প্রেস বিজ্ঞপ্তি
بسم الله الرحمن الرحيم
যালিম হাসিনা কাফির উপনিবেশবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশীর্বাদ নিয়েই টানা চতুর্থ মেয়াদে তার ক্ষমতা গ্রহণ করছে
দেশের জনগণ আরেকটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনী সার্কাস প্রত্যক্ষ করেছে যার মাধ্যমে হাসিনা সরকার টানা ৪র্থ বারের মত ক্ষমতার বৈধতা নিল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভানের সাথে দুই ঘন্টা গোপন বৈঠক করে, যার ফলাফল হলো তথাকথিত এই ডামি নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে ০৩রা অক্টোবর ২০২৩ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিল, “কোথায় স্যাংশন, কোথায় ভিসানীতি, তলে তলে সবার সঙ্গে আপস হয়ে গেছে। নির্বাচন হবে, খেলা হবে। অক্টোবর থেকে খেলা শুরু। আগামী মাসে সেমিফাইনাল, জানুয়ারীতে ফাইনাল। শেখ হাসিনা আর পুতুলের সঙ্গে জো বাইডেনের সেলফিতে দিল্লিতে বাজিমাত, এরপর নিউইয়র্ক। আমেরিকারও দিল্লিকে দরকার। দিল্লির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র আছে। আমরা দিল্লির সঙ্গে আছি। প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারসাম্য করে ফেলেছেন।” তার বক্তব্যে উক্ত বৈঠকে হাসিনার সাথে বাইডেন প্রশাসনের আপসরফা, এই অঞ্চলে মার্কিনীদের উপনিবেশবাদী স্বার্থ ও মার্কিন–ভারতের স্বার্থ রক্ষায় হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে। ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী ২৫ জুলাই ২০০৮-এ, হাসিনা ওয়াশিংটনে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড এ. বাউচারের সাথে চূড়ান্ত বৈঠক করে যেখানে তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় উপস্থিত ছিল, যার ফলে সে একই কায়দায় ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন পেয়েছিল। গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ধুয়া তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যালিম হাসিনার গলাটিপে ধরে এবং অত্রঅঞ্চলে তার ইন্দোপ্যাচিফিক কৌশলে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করে, মার্কিন উপনিবেশবাদী কোম্পানী ExxonMobil কে গভীর সমুদ্র বন্দরে ১২টি হাইড্রো-কার্বন ব্লক বরাদ্দ দিতে নীতিগতভাবে সম্মত করায় এবং নিরাপত্তা ও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় চুক্তি ACSA, GSOMIA এগিয়ে রাখে যাতে করে নির্বাচনের পরে সই করতে পারে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্রকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ত্রাণকর্তা হিসেবে প্রচারকারী মার্কিন দালাল বিএনপিগোষ্ঠী শেষ মুহূর্তেও তীর্থের কাঁকের মত যুক্তরাষ্ট্রের কোন ম্যাজিকের দিকে তাকিয়ে ছিল যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে। প্রকৃত বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্র তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে তার দালালগোষ্ঠীকে ব্যবহার করে এবং প্রয়োজন শেষে তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দেয়।
হে দেশবাসী, হিযবুত তাহ্রীর আপনাদের সম্মুখে আওয়ামী-বিএনপি গোষ্ঠীর দালালির রাজনীতি এবং দেশের উপর পশ্চিমা উপনিবেশবাদীদের অশুভ পরিকল্পনা উন্মোচন করে আসছে। আপনারা জানেন, হিযবুত তাহ্রীর-এর নেতৃত্বে একমাত্র খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের জনগণ দালাল শাসকগোষ্ঠী এবং কাফির উপনিবেশবাদীগোষ্ঠীর কবল থেকে মুক্তি লাভ করবে। তাই, আপনাদেরকে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আপনাদের পরিচিত নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারগণের নিকট দাবী তুলতে হবে যেন তারা উপনিবেশবাদীদের দালাল হাসিনাকে অপসারণ করে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করে।
হে নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারগণ, আপনারা জানেন, জনগণ হাসিনার যুলুম থেকে মুক্তির জন্য আর্তনাদ করছে। হাসিনা আপনাদেরকে নিষ্ক্রিয়ভাবে নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে তার ক্ষমতার বৈধতা নিশ্চিত করছে এবং আপনাদেরকে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য করছে। ফলে জনগণের কাছে আপনাদেরকে লোভী ও কাপুরুষ হিসেবে উপস্থাপন করে ঘৃণার পাত্র বানাচ্ছে। এই অবস্থা আপনারা আর কতদিন সহ্য করবেন? আপনাদের দায়িত্ব বহিঃশক্তির আক্রমণ থেকে জনগণকে রক্ষা করা, আর হাসিনা হলো বহিঃশক্তির হাতিয়ার এবং দেশ ও জনগণের শত্রু। তাহলে কাফির-মুশরিকদের দালাল এই অত্যাচারী হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বর্ডার পাহারা দিয়ে জনগণের কি উপকার? তাই আপনাদের উচিত হাসিনাকে অপসারণ করে খিলাফত পুনঃপ্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদানে অগ্রগামী হওয়া এবং এযুগের সাদ ইবনে মুয়ায হওয়ার মর্যাদা অর্জন করা। সাদ ইবনে মুয়ায (রা.) রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে মদিনায় ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নুসরাহ্ প্রদান করেছিলেন। সাহাবী জাবের (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, “সা’দ ইবনে মুয়ায-এর মৃত্যুতে আল্লাহ্’র আরশ কেঁপে উঠেছে” (সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিম)।
*يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَجِيبُوا لِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ إِذَا دَعَاكُمْ لِمَا يُحْيِيكُمْ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَحُولُ بَيْنَ الْمَرْءِ وَقَلْبِهِ وَأَنَّهُ إِلَيْهِ تُحْشَرُونَ*
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের সেই আহ্বানে সাড়া দাও, যখন তোমাদের এমন কাজের প্রতি আহ্বান করা হয় যা তোমাদের মাঝে প্রাণের সঞ্চার করে।” [সূরা আল-আনফালঃ ২৪]
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস