হিযবুত তাহ্‌রীর-নেতৃত্বে “মার্চ ফর খিলাফত” র‍্যালি থেকে ইসলামপ্রিয় জনগণ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের সন্তানদেরকে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে

আর মার্কিন-ভারতকে সন্তুষ্ট করতেই তাদের দালালেরা “মার্চ ফর খিলাফত” র‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী ইসলামপ্রিয় রোজাদারদের উপর বর্বর হামলা করেছে

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হিযবুত তাহ্রীরনেতৃত্বেমার্চ ফর খিলাফত র‍্যালি থেকে ইসলামপ্রিয় জনগণ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের সন্তানদেরকে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে;

আর মার্কিনভারতকে সন্তুষ্ট করতেই তাদের দালালেরা মার্চ ফর খিলাফতর‍্যালিতে অংশগ্রহণকারী ইসলামপ্রিয় রোজাদারদের উপর বর্বর হামলা করেছে

৩ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ মুসলিম উম্মাহ্‌’র গৌরবময় খিলাফত ধ্বংসের ১০১ বছর উপলক্ষে হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্‌বাংলাদেশ, আজ ৭ মার্চ, ২০২৫, রোজ শুক্রবার, বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবীতে “মার্চ ফর খিলাফত” র‍্যালির আয়োজন করে। মার্কিন-ভারতের দালালদের ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে এই র‍্যালিটিতে সর্বস্তরের হাজার-হাজার ইসলামপ্রিয় জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। এই র‍্যালি থেকে ইসলামপ্রিয় জনগণ সামরিক বাহিনীতে কর্মরত তাদের সন্তানদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানায়, তারা যেন নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় নিষ্ঠাবান নেতৃত্ব হিযবুত তাহ্‌রীর-কে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদান করে।

৩ মার্চ, ১৯২৪ (২৮ রজব, ১৩৪২ হিজরী) কাফির উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের চক্রান্তে তাদের দালাল কামাল পাশা মুসলিম উম্মাহ্‌’র গৌরবময় খিলাফত ব্যবস্থা বিলুপ্তি ঘোষণা করে। পশ্চিমা কাফির উপনিবেশবাদীরা, বিশেষ করে ব্রিটেন, ও পরবর্তীতে আমেরিকা, মুসলিম উম্মাহ্‌’র উপর কুফর ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং ধর্মনিরপেক্ষ দালাল শাসকগোষ্ঠীকে চাপিয়ে দেয়। আজ মুসলিম উম্মাহ্‌ অভিভাবকহীন অবস্থায় পঞ্চাশটিরও অধিক জাতিরাষ্ট্রে বিভক্ত, ফিলিস্তিনের পবিত্রভূমি ও আল-আকসা মসজিদ অভিশপ্ত ইহুদিগোষ্ঠী দ্বারা দখলকৃত, ফিলিস্তিন-কাশ্মীর–রোহিঙ্গা মুসলিমসহ সর্বত্র মুসলিমগণ রক্তাক্ত, মুসলিমদের ঈমান-আক্বিদা-মর্যাদা ভুলন্ঠিত, এবং সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠিত। অথচ রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, নিশ্চয়ই ইমাম (খলিফা) হলেন একটি ঢাল যার অধীনে তোমরা যুদ্ধ কর এবং যার সাহায্যে নিজেদের রক্ষা কর(সহীহ্ মুসলিম)।

অন্যান্য মুসলিম ভূখণ্ডের মত বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিকগোষ্ঠী তাদের শেষ লজ্জাবরণ (mulberry leaf) ত্যাগ করে মুসলিম উম্মাহ্‌’র প্রকাশ্য শত্রু বিশেষ করে মার্কিন–বৃটেন এবং তাদের আঞ্চলিক দোসর ভারতের প্রতি তাদের দাসত্ব প্রকাশ করছে। তাই তাদের তথাকথিত সংস্কার ও নির্বাচনী সার্কাসে জনগণের কোন আগ্রহ নাই। আল্লাহ্‌ ﷻ এসব দালালদের বিষয়ে আমাদের সতর্ক করে বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে নিশ্চয় তাদেরই একজন [সূরা মায়িদাহ্‌: ৫১]

দেশের এমন রাজনৈতিক শূন্যতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী তরুণদের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে তাদেরকে আমরা সতর্ক করতে চাই, পশ্চিমাদের ধর্মনিরপেক্ষ-পুঁজিবাদী ব্যবস্থাই যুলুমবাজ ও বৈষম্যমূলক; তাই এই দেউলিয়াগ্রস্থ ব্যবস্থাকে বিদ্যমান রেখে তাদের নতুন দল জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে ব্যর্থ হবে। তাদেরকে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, তাদের রেফারেন্স পয়েন্ট হচ্ছে ৩ মার্চ, ১৯২৪, যখন থেকে মুসলিম উম্মাহ্‌’র খিলাফত ফিরিয়ে আনার বিপ্লব শুরু হয় এবং নবুয়তের আদলে খিলাফত ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই এই বিপ্লবের সফলতা আসবে। সুতরাং, ১৯৪৭ সালের ব্রিটিশ লিগেসী (legacy) তাদের রেফারেন্স পয়েন্ট হওয়া উচিত নয়, অন্যথায় ইতিহাসে তারা স্মরণ থাকবে বিশ্বাসঘাতক ইয়াং তুর্ক (Young Turk)-এর মত, যারা খিলাফত ধ্বংসে পশ্চিমাদের Trojan horse হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। আপনাদেরকে আমরা আহ্বান জানাই, উপনিবেশবাদী মার্কিন–ব্রিটেন ও তাদের আঞ্চলিক চৌকিদার ভারতের কবল থেকে মুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশকে নেতৃত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর সাথে ঐক্যবদ্ধ হউন। আমাদের প্রিয় নবী, রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “…তারপর যুলুমের শাসনের অবসান হবে, অতঃপর আবারও ফিরে আসবে খিলাফতনবুয়তের আদলে (হাদিসঃ মুসনাদে আহমদ)।

হে সামরিক বাহিনীতে কর্মরত নিষ্ঠাবান অফিসারগণ, রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে, তার কাঁধে খলিফার বাইআত (আনুগত্যের শপথ) নেই  তবে তার মৃত্যু হচ্ছে জাহেলীয়াতের মৃত্যু (সহীহ্‌ মুসলিম)। আপনারা হচ্ছেন মুসলিম উম্মাহ্‌’র সন্তান যাদের হাতে রয়েছে সামরিক ক্ষমতা যার মাধ্যমে আপনারা মুসলিমদেরকে এই জাহেলীয়াত থেকে মুক্ত করতে সক্ষম। আজকের এই “মার্চ ফর খিলাফত”-এর মাধ্যমে ইসলামপ্রিয় জনগণ আপনাদের প্রতি যে দাবী জানাচ্ছে তাদের এই দাবীর প্রতি সাড়া দিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্‌ (ক্ষমতা) প্রদান করুন। আপনারা আপনাদের পূর্বসূরী সা’দ বিন মোয়াজ (রা.)-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করুন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, যখন মদিনায় সা’দ বিন মোয়াজ (রা.)-এর নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী কাফির নেতা আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে উবাই থেকে সমর্থন ও পাহারা প্রত্যাহার করে রাসূলুল্লাহ্‌ ﷺ-কে প্রটোকল দিয়েছিলেন, তখন ক্ষমতাহীন আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে উবাই ক্ষমতা হারিয়ে উৎসুক দর্শকে পরিণত হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে, ইসলামের বিজয়েই জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে এবং প্রকৃত তাক্ববীর ধ্বনি উৎযাপন করবে।

আর সেদিন মুমিনগণ বিজয় উল্লাস করবে, আল্লাহ্‌’র পক্ষ থেকে বিজয়ে তিনি যাকে ইচ্ছা বিজয় দান করেন এবং তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম দয়ালু [সূরা আর-রুমঃ ৪-৫]।

 

 

হিযবুত তাহ্রীর / উলাইয়াহ্বাংলাদেশএর মিডিয়া অফিস