্ট্র হিসেবে রাসূলুল্লাহ্ ﷺ এর মাসরাহ (ইসরা ও মিরাজ)-এর বরকতময় ভূমির দিকে অগ্রসর হওয়া। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন:
*وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنْ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا*
“আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করছো না আল্লাহ্’র পথে এবং অসহায় নর–নারী ও শিশুদের জন্যে, যারা বলছে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন উদ্ধারকারী নিযুক্ত করুন, আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী” [সূরা নিসা: ৭৫]
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই’য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া কার্যালয়