একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত হবে
হে মুসলিমগণ! খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে
নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করতে সামরিক অফিসারদের নিকট দাবী তুলুন
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, “মহিমান্বিত সত্তা তিনি যিনি তাঁর বান্দাকে রাত্রিবেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আক্বসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি বরকতময় করেছি”[সূরা বনী ইসরাইল : ০১]। আমেরিকা ও বৃটেনসহ পশ্চিমা কাফিরগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদে এবং তাদের দালাল মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর নীরবতায় অভিশপ্ত ইহুদীগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের বরকতময় ভূমি দখল করে আমাদের প্রথম কেবলা আল-আক্বসা মসজিদকে প্রতিনিয়ত অপবিত্র করছে। এবং এই পবিত্র ভূমিকে আঁকড়ে ধরে থাকা প্রতিরোধকারী ফিলিস্তিনের সাহসী মুসলিমদের উপর নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তাদের আক্রমণ থেকে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও রেহাই পাচ্ছে না। যার কারণে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে এবং মুসলিম উম্মাহ্ দেশে দেশে বিক্ষোভ করছে। মুসলিমরা তাদের শাসকদের কাছে ফিলিস্তিনের মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর দাবী জানাচ্ছে এবং সামরিক বাহিনী প্রেরণ করে এই পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য মুসলিমদের এই আহ্বান মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর কানে পৌঁছায়না, “তারা বধির, মূক, অন্ধ; কাজেই তারা ফিরে আসবে না”[সূরা আল-বাকারা : ১৮]। তারা পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সামরিক বাহিনীকে জাতিসংঘের “শান্তি মিশন”-এ প্রেরণ করে কুফর যুদ্ধে এই মুসলিম বাহিনীর পবিত্র রক্ত ঝরায়, অথচ মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় শুধু ফাঁকা বুলি ছুঁড়ে আর মায়াকান্না করে মুসলিমদের সাথে প্রতারণা করে। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি দখলমুক্ত করতে সামরিক অভিযানতো দূরের কথা, মোহাম্মাদ বিন সালমান ও এরদোগানসহ বিশ্বাসঘাতক মুসলিম শাসকগোষ্ঠী “Two-State Solution” এর নামে এই পবিত্র ভূমিতে অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রকে বৈধতা দেয়ার মার্কিন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন, হাসিনা সরকারও “Two-State Solution”-কে সমর্থন করে এবং অবৈধ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত শব্দ দু’টি বাতিল করেছে। ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান হাসিনার মায়াকান্না ছাড়া আর কিছুই নয়।
হে মুসলিমগণ, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, “আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করছো না আল্লাহ্’র পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্যে, যারা বলছে: হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন উদ্ধারকারী নিযুক্ত করুন, আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী” [সূরা আন-নিসা : ৭৫]। সুতরাং মুসলিম সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন ও আল-আক্বসা মসজিদ দখলমুক্ত করতে অগ্রসর হওয়া এবং এই পথে সকল বাধা অপসারণ করা। সামরিক অফিসারগণও জানেন, সালাউদ্দিন আইয়ূবী কীভাবে সকল বাধা অপসারণ করে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ক্রুসেডারদের হাত থেকে মুক্ত করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “নিশ্চয়ই – খলিফা হচ্ছেন ঢাল, যার পেছনে থেকে মুসলিমরা যুদ্ধ করে এবং নিজেদেরকে রক্ষা করে” (সহীহ্ মুসলিম)। একমাত্র খিলাফত রাষ্ট্রের অধীনে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে আল-আক্বসা মসজিদ ও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত হবে।
এটা স্পষ্ট, পশ্চিমা কাফিরদের দালাল এই শাসকগোষ্ঠী মুসলিম উম্মাহ্’র প্রকৃত অভিভাবক নয়; বরং তারাই এই পবিত্র ভূমি মুক্তির পথে প্রধান বাধা। তাই আপনাদের করণীয় হচ্ছে, আপনাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতদের মধ্যে যারা সামরিক অফিসার তাদের নিকট দাবী জানানো, তারা যেন দালাল হাসিনা সরকারকে অপসারণ করে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় হিযবুত তাহ্রীর-কে নুসরাহ্ (ক্ষমতা) প্রদান করে। আর তাদেরকে সতর্ক করুন, “যদি তোমরা অভিযানে বের না হও, তবে তিনি তোমাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি দেবেন এবং অন্য জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন এবং তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আর আল্লাহ্ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান” [ সূরা আত-তওবাহ : ৩৯]
শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
১৩ রবিউস সানী, ১৪৪৫ হিজরি