প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
Bangladesh Policy Discourse (BPD) কর্তৃক আয়োজিত “নতুন বাংলাদেশ: ন্যায়ভিত্তিক-নেতৃত্বশীল রাষ্ট্রের রুপরেখাঃ সংস্কার নাকি নতুন সংবিধান” শীর্ষক আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ-এর পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করা হয়
আজ শনিবার, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৪ তারিখে সকাল ১১ ঘটিকায় সিরডাপ মিলনায়তন-এ বাংলাদেশ পলিসি ডিসকোর্স কর্তৃক আয়োজিত “নতুন বাংলাদেশ: ন্যায়ভিত্তিক–নেতৃত্বশীল রাষ্ট্রের রুপরেখাঃ সংস্কার নাকি নতুন সংবিধান” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ -এর পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এর সদস্য এম. আলম পাভেল।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ দশকে জনগণ ১৯৭২ সালে প্রথম গৃহীত সংবিধানের সতের বার সংস্কার প্রত্যক্ষ করেছে। যেগুলোর অন্যতম হচ্ছে “বাকশাল” প্রবর্তন, সংবিধানে বিসমিল্লাহ্ সংযোজন, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সংযোজন ও বিয়োজন, রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত ব্যবস্থায় রূপান্তর, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা প্রতিষ্ঠা এবং বাতিল করা, ইত্যাদি। কিন্তু এসব সংস্কার জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন আনাতো দূরের কথা জনগণের উপর যুলুমেরও কোন পরিবর্তন আনে নাই। প্রকৃতপক্ষে, এই সংস্কারসমূহ ছিল প্রতারণামূলক, শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি কিংবা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল যার সাথে জনগণের স্বার্থের কোন সম্পর্ক নাই। দুঃখজনকভাবে, “নতুন বাংলাদেশ” স্লোগানে বর্তমানে যেসব প্রস্তাবনা উপস্থাপিত হয়েছে সেগুলোতেও জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য কার্যকর কিছু পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কেননা বর্তমান সংবিধান ও তার সংযোজন-বিয়োজন কেন জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হলো, এই পর্যালোচনা ছাড়া আমরা কার্যকর কোন সমাধানের দিকে এগোতে পারবো না।
তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানের দিকে আলোকপাত করলে আমরা দেখতে পাবো, এটি পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের বিশ্বাস তথা স্রষ্টাবিবর্জিত ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী আক্বীদার ভিত্তিতে প্রণীত; যেখানে মানুষকে আইন তৈরির সার্বভৌম ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। ফলে শাসকগোষ্ঠী আইন তৈরি করে তাদের নিজেদের, কতিপয় পুঁজিপতির ও তাদের উপনিবেশবাদি প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করে, আর বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর উপর যুলুম করে।
নতুন সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে তিনি সবাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম, তারা ইসলামের মহান দ্বীনকে তাদের পরিচয় ও সংস্কৃতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। ইসলাম হচ্ছে একটি আক্বিদাহ্ এবং পুর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। কুর‘আন-সুন্নাহ্’র ভিত্তিতে প্রণীত ইসলামী সংবিধানই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং এই সংবিধান মোতাবেক রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করলে জনগণের চিন্তা-চেতনা ও আশা-আকাঙ্খার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটবে। এই লক্ষ্যে হিযবুত তাহ্রীকুর‘আন-সুন্নাহ্’র ভিত্তিতে “খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান (খসড়া)” প্রস্তুত করেছে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামী ব্যবস্থার সূচনা হয় এবং দীর্ঘ ১৩-শত বছর ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবার অধিকারকে নিশ্চিত করে, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং বিশ্বে নেতৃত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্রের সংবিধান কীভাবে ন্যায়ভিত্তিক ও নেতৃত্বশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবে তার রূপরেখার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তিনি তুলে ধরেন।
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস