بسم الله الرحمن الرحيم
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
“খিলাফতের অধীনে মুসলিম সামরিক বাহিনীর গর্জনই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে প্রতিহত করতে যথেষ্ট”
–এই ব্যানারে হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাবেশ আয়োজন করেছে
হিযবুত তাহ্রীর/উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ, আজ (১৮/১০/২০২৪) শুক্রবার বাদ জুমু‘আ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। সমাবেশ হতে, মুসলিম উম্মাহ্-কে নবুয়তের আদলে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় দ্রুতবেগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়, যার নেতৃত্বের অধীনে মুসলিম সামরিক বাহিনীর গর্জনই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে গণহত্যা থেকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট। আসন্ন খিলাফত রাষ্ট্র মুসলিম সামরিক বাহিনীসমূহকে একীভূত করে এই অভিশপ্ত ইহুদিগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করবে। রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন, “ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে না যতক্ষণ না মুসলিমদের সঙ্গে ইহুদিদের যুদ্ধ হবে। মুসলিমরা ইহুদিদের হত্যা করতে থাকবে। তখন তারা (ইহুদিরা) পাথর ও গাছের পেছনে লুকিয়ে আশ্রয় নেবে। তখন পাথর ও গাছ বলবে, ‘হে মুসলিম, হে আল্লাহ্’র বান্দা, এই তো ইহুদি আমার পেছনে লুকিয়ে আছে। এসো, তাকে হত্যা করো”। (সহীহ মুসলিম)। উক্ত সমাবেশগুলোতে বক্তাগণ আরও যেসব বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন:
- পশ্চিমা কাফির উপনিবেশবাদী রাষ্ট্রসমূহ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র-অর্থের যোগান দিয়ে এবং অন্যদিকে, মিশর-জর্ডানসহ পশ্চিমাদের দালাল সকল মুসলিম রাষ্ট্রের শাসকগোষ্ঠী মুসলিম সামরিক বাহিনীকে ব্যারাকে আটকে রেখে দখলদার ইসরাইলকে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে। গাজা এবং পবিত্র ভূমির অধিবাসীদের সাহায্যের আর্তনাদ আজ দিগন্ত থেকে দিগন্তে পৌঁছে গিয়েছে। এমনকি তাদের এই আর্তনাদ আসমানে পৌঁছেছে। তারা বলছে, “হে মুসলিম উম্মত, তোমরা আমাদের সাহায্য করো, নয়তো আমরা নিঃশেষ হয়ে যাবো, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবো। তখন তোমরা আল্লাহ্’র নিকট কী জবাব দিবে?”
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী তার উপনিবেশবাদ টিকিয়ে রাখতে অবৈধ ইহুদি রাষ্ট্রকে আরব ভূখণ্ডে এবং মুশরিক রাষ্ট্র ভারতকে আমাদের এই অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত রাখতে চায় যারা ইসলাম ও মুসলিমদের ঘৃণ্য শত্রু। আল্লাহ্ ﷻ বলেন, “নিশ্চয়ই আপনি সব মানুষের মধ্যে মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় ইহুদি ও মুশরিকদের সবচেয়ে অগ্রগ্রামী পাবেন” [সূরা আল–মায়িদাহ্: ৮২]।
- মুসলিম দেশসমূহে পশ্চিমাদের দালাল ধর্মনিরপেক্ষ শাসকগোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগীতা করছে। আরব শাসকেরা ইসরাইলের এবং এই অঞ্চলের শাসকেরা ভারতের হাতকে শক্তিশালী করতে সহযোগীতা করছে। মুসলিম উম্মাহ্’র অভিভাবক খিলাফত ব্যবস্থার উত্থানকে বিলম্বিত করতে তারা খিলাফত ব্যবস্থা এবং খিলাফতের দাওয়াহ্ বহনকারী সত্যনিষ্ঠ দল হিযবুত তাহ্রীর-কে নিষিদ্ধসহ অপপ্রচার ও দমন-নিপীড়ন করছে। কিন্তু মুসলিম উম্মাহ্ রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -এর এই সুসংবাদের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখে, “অতপরঃ আবারও ফিরে আসবে খিলাফত– নবুওয়তের আদলে” (হাদিসঃ মুসনাদে আহমদ)।
সর্বোপরি, বক্তাগণ বলেন, নিশ্চিতভাবে, উম্মতের মধ্যে এমন লাখো-কোটি সাহসী সৈনিকরা রয়েছেন, যারা আল্লাহ্’র রাস্তায় মৃত্যুকে সেভাবে পছন্দ করে যেভাবে তাদের শত্রুরা জীবনকে পছন্দ করে। অথচ এই দালাল শাসকগোষ্ঠী আমাদের সেনাবাহিনীসমূহকে আমাদের ভাইদের সাহায্য করতে অভিযানে প্রেরণ করাতো দূরের কথা, বরং আমাদের ভাইদের হত্যা করতে আমাদের শত্রুকে সাহায্য করেছে। সুতরাং, আপনাদের উচিত, সামরিক বাহিনীর নিকট দাবী তোলা, যেন তারা দালাল শাসকদের অপসারণ করে এই বাধা অপসারণ করে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। খিলাফতের অধীনে মুসলিম সামরিক বাহিনীর গর্জনই অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে প্রতিহত করতে যথেষ্ট।
﴿قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنْصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ﴾
“তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ কর। আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এবং তাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয়ী করবেন এবং মু’মিনের অন্তরসমূহকে প্রশান্ত ও ঠান্ডা করবেন।” [সূরা আত-তাওবাঃ ১৪]
হিযবুত তাহ্রীর / উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশ–এর মিডিয়া অফিস